• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী

রমজান ঘিরে বাড়ছে আমদানি

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩  

 রমজান উপলক্ষে দেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতে আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকটে থাকার কারণে ব্যাংকগুলো এলসি খোলা বন্ধ রেখেছিল। তবে সরকার নির্দেশনা দেওয়ার পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হচ্ছে। ফলে প্রতি মাসেই আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। রমজান মাসে চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুরসহ আরও কিছু পণ্যের বাড়তি প্রয়োজন হয়। সেগুলোর আমদানিও শুরু হয়ে গেছে। এ কারণে আমদানি ব্যয় বাড়ছে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রতি মাসে গড় আমদানি ব্যয় প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে তা কমে ৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। আগস্টে ব্যয় হয় ৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। নভেম্বর মাসে তা ৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ৭ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপে আমদানি খাতে ব্যয় বেশ কমে আসায় এক ধরনের স্বস্তি বোধ করছিল সরকার। কিন্তু অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ফের বাড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার আমদানি ব্যয়ের সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, বিদায়ী ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ৭০৩ কোটি ৪০ লাখ (৭.০৩ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছেন দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। এই অঙ্ক ২০২১ সালের নভেম্বরের চেয়ে ৩ দশমিক ২১ শতাংশ কম হলেও ২০২২ সালের অক্টোবরের চেয়ে ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। এদিকে করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় গত ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই আমদানি খাতে খরচ বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত বড় উলস্নম্ফনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অর্থবছর, রেকর্ড ৮২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি। আমদানি বাড়ায় বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ বেশ চাপের মুখে পড়ে। ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। ২০২১ সালের আগস্টে যে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল, সেই রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের এই চাপের মধ্যেই আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) নভেম্বর-ডিসেম্বর মেয়াদের ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই সূচক ৩২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে রয়েছে। অস্বাভাবিক আমদানি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের ফলে বেশ ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছিল। আমদানি ব্যয় বেশ কমে এসেছিল। ঋণপত্র বা এলসি খোলার পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছিল। এক ধরনের স্বস্তি বোধ করছিল সরকার। আমদানি কমাতে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয় গত বছরের ১৭ এপ্রিল। ওই দিন এক সার্কুলারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প এবং কৃষি খাতসংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানি ছাড়া অন্য সব পণ্য আমদানির বিপরীতে ঋণপত্র স্থাপনের (এলসি) নগদ মার্জিন হার নূ্যনতম ২৫ শতাংশ সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়। এরপর ১০ মে বিলাসপণ্য আমদানি কমাতে আরও কড়াকড়ি আরোপ করে আরেকটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সার্কুলারে বলা হয়, সব ধরনের মোটর কার, হোম অ্যাপস্নায়েন্স হিসেবে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর আমদানি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে নূ্যনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে অতি জরুরি পণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যদিকে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ব্যয় সংকোচনের পথ বেছে নেয় সরকার। অতি প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের কর্তাদেরও বিদেশ সফর বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কম গুরুত্বপূর্ণ আমদানিনির্ভর প্রকল্পের বাস্তবায়ন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, 'আমদানি বাড়ার ভালো দিকও আছে। অর্থনীতি বড় হলে আমদানি বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আমদানি বাড়বে, দেশে বিনিয়োগ বাড়বে। অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। নানা পদক্ষেপে সেটা কমে এসেছিল। এখন আবার বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের রিজার্ভ কমছেই। এ অবস্থায় আমদানি রিজার্ভের ওপর আরও বেশি চাপ পড়বে। তাই সরকার কৃচ্ছ্রসাধনের যে পথে হাঁটছে, তা আরও কিছুদিন চালিয়ে যেতে হবে। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ঋণগুলো পাওয়ার পর তখন ভিন্নভাবে চিন্তা করা যেতে পারে।' তিনি আরও বলেন, 'বিদায়ী ২০২২ সালে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ডিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। রিজার্ভে বেশ বড় রকমের পতন হয়েছে। রপ্তানি বাড়লেও আমদানি আরও বেশি বেড়েছে।'