৩৭ বছর পর ভয়ংকর ডিডিটি মুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২২

নিষিদ্ধের তিন দশক পর ক্ষতিকর রাসায়নিক ডাইক্লোরোডিফেনাইলট্রিক্লোরোইথেন (ডিডিটি)-এর সবচেয়ে বড় মজুত ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো হচ্ছে ফ্রান্সে।
শুক্রবার ২৪টি কন্টেইনারে ৫২০ টন ডিডিটি নিয়ে ফ্রান্সের উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে বহনকারী জাহাজ।
১৯৮৫ সালে ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা নিধনের উদ্দেশে পাকিস্তান থেকে ৫০০ টন ডিডিটি আমদানি করে সরকার। কিন্তু ওই ডিডিটি নিম্নমানের হওয়ায় সে সময় তা ব্যবহার করা যায়নি। এরপর থেকেই এ রাসায়নিক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের গুদামে রাখা হয়।
এ অবস্থায় জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ায় ১৯৯১ সালে দেশে ডিডিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ২০০১ সালে স্টকহোম সম্মেলনের চুক্তি অনুযায়ীও সারাবিশ্বে নিষিদ্ধ এই রাসায়নিক।
ক্ষতিকর এই রাসায়নিক অবিরাম দূষক বা প্রেসিসটেন্ট অর্গানিক পলিউটেন্ট (পপস) প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধন করে। ক্ষতিকর এই রাসায়নিকের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি, আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া, বংশবৃদ্ধিতে অস্বাভাবিকতা, স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি, শিশুর বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত, প্রজননতন্ত্রের ক্ষতিসাধন সহ নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আমদানির ৩৭ বছর পর অবশেষে এই ক্ষতিকর রাসায়নিকটি বাংলাদেশ থেকে ধ্বংসের জন্য ফ্রান্সে পাঠানো হচ্ছে।
সম্প্রতি ৩ দফায় ২৪টি কন্টেইনারে এসব রাসায়নিক শিপিংয়ের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়েছে।
২৪টি কন্টেইনারে এসব রাসায়নিক শিপিংয়ের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়েছে
বুধবার নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল ‘রেডিসন ব্লু’ এর মোহনা হলে এই ডিডিটি অপসারণ প্রকল্পের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলে ক্যান্সার বেড়ে যাওয়া সরকারের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই এলাকায় ক্যান্সার নিয়ে যে চিকিৎসক কাজ করতেন তিনিও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমরা এও জেনেছি, মায়ের দুধেও ডিডিটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই ডিডিটি এত বছর এখানে কেন পড়েছিল এটা একটা প্রশ্ন!’
ডিডিটি ধ্বংসের দীর্ঘ প্রক্রিয়াকে ‘ডিডিটি মুক্তিযুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা কাজ করেছেন আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। পরিবেশ অধিদপ্তরে যে কোনো অনুষ্ঠানে আপনাদের স্মরণ করা হবে। এটার যে ইতিহাস লেখা হবে, সেখানে যারা কাজ করেছেন তাদের নামও থাকা উচিত। কারণ তাদের ক্ষতি হতে পারে। যদি তাদের নামের তালিকা থাকে তাহলে কাজের কারণে কোনো রোগে আক্রান্ত হলে সরকার ও রাষ্ট্র দায়িত্ব নেবে।’
এ সময় সীমান্ত দিয়ে ডিডিটি কিংবা এর মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক যেন দেশে প্রবশে করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও জননিরাপত্তা বিভাগকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন সচিব।
এ সময় তিনি শুটকিতে ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান রাখেন মোস্তফা কামাল।
বাংলাদেশে ডিডিটি ধ্বংস করা সম্ভব নয়। এর ধ্বংস প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচিব জানান, ডিডিটি পুড়িয়ে যে ছাই হবে সেটিও সাবধানে সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু তাই নয়, পুড়ানোর সময় যে গ্যাস বের হবে সেটিও সংরক্ষণ করতে হবে।
আরেকটি বিষয় হলো- বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে ডিডিটি নিয়ে যেতে বিভিন্ন দেশের অন্তত ১৩টি বন্দরের অনুমতি নিতে হয়েছে। শুরুতে কয়েকটা দেশ আপত্তিও জানিয়েছে যে, এসব দূষিত জিনিস তাদের বন্দর দিয়ে যেতে দেয়া হবে না। পরে তাদেরকে রাজি করানো সম্ভব হয়েছে।
ডিডিটি অপসারণ প্রক্রিয়ায় কাজ করা ব্যক্তিরাও ঝুঁকির মধ্যে আছেন
জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অরগানাইজেশন (এফএও) এর কীটনাশক বিশেষজ্ঞ মার্ক ডেভিস বাংলাদেশে ডিডিটির এই মজুদকে ‘অত্যন্ত অস্বাভাবিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ডেভিস বলেন, ‘আমার জানামতে, আর কোথাও একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে এই পরিমাণ কীটনাশক অপসারণের ঘটনা ঘটেনি। এটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক যে, একটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে এত দীর্ঘ সময় ধরে এটি সংরক্ষণ করা ছিল!’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ জানান, গ্লোবাল অ্যানভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) ও জলবায়ু ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ডিডিটি ধ্বংসের প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এটা ফ্রান্সে পাঠিয়ে ধ্বংস করতে হচ্ছে। কারণ আমারদের সক্ষমতা নেই। আশা করছি, এফএও সঠিক সময় এটি বাস্তবায়ন করবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফএও এর জ্যেষ্ঠ প্রযুক্তি কর্মকর্তা সাসো মার্টিনোভ, প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদ, এফএও রিপ্রেজেনটেটিভ নূর আহমেদ খন্দকার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল হামিদসহ আরও অনেকেই।
- জামানত হারালেন হিরো আলম
- ঘরে ঢুকে ছোট ভাইয়ের গলা কাটলেন বড় ভাই
- শীতের রান্নাবান্না
ইলিশের কোরমা - ইলেকশনে যদি হারাতে পারেন আমরা বিদায় নেবো: কাদের
- ফোনে বিজ্ঞাপন আসা বন্ধ করবেন যেভাবে
- নতুন লুকে ভাইরাল শাহরুখ
- জানুয়ারিতে রেকর্ড রফতানি আয়!
- দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণ কাজ উদ্বোধন
- বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়ও হজের খরচ বাড়লো
- ৪ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, শীত আরও বাড়তে পারে
- দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নতির জন্য আ. লীগের বিকল্প নেই
- রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তামার তারসহ ৩ চোর আটক
- ভাষার দাবিতে নারীদের ছিল সমান অংশগ্রহণ
- অপহরণ-হত্যা বাড়ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
- জঙ্গলে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
- হুজির তিন জঙ্গির স্বীকারোক্তি, দুইজন পুনরায় রিমান্ডে
- মেহেরপুরে জামায়াতের রুকন বুলেট গ্রেফতার
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘরের সিঁধ কেটে মা-দুই সন্তানকে কুপিয়ে জখম
- ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখল পাকিস্তান
- চবির ছাত্র হোস্টেল থেকে ছাত্রী উদ্ধার
- সৌদিতে মানবপাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য ঢাকায় গ্রেফতার
- দেশের প্রথম পাতালরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- লুডু খেলতে নিষেধ করায় বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা
- স্বামীকে হত্যা চেষ্টা মামলার দুই প্রেমিকসহ ও ৪ জন গেপ্তার
- সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টেকাতে চেষ্টা করুন
- স্মার্ট নাগরিক গড়তে কাজ করে যাচ্ছি: শিক্ষামন্ত্রী
- চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই আসনেই নৌকার জয়
- উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কৃষি উন্নয়নের বিকল্প নেই: প্রধানমন্ত্রী
- আইটি ফ্রিল্যান্সাররা হবে স্মার্ট বাংলাদেশের চালিকাশক্তি: পলক
- ক্রীড়া শিক্ষায় বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
- জঙ্গি আস্তানা গড়তে সেখানে আত্মগোপনে ছিলেন রণবীর-বাশার
- বিয়ের তিন বছর পর সুখবর শোনালেন সমলিঙ্গ দম্পতি
- দেশে প্রথম মৃত মানুষের কিডনি দুজনের দেহে সফল প্রতিস্থাপন
- দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে যেসব সমস্যা হয়
- ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
- ক্যান্সারের এই সাধারণ লক্ষণ অনেকেই চিনতে পারেন না, সতর্ক হন এখনই
- শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটাতে রইল ৬ টিপস
- কাশির সঙ্গে কফ উঠছে? শরীরে বাসা বাঁধতে পারে যে রোগ
- এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা: শিক্ষামন্ত্রী
- নখে সাদা দাগ, কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
- ৬০ টাকার বিনিময়ে ঘরে পৌঁছাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স
- দুই সন্তান রেখে ৩ কোটি টাকা নিয়ে নির্মাণশ্রমিকের হাত ধরে উধাও
- বাবার পরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক হবেন মা- হাইকোর্টের রায়
- ভোলার জেলেদের সুরক্ষার জন্য লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরন
- ভোলায় ভেদুরিয়ায় অপরাধ দমনে পুলিশের সিসি ক্যামেরা চালু
- কোস্ট গার্ডের অভিযানে ২২ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ী কাপড় জব্দ
- গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা গ্রেফতার
- প্রাথমিকে বৃত্তি পাবে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী
- ভোলায় মৎস্যসম্পদ রক্ষায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন
- পূর্বের রেকর্ড ভেঙে পাগলা মসজিদের সিন্দুকে মিলল ২০ বস্তা টাকা