বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে পারে যুক্তরাজ্য
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২৩
বিশ্বজুড়েই বর্তমানে একটি আলোচিত বিষয় হলো ‘জলবায়ু পরিবর্তন’। বিশ্বের সামনে এখন যেসব হুমকি রয়েছে, এটি সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে খুব বেশি ফল পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় জলবায়ু সংকটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে যুক্তরাজ্য এক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করেছে মার্কিন প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’। গতকাল শুক্রবার পত্রিকাটির মতামত বিভাগে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে অনেকেই এখন রেকর্ড-উচ্চ তাপমাত্রায় বা বন্যার পানির কারণে কষ্ট পাচ্ছেন, তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ ব্রিটেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য ‘আশ্চর্যজনকভাবে অপ্রস্তুত’। ব্রিটিশ সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির গত বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উপসংহারে এই কথাই বলা হয়েছে। ওই কমিটি জলবায়ু নীতি সম্পর্কিত যুক্তরাজ্যের স্বাধীন উপদেষ্টা সংস্থা।
এটি বেশ আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে যে, যুক্তরাজ্যের মতো একটি ধনী দেশ এ ধরনের চ্যালেঞ্জের জন্য এতটা প্রস্তুত নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন দুর্যোগসহ আবহাওয়া এখন আরও চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠেছে। মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর দুর্বল জনগোষ্ঠীই জলবায়ু পরিবর্তনের এই ক্ষতিকর প্রভাবের সম্মুখীন হয়েছে।
তবে এর বিপরীতে সাধারণত অভিযোজন বা মানিয়ে নেওয়ার বিষয়েও কথা শোনা যায়, যা মূলত জলবায়ু সংকটের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রভাব মোকাবিলা করার প্রক্রিয়া ও কাঠামোর পরিবর্তন বুঝিয়ে থাকে।
কিন্তু জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বনের উন্নয়নমূলক ভূগোলের অধ্যাপক লিসা শিপার এ ধরনের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। তিনি বলছেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এমন একটি ছবি আঁকা হয়েছে, যেখানে কার্যত দেখানো হয়েছে- দরিদ্র দেশগুলোতেই কেবল জলবায়ু বিপর্যয় ঘটে থাকে।’ আর এটি মানুষকে আত্মতুষ্টির দিকে পরিচালিত করেছে, যা থেকে আমরা সম্ভবত জেগে উঠছি।
তবে বেশির ভাগ সময়ই সংকটের মধ্যে থাকা দরিদ্র দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের অভিযোজন প্রক্রিয়ায় আরও স্পষ্টভাবে নজর দিয়েছে। ২০২১ সালে জার্মানির বিপর্যয়কর বন্যায় ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই বন্যার প্রতিক্রিয়ায় ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’র ডিরেক্টর সালেমুল হক পত্রিকার নিবন্ধে লিখেছিলেন, কীভাবে ধনী দেশগুলো তার নিজের দেশ (বাংলাদেশ) থেকে শিখতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যা নিয়মিতভাবে আঘাত হানায় ওই ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষের প্রাণহানি কমিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা ও আশ্রয় দেওয়ার সক্ষমতাসহ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ‘সর্বোত্তম দুর্যোগ সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’ নিশ্চিতের বিষয়টি বাংলাদেশ এখন গর্বের সঙ্গে বলে থাকে।
এর অর্থ এই নয় যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর টেকসই উন্নয়নের জন্য আরও সাহায্যের প্রয়োজন নেই, বা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য এ বিষয়ে ব্যাপকভাবে অপ্রস্তুত। সাম্প্রতিক ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ রিপোর্টের সারাংশ অনুযায়ী, নীতির ফাঁকফোকর সব জায়গায় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে বাধা দিচ্ছে।
যদিও অভিযোজন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়ছে, তার পরও প্রয়োজনীয় অর্থের চেয়ে সেটি এখনও বেশ কম এবং হাতে থাকা বিশাল কাজের জন্য অপর্যাপ্তও। আমরা যেসব সমস্যা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি, সেখানেও অর্থ আটকে থাকছে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়লে ভবিষ্যতের সুরক্ষা নিশ্চিতের চেয়ে ক্ষতি মেরামতের কাজেই আরও বেশি অর্থ ব্যয় হয়ে যায়।
