• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয়ে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২১  

জিল্লুর রহমান জেলিন। এসএসসি পর্যন্ত তার পড়ালেখার দৌড়। কিন্তু সবাইকে বলে বেড়ান তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে বিবিএ, এমবি করেছেন।

পরিচয় দেন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে। চলাফেরা করেন বাহিনীর পোশাক পরে। প্রতিশ্রুতি দেন অধস্তন কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের। অথচ সবই ভুয়া। দীর্ঘদিন ধরে এই ছদ্মপরিচয়ে বহুজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। গোয়েন্দা জালে আটকের পর বেরিয়ে এসেছে জেলিনের আসল চেহারা।

মিথ্যার বেসাতি সাজিয়ে নকল ভাবমূর্তি তৈরি করা জেলিন নিজেকে পরিচয় দেন বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৮ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে। অ্যাডিশনাল এসপির র‌্যাংক লাগানো পোশাকে চলাফেরা তার। ২০১৭ সালে প্রচার করেন পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়ার খবর। অথচ ২৮ ব্যাচের কেউ এখনও এসপি হননি।

কাউকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে, কারও পদোন্নতি কিংবা অন্য যে কোনো সমস্য সমাধানের আশ্বাস দিয়ে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

এক ভুক্তভোগী বলেন, ২০১৬ সালের মাঝামাঝির দিকে জিল্লুর রহমান জেলিনের সঙ্গে আমার এক ফুফাত ভাইয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন যে জেলিন অ্যাডিশনাল এসপি, হেডকোয়ার্টারে আছেন। প্রমোশনের জন্য আপনার কাছে যদি টাকা থাকে, তবে ১০ দিনের জন্য সাহায্য করেন। আমি থাকব, সমস্যা হবে না। আমার ফুফাত ভাইয়ের এমন কথায় আমি জেলিনকে কয়েক ধাপে ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করি। তার স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাই, বিকাশেও টাকা পাঠাই। পরবর্তীকালে যখন টাকা পাইনি, তখন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আসলে তার কোনো ডেস্ক নেই, অফিসও নেই। পরে তার এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখি, তিনি পুলিশের কেউ না।

পুলিশ বলছে, প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করতেই পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে দিতেন তিনি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, জেলিন পুলিশে ভর্তি না হয়ে পুলিশের পোশাক-ব্যাচ, সারদার প্রশিক্ষণ ম্যানু, পুলিশের সার্ভিস টাইপ সংগ্রহ করেছে। নিশ্চয় পুলিশের এই বিষয়গুলো জানে এমন কারও সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। তিনি যে এ ধরনের প্রতারণা ব্যবসায় এসেছেন, তা তো কারও না কারও সাহায্য লেগেছে।

প্রতারণা ছাড়া সে অন্য কোনো অপরাধে জড়িত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।