• রোববার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩০

  • || ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ চুরি করা অর্থ দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে: প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রগুলো যেন সমৃদ্ধির উৎস হয়ে থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুতুলের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী কোরআন পোড়ানো নিয়ে শেখ হাসিনার নিন্দা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে: প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ছাড়া দেশকে কিছুই দিতে পারেনি বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ভিয়েতনাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই বাংলাদেশের অগ্রাধিকার: উজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী যারা স্যাংশন দিয়েছে তাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে: প্রধানমন্ত্রী সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী মানুষ ও নেতা শেখ হাসিনা

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকিতে নেই বাংলাদেশ

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২২  

বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকির মাত্রা ভয়ানকভাবে বেড়ে গেছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী অভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়বে। একইসঙ্গে আগামী দুই বছর বিশ্বের প্রায় সব দেশে দারিদ্র্যের সংখ্যাও বেড়ে যাবে।

খাদ্য দুষ্পাপ্য হওয়ায় অপুষ্টিজনিত রোগব্যাধি যেমন বাড়বে, তেমনি মানুষের মধ্যে পুষ্টিহীনতাও বাড়বে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা খাদ্য নিরাপত্তার বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। তবে এই ঝুঁকিতে বাংলাদেশ নেই। কিন্তু বাংলাদেশসহ অনেক দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘হালনাগাদ খাদ্য নিরাপত্তা সূচক’ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। এতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোন দেশ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেগুলোও তুলে ধরেছে। ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলো যাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারে সেজন্য তারা কিছু সুপারিশও করেছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ থেকে চাল রপ্তানি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। ২৯ জুন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। এ ছাড়া ভারতসহ আরও অনেক দেশ নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।

এ ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করছে না বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। এ ধরনের ৫টি সংস্থা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যপী খাদ্যপণ্য রপ্তানি ও পরিবহণে নতুন এসব বাধা অপসারণের প্রস্তাব করেছে। একই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি কমাতে ধনী দেশগুলোকে খাদ্য সহায়তা বাড়ানো ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা গতিশীল করার তাগিদ দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশকেও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট আগামীতে আরও বাড়বে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি বিশ্বব্যাপী বেড়ে যাচ্ছে। আগামীতে এ ঝুঁকি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের পাইপে লিকেজ দেখা দিয়েছে। এতে গ্যাস সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গ্যাস থেকে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর অন্যতম উপকরণ সার উৎপাদিত হচ্ছে না। বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ ইউরিয়া সার ইউরোপ থেকে সরবরাহ করা হয়। গ্যাসের সংকটে একদিকে সারের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য কৃষি উপকরণের দামও বাড়ছে। ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। এতে কৃষিপণ্যের দামও বাড়বে।

তবে গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কৃষিপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৩ শতাংশ কমেছে। কিন্তু আগামীতে এর দাম আবার বাড়তে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বল্প, মধ্য ও উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এখনও অনেক বেশি। এ হার বেড়েই চলেছে। আগামীতে এ হার আরও বাড়তে পারে। কয়েকটি দেশে এ হার বেড়ে খাদ্য দরিদ্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে। ৮৮ শতাংশ স্বল্প আয়ের দেশে, ৯১ শতাংশ মধ্য আয়ের দেশে ও ৯৩ শতাংশ উচ্চ আয়ের দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এখন ৫ শতাংশর উপরে রয়েছে। এসব দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ডাবল ডিজিটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। ইতোমধ্যেই অনেক দেশে এ হার ডাবল ডিজিট অতিক্রম করেছে।

খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে যে ১০টি দেশ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে, জিম্বাবুয়েতে ৬৮ শতাংশ, লেবাননে ৩৬ শতাংশ, ইরানে ৩২ শতাংশ, শ্রীলংকায় ২২ শতাংশ, হাঙ্গেরি ১৮ শতাংশ, কলাম্বিয়া ১৫ শতাংশ, জিবুতি ১৪ শতাংশ. রুয়ান্ডা ১৪ শতাংশ এবং বুর্কিনা ফাসোয় ১০ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সুদান, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, হাইতি, নাইজার, কেনিয়া, মালাউ, বুর্কিনা ফাসো, জিম্বাবুয়ে গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, আফিকান রিপাবলিক, চাদ, মাদাগাস্কার এবং মালি। এসব দেশের অনেক মানুষ খাদ্য নিরাপত্তায় ভুগবে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষই তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে। এর প্রভাবে দারিদ্র্য বাড়বে।