হে মহামানব একবার এসো ফিরে...
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০১৯
![](https://www.alokitobhola.com/media/imgAll/2018November/shamad2019031619550520190317013100-1903162102.jpg)
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরাধীন ছিল বাঙালি জাতি। অবহেলিত ও নিষ্পেষিত এই জাতিকে তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের। নিরলস পরিশ্রম, অপরিসীম ভালোবাসা আর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি সারা দেশ ঘুরে ঘুরে জাতিকে জাগিয়েছিলেন। বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার স্বপ্নকে যিনি বাস্তবায়িত করেছিলেন, তিনি মহাকালের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই সবুজ-শ্যামলে ঘেরা পলিমাটিতে ‘বাংলাদেশ’ নামের স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের পত্তন করেছিলেন। উপহার দিয়েছিলেন লাল-সবুজের পতাকা, বিশ্বের বুকে অনির্বাণ এক মানচিত্র। আজ ১৭ মার্চ। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন, বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন। বিবিসি বাংলার জরিপে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ নির্বাচিত এই মহান নেতাকে আজ গোটা জাতি স্মরণ করবে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় আর অকালে হারানো জাতির পিতার জন্য বাঙালি জাতির হৃদয়-মনে অনুরণিত হবে কবি সুকান্তের সেই আকুতি—‘হে মহামানব, একবার এসো ফিরে/শুধু একবার চোখ মেলো এই গ্রাম নগরের ভীড়ে...’।
একজন মহান নেতা তাঁর দেশের মানুষকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন, অপরিসীম সাহসিকতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, সঠিক ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিঁড়ে ছিনিয়ে আনতে পারেন স্বাধীনতা—তার উজ্জ্বল উদাহরণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাহিত্যিক ও ছড়াকার অন্নদাশঙ্কর রায় বঙ্গবন্ধুর কীর্তিকে স্মরণ করে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর লিখেছিলেন কালজয়ী পঙক্তি, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান/ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান/দিকে দিকে আজ অশ্রুমালা রক্তগঙ্গা
বহমান/তবু নাই ভয় হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।’ আজ সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর শুভ জন্মদিন। দিনটি জাতীয় শিশু দিবসও। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন।’ দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অকুতোভয় বীর, মহানায়ক। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে দেখা যায় নেতৃত্বগুণ; মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি গভীরতর ভালোবাসা। পাকিস্তানি স্বৈরাচারী শাসকরা তাঁকে বছরের পর বছর বন্দি রেখেছেন জেলে, নানা নির্যাতন-নিপীড়ন করেছেন। তার পরও তিনি ছিলেন স্বাধীনতার সংকল্পে অটল। দেশের মানুষের স্বার্থের জন্য, স্বাধীনতার জন্য তিনি ছিলেন আপসহীন। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের মৃত্যুর পরোয়ানা উপেক্ষা করে তিনি তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ ও বাঙালির কথা। বারবার আঘাত এসেছে তাঁর জীবনে; কিন্তু কখনো কোনো কিছুর বিনিময় বা প্রলোভনে বা ভয়ে বিন্দুমাত্র নতি স্বীকার করেননি, মাথা নিচু করেননি। ‘জয় বাংলা’ পঙক্তিকে হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর নেতৃত্বেই মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতি অর্জন করেছিল গৌরবোজ্জ্বল বিজয়।
বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তদানীন্তন ভারত উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম শেখ লুত্ফর রহমান এবং মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। পরিবারের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সেদিনের টুঙ্গিপাড়ার অজপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা সেই শিশুটি পরে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধ ও ভালোবাসার কারণেই অল্প বয়সেই হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা।
কিশোর বয়সেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। এর পর থেকে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামীজীবনের অভিযাত্রা। বঙ্গবন্ধু তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ এবং পরে ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ গঠন করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ ও স্বাধীনতা আন্দোলন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান পেরিয়ে ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন।
