• শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২২ ১৪৩০

  • || ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবকে সব সময় হৃদয়ের কাছাকাছি পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস আজ আজ স্বৈরাচার পতন দিবস সরকার গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে সোহরাওয়ার্দী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: রাষ্ট্রপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ সবসময় সাহস জোগায়: প্রধানমন্ত্রী অবসরের তিন বছরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচন করতে পারবে না বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্রখাতের অবদান অপরিসীম : প্রধানমন্ত্রী শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন আজ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের বিভিন্ন স্থান আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত: রাষ্ট্রপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বিশ্ব ইতিহাসে বিরল ঘটনা তরুণদের মুখোমুখি সজীব ওয়াজেদ জয় বিখ্যাত মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজ ম্যাগাজিন নিউজউইকে শেখ হাসিনার নিবন্ধ

প্রাথমিকে সৃষ্টি হচ্ছে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৩  

দীর্ঘ তিন বছর ঝুলে থাকার পর চূড়ান্ত হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা। এই বিধিমালার আলোকে নতুন করে সৃষ্টি করা হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ। দেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য শিগগিরই নিয়োগ দেয়া হবে সহকারী শিক্ষক। বর্তমানে যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন কিংবা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন বা পাবেন তাদের মধ্য থেকেই জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক পদেও পদোন্নতি পাবেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন এমন অনেক সহকারী শিক্ষকের সাথে কথা বললে তারা  জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অনেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করার পর দীর্ঘ ৩৮-৩৯ বছরেও কোনো পদোন্নতি পাননি। দেখা যায়, একজন সহকারী শিক্ষক ৩৮ বছর পরে একই পদে থেকেই তার চাকরি জীবন শেষ হয়। এটা দুঃখজনক। পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় অনেকে কাজের আগ্রহ হারান কিংবা পেশায় শতভাগ মনোযোগ দিতে চান না। পদোন্নতির সুযোগ তৈরি হলে এই পেশার প্রতি মেধাবীদের আগ্রহও বাড়বে।

অবশ্য নতুন এই বিধিমালায় বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষকদেরও পদোন্নতির সুযোগ তৈরি হবে। পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) দু’টি পরিচালক পদেও ধাপে ধাপে পদোন্নতি পাবেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। সূত্র মতে, ২০২০ সালের গোড়ার দিকে প্রথমে এই বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হলেও পরবর্তীতে করোনা এবং তৎপরবর্তী কিছু জটিলতার কারণে সেই উদ্যোগের কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে এবার বিধিমালা চূড়ান্ত করে শিক্ষক নিয়োগের সব প্রক্রিয়া আরো সহজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিধিমালা তৈরির সব প্রক্রিয়াও শেষ পর্যায়ে। আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহের দিকে এই বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা প্রকাশও করা হবে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘ তিন বছর ঝুলে থাকার পর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকেই চূড়ান্ত করা হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা। এর অধীনে ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া অধিদফতরের দু’টি পরিচালক পদেও ধাপে ধাপে যেতে পারবেন প্রাইমারির শিক্ষকরা। মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জারি হবে প্রজ্ঞাপন।

ডিপিই সূত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আর সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে না। সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষক করা হবে। আর এখন যারা প্রধান শিক্ষক আছেন তারাও পদোন্নতি পাবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেক আগের একটি সিদ্ধান্ত ছিল যে, প্রধান শিক্ষকের পদ অবসরজনিত কারণে শূন্য হলে ওই পদে নতুন নিয়োগ না দিয়ে বরং সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা হবে। ২০২০ সালে সরকারি কর্মকমিশন থেকে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের তালিকা করে একটি রিক্যুজিশন দেয়ারও প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তখন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল প্রধান শিক্ষক পদে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজন নেই। পদোন্নতি দিয়ে এই পদ পূরণ করা হবে। অন্যদিকে সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের ৬৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি আনিসুর রহমান জানান, পদোন্নতির দাবিটি আমাদের দীর্ঘ দিনের। একজন শিক্ষক যে পদে চাকরিতে যোগদান করলেন চাকরির শেষ জীবনে এসেও তিনি ওই একই পদে থেকেই বিদায় নেবেন এটা কোনো সিস্টেম হতে পারে না। দেখা গেল ৩৮ বছর পর যদি একই পদে থেকে চাকরি করতে হয় তাহলে শিক্ষকদের মধ্যে একটি হতাশার সৃষ্টি হয়। কাজের আগ্রহ হারায়। মেধাবীরা এই পেশায় আসতে আগ্রহ দেখাবেন না। তবে নতুন এই বিধিমালায় পদোন্নতির সুযোগ তৈরি হওয়ায় সব শিক্ষকদের মধ্যেই একটি আগ্রহ তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছে প্রায় চার লাখ। এদের বেশিরভাগের চাকরি জীবন শেষ হয় পদোন্নতি ছাড়াই। ফলে শিক্ষকরা চরম হতাশায় ভোগেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানিয়েছেন, শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যবস্থা না থাকায় একটি স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল। এ অবস্থা কাটাতে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা তৈরির কাজ শুরু করে মন্ত্রণালয়। নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে বিধিমালা। এর ফলে ৬৫ হাজার শিক্ষক সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন। সুযোগ পাবেন অধিদফতরেও। আর এর মাধ্যমে নতুন করে মেধাবীরা এই পেশায় আসার আগ্রহ দেখাবেন।