হারিয়ে যাচ্ছে সামাজিক বন্ধন
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২০

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করাই মানুষের ধর্ম। আর পরিবার হচ্ছে আদিম যুগের আদিম প্রতিষ্ঠান, মানবসভ্যতার মৌলিক প্রতিষ্ঠান, সৌহার্দ্য-ভালোবাসার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। অস্তিত্বের প্রয়োজনে আদিম যুগে মানুষের মধ্যে সংঘবদ্ধভাবে বাস করার প্রবণতা ছিল।
সেখান থেকেই মূলত পারিবারিক বন্ধনের সৃষ্টি। তখন থেকেই সমাজ গঠনের বিশ্বস্ত ও মৌলিক একক হিসেবে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে পরিবার। তবে আধুনিক যুগে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদের জোয়ারে পরিবারিক বন্ধন এখন ক্ষয়িষ্ণু।
মানুষের পবিত্র আশ্রয়ের অদ্বিতীয় এ সংগঠনটি ভেঙে যাচ্ছে ঠুনকো কারণে, মাঝে মাঝে তা হয়ে উঠছে রণক্ষেত্র। পারিবারিক বন্ধন আলগা হয়ে যাওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে পারিবারিক অস্থিরতা ও সহিংসতা, যা নিশ্চিতভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রে সংক্রমিত হচ্ছে। বলতে গেলে আজ বিশ্বব্যাপী যে অস্থিরতা তার শিকড় গ্রথিত এই পারিবারিক অস্থিরতায়।
সমাজের মৌলিক ভিত্তি হল পরিবার। পরিবারেই শিশুরা পায় ভবিষ্যৎ জীবনের পথনির্দেশনা, মূলত জীবন গড়ে ওঠে এখান থেকেই। মানুষের সর্বপ্রথম বিদ্যাপীঠও বলা হয় পরিবারকে।
শিশুর মনোজগৎ প্রস্তুত হয় পরিবারে। পরিবারের ধরন, প্রথা, রীতিনীতি এসবের ওপর ভিত্তি করে শিশুর জীবন-আচরণ গড়ে ওঠে। মানবিক মূল্যবোধগুলোর চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের অন্তরকে বিকশিত করা, সর্বোপরি সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেয়ার মতো গুণাবলী আসলে পরিবারেই গ্রথিত।
একান্নবর্তী পরিবারের বদলে এখন ফ্ল্যাটভিত্তিক পরিবারের বিকাশ ঘটেছে। সচরাচর বাবা-মায়ের স্থান হয় না এসব ফ্ল্যাট পরিবারে। আগে যেসব কাজকে পারিবারিক কাজ হিসেবে গণ্য করা হতো এখন তা পরিবারের বাইরেই হয়। কারও অসুখ হলে পারিবারিক সেবার চেয়ে হাসপাতালকে দেয়া হয় প্রাধান্য। উপার্জন অক্ষম সদস্যকে পারিবারিক বন্ধনের বাইরে রাখার প্রবণতা বিপজ্জনক হারে বাড়ছে।
শিশু আর বৃদ্ধরা উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে পারিবারিক পরিধির বাইরে চাইল্ডকেয়ার সেন্টার ও বৃদ্ধাশ্রমে তাদের সময় কাটছে। পুঁজিবাদী ও প্রতিযোগিতামূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা মানুষকে ব্যস্ত করে তুলছে- এই অজুহাতে যদি আমরা পরিবার ব্যবস্থার এই ক্ষয়িষ্ণু ধারাকে গ্রহণ করি তবে মানুষ আর হিংস্র প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য অচিরেই উঠে যাবে।
পরিবার মানুষের পবিত্র আশ্রয়স্থল। মানবসভ্যতা টিকিয়ে রাখতে হলে এই আশ্রয়ের পবিত্রতা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের ব্যক্তিগত ঠিকানা যদি নিরাপদ না হয়, তবে তার বৈশ্বিক ঠিকানা নিশ্চিতভাবেই অনিরাপদ হয়ে উঠবে। তাই নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজনে পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত সব স্তরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে হবে গণমাধ্যমকে। কারণ গণমাধ্যম একটি জাতির বিবেক। একটি সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরীসিম।
আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যমকে ‘চতুর্থ স্তম্ভ’ বলে মনে করা হয়। তাই নানা সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা কম হয় না। গণমাধ্যম কি শুধু গতানুগতিক সংবাদ পরিবেশন করবে নাকি জনমতও গঠন করবে এটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। ফলে দেশ ও রাজনীতির স্বার্থে গণমাধ্যমের ভূমিকা পালন নিয়ে বিতর্ক সবসময়ই থাকে।
বিতর্ক থাকলেও কিছু কিছূ মিডিয়া সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজ গঠনে কাজ করছে। তবে এখন এর দায়িত্ব আরও অনেক বেশি। দায়িত্বহীন সংবাদ পরিবেশন থেকে মিডিয়াকে বিরত থাকতে হবে। এটা মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে আদায় করা ঠিক হবে না, মিডিয়াকেই বুঝতে হবে তার দায়িত্ব। মিডিয়ার এখন আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অসংকোচে সত্য প্রকাশ করতে হবে, করার সাহস রাখতে হবে।
এখন আমাদের দেশে গণমাধ্যম খুবই শক্তিশালী ও পরিপূর্ণ স্বাধীন। এদেশে নানা সময়ে সামরিক শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। তখন সংবাদপত্রের গলা টিপে ধরার চেষ্টা করা হত। সেদিক থেকে আমরা এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি সময় পার করছি। ফলে এখন গণমাধ্যম নানা ইস্যুতে জনমত গঠন করছে, জনগণকে সচেতন করছে।