রূপকথাকেও হার মানিয়েছেন ব্যক্তি মুজিব। দেশের জন্য নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, বাঙালি জাতিকে অপরিমেয় ভালোবাসার মধ্য দিয়ে তিনি পরিণত হন বঙ্গবন্ধু অভিধায়। আর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ে যেমন যুক্ত থেকেছেন, তেমনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ষাটের দশক থেকেই হয়ে উঠেছেন চিরভাস্বর। তাঁর জন্ম না হলে জন্ম হতো না বাংলাদেশের। তাই বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসভায় ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির কালজয়ী ইশতেহার। দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তাঁরই স্বাধীনতার ঘোষণায় ঐক্যবদ্ধ হয় জাতি, উত্তাল হয় গোটা দেশ। ২৫ মার্চ গভীর রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তাঁর নামে স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রচার করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে হাল ধরেন তিনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শুরু করেন অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নতুন সংগ্রাম। সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তাঁরই নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখন নেমে এসেছিল এক অমানিশার অন্ধকার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কলঙ্কময় রাতে এক দল নরপশুর তপ্ত বুলেটে সপরিবারে শাহাদাত বরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই সময় দেশের বাইরে থাকায় তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান।
ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে ঘাতকরা হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে, তাঁর চেতনাকে, তাঁর কীর্তিকে হত্যা করতে পারবে না কেউ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাহক তাঁরই মেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেই সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য। পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁরই প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল।
- উপাচার্যসহ ২০ জনকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা
- নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে : বাহাউদ্দিন নাছিম
- আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল
- সাগরে লঘুচাপ, যেসব বিভাগে বৃষ্টির আভাস
- প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে : কাদের
- রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে
- স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
- নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৪ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার
- টানা ৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
- ৩০০ কক্ষ ভাঙা হয়েছে, মেরামতের আগে হল খোলা সম্ভব নয়: ঢাবি ভিসি
- বিজিবির পাহারায় সারা দেশে তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
- ১৬ কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ করল বিজিবি
- বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ
- গুজব যাতে না ছড়ায়, চেষ্টা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- চারদিনে খান ইউনুসে বাস্তুচ্যুত ১৮০,০০০: জাতিসংঘ
- বৃষ্টিভেজা প্যারিস অলিম্পিকের চোখ ধাঁধানো উদ্বোধন
- রিমান্ড শেষে কারাগারে নুর
- পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে
- সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
- দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে অপরাধীদের খুঁজে বের করুন
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ
- জুলুম সমর্থনকারীদের হাশর হবে জালিমের সাথেই
- সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর বিএনপি
- কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- বরিশাল থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল শুরু
- বরিশালে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ল
- সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান
- আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না
- যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে
- সরকার পতনের ‘ব্লু প্রিন্ট’: বিমানবন্দর ও বিটিভি দখল করতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা
- ভোলায় ৭দিন ব্যাপী বৃক্ষ মেলা শুরু
- বোরহানউদ্দিনে গাজা গাছ সহ নারী আটক
- ভোলায় অসুস্থ রোগীদের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ
- ভোলায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরন
- ভোলায় বাগদা চিংড়ি ৫০ হাজার রেনু জব্দ করে নদীতে অবমুক্ত
- ভোলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বেকারির মালিককে অর্থদন্ড
- ভোলায় স্বঘোষিত নব্য রাজাকারদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি
- ভোলায় নারীকে ইভটিজিং করা এক ব্যক্তির কারাদন্ড
- ভোলায় ডুবন্ত ড্রেজার থেকে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩ জন
- বরিশাল বিভাগের নদ-নদীর পানি ৫ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে
- চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- এবার স্পাই ইউনিভার্স-এ আলিয়া
- রাবিতে ৪ শিক্ষার্থীসহ বহিরাগত তরুণী আটক
- ভোলায় মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের প্রতিবাদ ও শান্তি সমাবেশ
- বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ৬৬ হাজার ৫৬২ জন
- সুন্দরবন সংলগ্ন নদী-খালের তীরে হচ্ছে ম্যানগ্রোভ বনায়ন
- কোরআনে মহররম মাসের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে
- এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়ল ৩০ টাকা
- সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে
- এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আগামীকাল: বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার