• শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২২ ১৪৩০

  • || ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবকে সব সময় হৃদয়ের কাছাকাছি পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস আজ আজ স্বৈরাচার পতন দিবস সরকার গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে সোহরাওয়ার্দী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: রাষ্ট্রপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ সবসময় সাহস জোগায়: প্রধানমন্ত্রী অবসরের তিন বছরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচন করতে পারবে না বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন আজ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের বিভিন্ন স্থান আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত: রাষ্ট্রপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বিশ্ব ইতিহাসে বিরল ঘটনা তরুণদের মুখোমুখি সজীব ওয়াজেদ জয় বিখ্যাত মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজ ম্যাগাজিন নিউজউইকে শেখ হাসিনার নিবন্ধ

কোটিপতি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে ব্যাংকগুলো, কী সুফল মিলছে

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

মাসে ১৯ হাজার টাকা জমা করেই আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি। এটি স্বপ্ন নয়, বাস্তব। তবে সময় লাগবে ২০ বছর। আর চার বছরে কোটিপতি হতে চাইলে মাসে জমাতে হবে পৌনে দুই লাখ টাকা। এমন সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে দেশের ব্যাংকগুলো। এ ধরনের স্কিমে সাড়া পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা। আর সাধারণ গ্রাহকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও লাভবান হচ্ছে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।

টাকায় টাকা আসে বা অর্থই অর্থ বাড়ায়–চিরন্তন এ সত্যের পেছনে গল্প থাকে অনেক সময়ই বৈধ-অবৈধতার। তবে সময় পেরিয়েছে, আর্থসামাজিক উন্নয়নে আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে মানুষের। তাই মনের বাসনা পূরণে এগিয়ে এসেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে সাম্প্রতিক কোটিপতি ও মিলিয়নিয়ার স্কিমগুলো। এসব স্কিমে বৈধভাবেই যে কেউ হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি বা মিলিয়নিয়ার।

ব্যাংক অনুসারে কোটিপতি স্কিমগুলো সাজানো হয়েছে ৪ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত। সাধ্যানুযায়ী প্রতিমাসে কেউ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জমিয়ে ৪ বছরেই হতে পারেন কোটিপতি। কিংবা দীর্ঘ মেয়াদে ২০ বছরের স্কিমে প্রতিমাসে সর্বনিম্ন ১৯ হাজার টাকা জমিয়েই এ সুবিধা নিতে পারেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে ২০ বছর প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা জমিয়েই মিলিয়নিয়ার বা ১০ লাখ টাকার মালিক হতে পারেন গ্রাহকরা। ব্যাংকাররা জানান, মানুষের স্বপ্নপূরণে কাজ করছে স্কিমগুলো।
 
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. সাফকাত হোসাইন সময় সংবাদকে বলেন, ‘১৫ বছর বা তার বেশি বছরের স্কিমে আমাদের গ্রাহক বেশি। কারণ, এই কিস্তি বহন করাটা তাদের জন্য সুবিধাজনক।’

রূপালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মতিলাল ফকির বলেন, ‘যারা সঞ্চয় করে বেশি পরিমাণ টাকা একসঙ্গে পেতে চায়, তাদের জন্য এই স্কিম সুবিধাজনক। এ জন্যই এ ধরনের স্কিম চালু করা হয়েছে।’
 
ব্যাংকগুলোর কোটিপতি ও মিলিয়নিয়ার স্কিমের মোট অঙ্কের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ টাকা জমা করে গ্রাহক, ‘আর বাকি অর্থ লভ্যাংশ হিসেবে দেয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।’ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকের টাকা জমানোর মাধ্যমে চাপ কমে মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভের ওপর। নগদ অর্থের জোগানে লাভবান হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও।
 
অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, এই কোটিপতি স্কিমে সঞ্চয় করাটা অর্থনীতির জন্য ভালো। গ্রাহকদের জন্য যেমন ভালো, তেমনি আমাদের এক্সটার্নাল সেক্টর, বিশেষ করে ফরেন রিজার্ভের ওপর যে চাপ ছিল, সেটা কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া বাজারে যে মূল্যস্ফীতির চাপ, সেটাও কিছুটা কমতে সহায়তা করে। একই সঙ্গে ব্যাংকে তারল্য সংকট কাভার করতে সক্ষম হয়।

স্কিমগুলো পরিচালনায় কৌশলী বেশি হওয়া ও আমানতে সুদহার বেশি থাকায় ডিপোজিটে এগিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। মেয়াদ শেষে গ্রাহকের মোট টাকা থেকে সার্ভিস চার্জের সঙ্গে র্নিধারিত উৎসে কর ১৫ শতাংশ কেটে রাখবে ব্যাংকগুলো। আর টিআইএন নম্বর থাকলে কাটা যাবে ১০ শতাংশ টাকা।