• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন ১৭ লাখ কৃষক

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২২  

আসন্ন রবি মৌসুমে সারা দেশের প্রায় ১৭ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বীজ ও সার বিনামূল্যে সরবরাহ করবে সরকার। গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারির মতো রবি ফসলের চাষ ও উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, রবি ফসল চাষে আগে থেকেই বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এ বছর বেশি পরিমাণে সরবরাহ করা হবে। কারণ রবি মৌসুমে যেসব ফসল চাষ হয়, তার সবকটিতে বাংলাদেশের আমদানিনির্ভরতা রয়েছে। সম্প্রতি এসব ফসলের দামও বেড়েছে। এজন্য আমদানি ব্যয়ে কমানো ও স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এ খাতে। পাশাপাশি প্রায় এক লাখ কৃষককে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা এ বিষয়ে বলেন, চাষ ও উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই এসব বীজ ও সার বিতরণ শেষ করা হবে।

 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৬৪ জেলার ১৬ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ কৃষক এ সুবিধা পাবেন। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বীজ বাবদ ব্যয় হবে ৮০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর সার বাবদ ব্যয় হবে ৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কৃষকদের ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে পরিবহনসহ অন্যান্য কার্যক্রমে।

তেলজাতীয় ফসলের চাষ বাড়ানোর জন্য যেসব নতুন এলাকার চাষিরা এ ধরনের চাষ করবেন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

একজন কৃষক এক বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি করে গমবীজ অথবা ২ কেজি হাইব্রিড ভুট্টাবীজ পাবেন। প্রতি বিঘায় এক কেজি করে সরিষাবীজ, এক কেজি করে সূর্যমুখী হাইব্রিড বীজ, ১০ কেজি করে চীনা বাদাম ও ৮ কেজি করে সয়াবিনবীজ দেওয়া হবে। পেঁয়াজ চাষের জন্য এক কেজি করে শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ দেওয়া হবে। বিঘাপ্রতি ৫ কেজি মসুর ও মুগ এবং ৮ কেজি খেসারিবীজ দেওয়া হবে।  একটি পরিবার এক ধরনের বীজই পাবেন। গম, সরিষা, সূর্যমুখী,

সয়াবিন ও শীতকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রতি ৫ জনের একটি গ্রুপকে ৫০ কেজির এক বস্তা এমওপি ও এক বস্তা ডিএপি সার দেওয়া হবে। অর্থাৎ চাষিরা বিঘাপ্রতি ১০ কেজি করে এমওপি ও ডিএপি সার পাবেন। আর ভুট্টা চাষের জন্য বিঘাপ্রতি ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।

জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। উপজেলা সদর থেকে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। এসব বীজ বিএডিসি থেকে সংগ্রহ করা হবে। কোনো কারণে বিএডিসি বীজ সরবরাহ করতে না পারলে বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পভুক্ত এসএমই কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা হবে।

সবচেয়ে বেশি বীজ পাবেন দিনাজপুর জেলার কৃষকরা। এই জেলার ৬৫ হাজার ২২০ জন কৃষক এ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া জামালপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, গাইবান্ধা, নোয়াখালী, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ ও শেরপুর জেলার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কৃষক এ সুবিধা পাবেন।