চরম তাপমাত্রার কারণে একে অপরের ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা দুটি ডেটা সেন্টার এ সময় অকার্যকর হয়ে যায়। এতে লন্ডনের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল এবং কমিউনিটি পরিসেবা কেন্দ্রের বেশিরভাগ ক্লিনিক্যাল আইটি সিস্টেম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যার ফলে রোগীর সেবা-যত্নে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটে। এমনকি অন্য দেশের পরিবর্তিত অবস্থার কারণেও ক্ষতির মুখে পড়েছে ইংল্যান্ড; যেমনÑ স্পেনে অসময়ের ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সালাদপণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
উদ্বেগজনকভাবে বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে তা কেবল শুরু। সিসিসির অভিযোজন কমিটির প্রধান জুলিয়া কিং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি আরও ক্রমবর্ধমান প্রভাব সৃষ্টি করবে এবং যতক্ষণ না আমরা নেট জিরোতে না পৌঁছাই ততক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি বন্ধ হবে না।
আমরা মোটামুটি আরও তিন দশক ধরে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁঁকি মোকাবিলা করছি। আর তাই গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়ায় ছাড়িয়ে যাওয়া মোটামুটি স্বাভাবিক হতে বেশি সময় লাগবে না।
অবশ্য পরিচিত এই ঝুঁকির জন্য প্রস্তুতি এবং সংকট মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ‘একটি দশক’ হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করেন কিং। যুক্তরাজ্যে সরকারি ব্যয় বহু বছর ধরে অনেক কম, যার মানে হলোÑ অবকাঠামো এবং পরিসেবাগুলো পুরনো ও দুর্বল। তবে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ব্যবহারকে ত্বরান্বিত করার জন্য গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা একটি সরকারি পরিকল্পনায় সামান্য কিছু নতুন ব্যয় রয়েছে।
বৈশ্বিকভাবে এবং অভ্যন্তরীণভাবে যে কোনো দুর্যোগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউনিভার্সিটি অব বনের অধ্যাপক লিসা শিপার জোর দিয়ে বলছেন, সব অভিযোজন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে সমতা। আর সেটি না হলে ছোট অংশের লোকদের সাহায্য করতে গিয়ে সম্ভবত অন্যদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলার মতোই কাজ হবে।
সিসিসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্রিস স্টার্কের মতে, যুক্তরাজ্যের লোকেরা ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন, বিশেষ করে যাদের অনেকেই প্লাবনভূমিতে বা অত্যধিক গরম হয়ে যাওয়া বাড়িতে বাস করেন এবং তারা এখন এই বিষয়ে পদক্ষেপ চাইছেন। আর তাই অর্থনীতিকে আরও জলবায়ু সহনশীল করার দায়িত্ব পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণবিষয়ক বিভাগের।
যেমন- শহুরে নকশায় গাছকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা বন্যার ঝুঁকি কমাতে পারে, শহরকে শীতল রাখতে সাহায্য করতে পারে, সুস্থতা ও স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং বায়ুদূষণও কমাতে পারে।
ব্রিটিশ সরকার ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তার তৃতীয় জাতীয় অভিযোজন প্রোগ্রাম প্রকাশ করবে। আশা করা যায়, ওই প্রোগামে সিসিসির সুপারিশগুলো গ্রহণ করা হবে এবং সেই সব দরিদ্রতার অভিজ্ঞতা থেকে সরকার শিখবে, যারা এ বিষয়ে আদর্শ দেশে পরিণত হয়েছে।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- ভোলায় জেলা প্রশাসনের ঈদ সামগ্রী পেল ৩০ পরিবার
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- ভোলায় উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল
- বোরহানউদ্দিনে মাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক
- দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সচেতনতা ও সামর্থ্য বাড়াতে হবে
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- ভোলায় সাড়ে ৩ হাজার কেজি অবৈধ মাছ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- পটুয়াখালী ইপিজেডের জমি হস্তান্তর, ১৩৫০ মিলিয়ন বিনিয়োগের প্রত্যাশা
- জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- ভোলায় শপথ নিলেন তিন ইউপি চেয়ারম্যান
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষকরাও বদলির সুযোগ পাচ্ছেন
- পরিবর্তন হলো ২৪৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- লিটনের সমস্যাটা মানসিক, এখান থেকে বের হতে হবে: সুজন
- বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা টোল আদায়