• বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২২ ১৪৩০

  • || ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবকে সব সময় হৃদয়ের কাছাকাছি পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস আজ আজ স্বৈরাচার পতন দিবস সরকার গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে সোহরাওয়ার্দী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: রাষ্ট্রপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ সবসময় সাহস জোগায়: প্রধানমন্ত্রী অবসরের তিন বছরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচন করতে পারবে না বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন আজ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের বিভিন্ন স্থান আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত: রাষ্ট্রপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বিশ্ব ইতিহাসে বিরল ঘটনা তরুণদের মুখোমুখি সজীব ওয়াজেদ জয় বিখ্যাত মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজ ম্যাগাজিন নিউজউইকে শেখ হাসিনার নিবন্ধ

পাহাড়ি ২৬ উপজেলা আসছে সড়ক নেটওয়ার্কে

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৩  

পাহাড়ে স্থাপিত হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক। পার্বত্য তিন জেলার ২৬টি উপজেলায় এই সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হলে সেখানকার কৃষি ও অকৃষি পণ্যের পরিবহন ব্যয় কমবে। এর ফলে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রাঙামাটি জেলার জেলার ১০টি উপজেলা, বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলা এবং খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার পাহাড়ে এই সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের তিন জেলা ঘিরে গ্রামীণ জনসাধারণের কৃষি ও অ-কৃষি খাতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়ারী কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদনে এবং উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণে সহযোগিতা ও পর্যটন খাতে উন্নতি সাধন, পল্লী এলাকার দুঃস্থ নারীদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা এবং পল্লী এলাকায় জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছানোর লক্ষ্যে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে ৭৩২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

প্রকল্পের আওতায় ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ইউনিয়ন সড়ক ও গ্রাম সড়কের উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গত অক্টোবরে নেওয়া প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেয়াদে শতভাগ বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গ্রামীণ সড়ককে দুর্যোগ সহনীয় দুই লেন সড়কে উন্নীতকরণ, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ বা পুনর্বাসন, ইউনিয়ন সড়কের ইন্টারসেকশন নিরাপদকরণ, গ্রোথ সেন্টার উন্নয়ন, বাজার উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২ নম্বর অনুযায়ী টেকসই কৃষির প্রসার এবং অভীষ্ট - ৯ এ অভিঘাতসহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়নের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজি'র লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, প্রকল্পটি গত ৯ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। দেশের দুর্গম তিন পার্বত্য জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় সেখানকার উৎপাদিত কৃষি ও অকৃষি পণ্যের পরিবহন ব্যয় অনেক বেশি। এর ফলে সেখানে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পায় না। ফলে সেখানে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় না। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে। সেখানকার কৃষি ও অকৃষি পণ্যের পরিবহন ব্যয় কমবে। এর ফলে সেখানে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের তিন জেলা ঘিরে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে কৃষি উৎপাদনে এবং উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণে সহযোগিতা এবং পর্যটন খাতে উন্নতি সাধন করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৭ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।