• রোববার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩০

  • || ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ চুরি করা অর্থ দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে: প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রগুলো যেন সমৃদ্ধির উৎস হয়ে থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুতুলের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী কোরআন পোড়ানো নিয়ে শেখ হাসিনার নিন্দা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে: প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ছাড়া দেশকে কিছুই দিতে পারেনি বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ভিয়েতনাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই বাংলাদেশের অগ্রাধিকার: উজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী যারা স্যাংশন দিয়েছে তাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে: প্রধানমন্ত্রী সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী মানুষ ও নেতা শেখ হাসিনা যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার করে ঐক্যের ডাক প্রধানমন্ত্রীর

শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২  

শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করতে সরকার বদ্ধপরিকর- জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিশুদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফের উদ্যোগে শিশু সুরক্ষায় প্রথম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে এক ভিডিও বার্তায় তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক ১৮ বছরের নিচে আর পাঁচ বছরের নীচে শিশুর সংখ্যা ২ কোটিরও বেশি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারসহ উন্নয়ন সংস্থাগুলো এসব শিশুদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সংক্ষিপ্ত সময়ে শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানের কয়েকটি ধারায় শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র অন্যতম বাধা। আমাদের সরকার সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল প্রণয়ন করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকার এক কোটিরও বেশি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। শিশুরাও এসব কর্মসূচির উপকারভোগী। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছি। ৯৮ শতাংশ স্কুলগামী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা গেছে। এছাড়া শিশু মৃত্যুহার ও মাতৃমৃত্যুহার কমিয়ে আনা হয়েছে। নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সারাদেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।”

প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিশুদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী তার কন্যা ড. সায়েম ওয়াজেদের কাজকে প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার ২০১৬ সালে শিশু হেল্প লাইন ১০৯৮ চালু করেছে। এই হেল্প লাইন ১০ লাখেরও বেশি শিশু ও তাদের পরিবারের কথা শুনেছে। থানাগুলো শিশুবান্ধব করার লক্ষ্যে চাইল্ড হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। একসময় শিশু শ্রম বাংলাদেশে অনেক বড় সমস্যা ছিল। আমাদের দেশে শিশুশ্রম উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা হয়েছে। রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প এখন শিশুশ্রম মুক্ত।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আমাদের শিশুদের মান উন্নয়নে সবকিছু করছি, যদিও আরও অনেক কিছু করতে হবে। শিশুদের অধিকতর উন্নয়নে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে। শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম একটি নিয়মিত কর্মসূচি হিসেবে চালু করা যেতে পারে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে। আমাদের সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একত্রে মিলে শিশু সুরক্ষায় কাজ করতে বদ্ধপরিকর।”

জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।