• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ভোলায় মৎস্যসম্পদ রক্ষায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩  

ভোলা প্রতিনিধিঃ  মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধজাল নির্মূল, জাটকা ও ছোট মাছ সংরক্ষণে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে গত ৪ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল বিশেষ কম্বিং অপারেশন। তার‌‌ই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ'র নেতৃত্বে দিনব্যাপ মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এ বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হয়।

চার ই জানুয়ারি থেকে শুরু হ‌ওয়া এ অভিযান চলবে ২ মাস ব্যাপী । দীর্ঘই দুই মাস ব্যাপী মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে নিষিদ্ধ জাল মুক্ত করতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। এর মাধ্যমে ইলিশ সহ সকল প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়বে আর জেলেদের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ।

মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ আরো জানান, উপকূলের নদ-নদীর মাছ ধংসকারী নিষিদ্ধ বেহুন্দী জাল, খুটি জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, পাই জালসহ অবৈধ জাল অপসারণে ৪ জানুয়ারি থেকে ভোলায় ‘বিশেষ কম্বিং’ অপারেশন শুরু করেছি আমরা।

মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে চার ধাপে এ অপারেশন চলবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। একইসঙ্গে গেল নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জাটকা সংরক্ষণ অভিযান অব্যাহত আছে। নির্দেশনা অনুযায়ী নদী থেকে অবৈধ জালমুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে জেলে ও ব্যবসায়ীদের সর্তক করা হচ্ছে। অভিযানের প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত নদীর মধ্যে পুঁতে রাখা খুঁটি ও নিষিদ্ধ জাল অপসারণ করে চলছি আমরা।

বিশেষ করে ছোট ফাঁসের জাল যেন নদীতে ফেলতে না পারে সেদিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা জেলেদেরকে বড় ফাঁসের জাল ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি। ইতিমধ্যে জেলেরা আমার কথা মেনে নিয়ে আমার পরামর্শ অনুযায়ী বড় ফাঁসের জালের ব্যবহার শুরু করেছে, আশা করছি আস্তে আস্তে সকল জেলে বড় ফাঁসের জাল ব্যবহার করবে। বড় ফাঁসের জাল ব্যবহারের ফলে মৎস্য সম্পদ উৎপাদন বাড়বে এবং ছোট থেকে বড় সকল জেলে এর সুফল ভোগ করতে পারবে বলে আশা করছি। এ সকল অভিযানের ফলে ইতিমধ্যে মাছের উৎপাদন বাড়াতে প্রশাসনের এমন তৎপরতাকে ইতিবাচক মনে করছেন সাধারণ মৎস্যজীবীরা।

নিষিদ্ধ জালমুক্ত করার পাশাপাশি নদীকে অবৈধ দখলদারমুক্ত করতেও অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির তজুমদ্দিন উপজেলার সদস্য আবু মাঝি জানান, নদীতে মাছের উৎপাদন বাড়াতে এ অভিযান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ইলিশ রক্ষায় অধিক ভূমিকা রাখছে। ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ সম্পদ বাড়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন আমাদের মৎস্য স্যার। স্যার আমাদের বড় ফাঁসের জাল ব্যবহার করতে বলেছে, তার কথামতো আমরা বড় ফাঁসের জাল ব্যবহার করছি।