• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নবীজির সম্মানে গাছ হয়ে গেল পর্দা!

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২০  

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হজের সফর সম্পর্কে জাবের (রা.) থেকে দীর্ঘ একটি হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সফরে রওনা হলাম। পথিমধ্যে তিনি বিস্তীর্ণ ও প্রশস্ত এক উপত্যকায় ছাউনি ফেলেন। নবীজি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলেন। আমি পানির পাত্র নিয়ে তাঁর সঙ্গে রওনা হলাম। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপত্যকার আশপাশ ও দূর-দিগন্তে দৃষ্টি ফেরালেন। কিন্তু পর্দা হিসেবে ব্যবহার করার মতো কোনো বস্তুই পরিদৃষ্ট হলো না। উপত্যকার একদিকে দূর প্রান্তরে দুটি গাছ দেখা গেল। নবীজি সেগুলোর একটির দিকে এগিয়ে গেলেন। গিয়ে তার শাখা ধরে বলেন—আল্লাহর আদেশে আমার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে থাকো। গাছটি নবীজির পেছনে পেছনে এমনভাবে চলতে শুরু করল, যেমন নাকে রশি-বাঁধা উট তার মালিকের পিছনে পিছনে চলতে থাকে। নবীজি সেটিকে নিয়ে অপর গাছটির নিকট গেলেন। তারও শাখা ধরে বলেন, আল্লাহর আদেশে আমার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে থাকো। সেও একই নিয়মে চলতে শুরু করল। যখন উভয় গাছ মাঝামাঝি এলো, তখন তাদের উভয়কে এক জায়গায় করে তিনি আদেশ করলেন—আল্লাহর হুকুমে তোমরা আমার সামনে ঢাল (পর্দা) হয়ে যাও। নবীজির আদেশ শোনার সঙ্গে সঙ্গে তারা উভয়ে একসঙ্গে এমনভাবে মিলিত হয়ে ঝুঁকে পড়ল যে উভয়ের মাঝে কোনো ফাঁক রইল না। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি এ দৃশ্য দেখছিলাম। হঠাৎ আমার অন্তর কেঁপে উঠল। আমি ভয় করলাম, লাজ-লজ্জার আধার আমার মনিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না আবার প্রয়োজন সারার জন্য দূরে কোথাও চলে যান। এ ভয় মনে জাগতেই আমি সেখান থেকে চুপিসারে সরে এলাম এবং দূরে এক জায়গায় গিয়ে বসে রইলাম। ভাবতে লাগলাম, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত সুমহান মর্যাদার অধিকারী; যাঁর লজ্জার খাতিরে গাছও তার শিকড়সমেত উঠে এসে পর্দা হয়ে যায়!

আমি তখনো এই ভাবনাতেই বিভোর ছিলাম। এরই মধ্যে কারো পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলাম। দৃষ্টি তুলে তাকিয়ে দেখি আমার সামনে সাইয়িদুল মুরসালিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর গাছের দিকে তাকিয়ে দেখি তারা আপন আপন জায়গায় গিয়ে যথারীতি দাঁড়িয়ে আছে; যেন তারা নিজেদের জায়গা থেকে কখনো নড়েইনি। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩০১২)