বর্তমান সময়ে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণও এই আতঙ্কে নিজেদেরকে সংকুচিত করে ফেলেছে। চারিদিকে এই আতঙ্কে কেনাকাটার ধুম লেগেছে। অনেকের ধারণা, এই বুঝি খাদ্য সংকটে পড়বে দেশ। এসব গুজবে আমরা নিজেরাই নিজেদের সমস্যা তৈরি করছি। এসব থেকে পরিত্রাণে নেই কোনো পারিবারিক ও সামাজিক উদ্যোগ। বিশেষ করে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে আমাদের কী করণীয় সে সম্পর্কে আমরা যদি পাড়া মহল্লায় আগে থেকেই একটি পারিবারিক ও সামাজিক উদ্যোগে সচেতনতা তৈরি করতাম তাহলে এই মহামারি থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এছাড়া আমাদের সমাজে কিছু বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। তা হচ্ছে ধনী-গরীবের বৈষম্য। কিছু উঁচু শ্রেণির মানুষ মনে করে নিচু শ্রেণির মানুষের সঙ্গে মেশা যাবে না। তাহলে নিজেদের মান-সম্মান থাকবে না। এছাড় কিছু ধনী ভোক্তা মনে করেন সব চাইতে বেশি দাম দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হবে। না হলে নিজের মান-সম্মান থাকবে না। এর ফলে তৈরি হচ্ছে উচুঁ- নিচুর বৈষম্য। ভাঙছে সমাজ ও পরিবারিক বন্ধন। কিন্তু এই ধনী-গরীবের বৈষম্য যদি না থাকত বা ভেঙে দেয়া হতো তাহলে মানুষ এতো সমস্যার সম্মূখীন হতো না।
কাজেই সব সমস্যার সমাধান যদি আমরা পারিবারিক বা সামাজিকভাবে শুরু করি তাহলে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে সহায়ক হবে। সামাজিক অসংগতি দূর হবে, ধনী-গরীবের বৈষম্য দূর হবে, সবার সঙ্গে সবার ভালবাসা তৈরি হবে, সব ধরনের গুজব দূর হবে, যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় লড়তে সহজ হবে। গড়ে তোলা সম্ভব হবে সুখি সমৃদ্ধশালী একটি সোনার বাংলাদেশ।
- বাইডেন কমলাকে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- মুজিববর্ষের উপহার
নতুন বছরে নতুন ঘর, ৩৬৭০ পরিবারে খুশির বন্যা - সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করছে : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশে তিন বিল পাসের সুপারিশ
- অপেক্ষমাণদের তালিকা থেকে সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তি শুরু
- ধর্ষণ মামলা: নূরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি
- বাইডেনের প্রথম দিনেই মুসলিম নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়াসহ ১৫ আদেশ
- ষড়যন্ত্রকারী ও সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান
- আজ আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- ইতালিয়ান সুপারকাপ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস
- যাদের দরকার তারা আগে পাবে ভ্যাকসিন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ঢাকায় পৌঁছে গেছে করোনার টিকা
- পাকা চুল-দাঁড়ি উঠাতে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবি
- ‘কর্ডন প্রথা’ বিরোধি আন্দোলনে গ্রেপ্তার বঙ্গবন্ধুর মুক্তি
- দলের বাইরে কাজ করলে ব্যবস্থা: হানিফ
- ৬০-এর চেয়ে কম সেকেন্ডে হতে পারে ১ মিনিট
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি সংসদে
- মুখের কালচে দাগসহ ব্রণ দূর হবে ফলের খোসায়
- এক হাজার মণের বেশি কাঁচাপাট মজুদ নয়: মন্ত্রী
- ডানা মেলছে গরিবের স্বপ্ন
- ঠাণ্ডা কাশি সারাবে কুমড়া ফুল
- ঘর পাচ্ছেন ৭০ হাজার ভূমিহীন: শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- ৩৫ লাখ ডোজ টিকা আসছে কাল
- ৪২ হাজার রোহিঙ্গা শনাক্ত মিয়ানমারের, এপ্রিলে প্রত্যাবাসনের আশা
- ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে’
- মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে
- চকলেট ব্রাউনি রেসিপি
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে শুভ সূচনা টাইগারদের
- দেশে বর্তমানে খাদ্য মজুত সাত লাখ টন: খাদ্যমন্ত্রী
- চট্টগ্রামে করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু
- মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়
- যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় আরেকটি ধরণ
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- তাপমাত্রা নামতে পারে ৬ ডিগ্রিতে!
- ধনেপাতা যাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর
- ভ্যাকসিনে প্রবাসীদের অগ্রাধিকার চান প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
- ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে নিজেকে সুরক্ষা করবেন যেভাবে
- ভোলায় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছেন ৫২০ গৃহহীন
- ভোলায় মৎস্য ও প্রানিসম্পদ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ভোলায় বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
- আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলেন রফিকুল ইসলাম ও জাকির তালুকদার
- চিনি-চুন দিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘খাঁটি’ খেজুর গুড়
- ভোলায় নানা আয়োজনে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উদযাপিত
- ভোলায় উপকারভোগীদের গৃহ নির্বাচনের লটারী অনুষ্ঠিত
- ভোলায় বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- জামায়াতের বিকল্প হিসেবে ধর্মান্ধদের ব্যবহারের অপচেষ্টা বিএনপির
- রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল, এবার ২০ যাত্রীসহ ‘গায়েব’ হলো জাহাজ
- মনপুরায় শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
- বিভিন্ন স্থানে পালিত হচ্ছে কমরেড মণি সিংহের মৃত্যুবার্ষিকী