• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রোকেয়া শুধু নারী শিক্ষার অগ্রদূত না, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২১  

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বেগম রোকেয়া শুধু নারী শিক্ষার অগ্রদূতই ছিলেন না, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী নিবেদিতপ্রাণ একজন সমাজকর্মীও ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে বেগম রোকেয়া তার শানিত অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন যে, সমাজে নারীর অধস্তন অবস্থা নারী উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়। তাই তার চিন্তা-ভাবনা-উদ্বেগ সর্বক্ষণ আবর্তিত ছিল নারী জাগরণ ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, নারীকে অবরোধবাসিনী করে বিকলাঙ্গ করার প্রথা উচ্ছেদসহ নারী মুক্তি, নারীর অগ্রযাত্রা ও নারী শিক্ষা প্রবর্তনে তার ত্যাগী ভূমিকা তাকে মহীয়সী করেছে।

শতবর্ষ আগে বেগম রোকেয়া তার লেখনীর মাধ্যমে নারীদের শিক্ষিত তথা আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, বেগম রোকেয়ার চিন্তার গভীরতায় এবং দৃষ্টির প্রসারতায় রচিত সাহিত্য আমাদের জাতীয় জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আমি মহীয়সী নারী রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বেগম রোকেয়া দিবস ২০২১’ উদযাপন ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাল্যবিয়ে নির্মূলসহ তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীর পেশাগত জ্ঞান ও মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় গ্রহণ করা হয়েছে নারীবান্ধব নানা উদ্যোগ ও কর্মকৌশল।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সরকারের বিচক্ষণ, গতিশীল ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণে রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, আইন প্রণয়ন, প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, শিল্প-সংস্কৃতি ও খেলাধুলাসহ পেশাভিত্তিক সব ক্ষেত্রে নারীদের আজ গর্বিত পাদচারণা। সমাজের সব স্তরে নারীর ক্ষমতায়নের পথ সুগম করতে পুরুষদের সহযোগিতা খুবই জরুরি। বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, এ বছর যারা ‘বেগম রোকেয়া পদক’ পেয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।