নাৎসি গুপ্তচর ছিলেন এই বাঙালি বধূ, তার রহস্যময় যৌনজীবন
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২১
চেহারায় পুরোদস্তুর বিদেশী, কিন্তু তার স্বভাবচরিত্র বাঙালি নারীর মতো। সবসময়ই পরনে থাকতো শাড়ি। বিয়েও করেছেন এক বাঙালি যুবককে। এতেও খবরের শিরোনাম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তিনি যে কাজটি করেছেন, সেজন্য আজও আলোচিত।
‘সাবিত্রী দেবী’ হিসেবে পরিচিত এই নারীর আসল নাম ম্যাক্সিমিয়ানি জুলিয়া পোর্টাস। ইতিহাস তাকে মনে রেখেছে হিটলারের অন্ধ ভক্ত হিসেবে। নিজেকে ‘ধর্মচ্যুত আর্য’ বলে মনে করতেন সাবিত্রী। সমর্থন করতেন নাৎসিবাদকে। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তিনি গুপ্তচর হিসেবেও কাজ করেন মিত্রপক্ষের বিরুদ্ধে।
কে এই সাবিত্রী দেবী?
নীল শাড়ি পরা সাবিত্রী দেবীর ছবি দেখলে তাকে দেখে মনে হবে তিনি একজন ভারতীয় হিন্দু নারী। কিন্তু আসলে তা নয়। তিনি একজন ইউরোপিয়ান। তার জন্ম ১৯০৫ সালে ফ্রান্সের লিয়ঁ-তে। তার মা ছিলেন ইংরেজ আর বাবা একজন গ্রিক-ইটালিয়ান।
রহস্যময়, প্রায়-বিস্মৃত এই নারী ছিলেন একজন আর্য-শ্রেষ্ঠত্ববাদী লেখিকা। তিনি মনে করতেন - হিটলার হচ্ছেন হিন্দুদের ভগবান বিষ্ণুর একজন অবতার। হিটলার নাকি পৃথিবীতে কলি যুগের অবসান ঘটাবেন।
সাবিত্রী দেবী একজন উগ্র গ্রিক জাতীয়তাবাদী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯২০এর দশকে। আর্য জাতির বর্তমান অবস্থা দেখতে তিনি ভারতে যান ১৯৩০ সালে। তখন তার মনে স্থির ধারণা হয় যে ভারতে বর্ণাশ্রমপ্রথা, এবং অন্য বর্ণে বিবাহ নিষিদ্ধ হওয়ায় সেখানে ‘আর্যদের বিশুদ্ধতা’ রক্ষা পেয়েছে।
সাবিত্রী দেবী। ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণকে বিয়ে করেন সাবিত্রী
১৯৩০ সালে কলকাতা শহরে সাবিত্রী দেবী একটি হিন্দু মিশনের হয়ে কাজ শুরু করেন। সেখানে দেবী হিন্দি ও বাংলা শেখেন এবং একজন ব্রাহ্মণকে বিয়েও করেন। মিশনের পরিচালক স্বামী সত্যানন্দও হিটলারভক্ত ছিলেন। এর পর তিনি নাৎসিবা এবং হিন্দুধর্মীয় উপকথাগুলো মিলিয়ে হিটলারকে একজন ‘অবতার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সাবিত্রী দেবী ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ‘আর্য মূল্যবোধ’ বিষয়ে হিন্দি ও বাংলায় বক্তৃতা দিতিন। তাতে হিটলারের মাইন কাম্পফ বই থেকে উদ্ধৃতি দিতেন। সাবিত্রী দেবী বলতেন, হিটলার জার্মানির নেতা হলেও যেহেতু তিনি ইউরাপ থেকে ইহুদিদের নির্মূল করে আর্য নৃগোষ্ঠীকে তার শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে চেয়েছিলেন -তাই হিটলারকে তিনি তার নিজেরও নেতা বা ‘ফুয়েরার’ মনে করেন।
১৯৪৫ সালে হিটলারের পতন হওয়ার পর সাবিত্রীর মন ভেঙে যায়। তিনি ইউরোপে ফিরে এসে শুরু করলেন লেখালিখি। তার বিভিন্ন বই ‘লাইটিং এ্যান্ড দ্য সান’, ‘লং হুইস্কার্স’, ‘টু-লেগড গডেস’- এগুলোতে তার নাৎসি চিন্তাধারা বিধৃত হয়েছে। নাৎসি সমর্থক লিফলেট বিলি করায় তিনি ১৯৪৮ সালে অধিকৃত জার্মানিতে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেফতার হন।
শেষ বয়সে সাবিত্রী দেবী। ছবি: সংগৃহীত
রহস্যময় যৌনজীবন
সাবিত্রীর যৌনজীবনও ছিল রহস্যময়। অসিত মুখার্জিকে তিনি বিয়ে করলেও তারা একই গোত্রের না হওয়ায় তাদের মধ্যে নাকি কোনো যৌনসম্পর্ক ছিল না। পরে নাৎসিদের অর্থসহায়তা দানকারী ফ্রঁসোয়া ডিওর নামে এক মহিলা দাবি করেছেন যে তিনি তার প্রেমিকা ছিলেন।
শেষ জীবনে বেশি ভাগ সময়ই সাবিত্রী দেবী ভারতের দিল্লিতে থাকতেন। ১৯৭৭ সালে স্বামী অসিতকৃষ্ণ মারা যান। সাবিত্রীও ভারতের পাট চুকিয়ে ফিরে যান ইউরোপে। কিছু দিন জার্মানির ব্যাভেরিয়ায় থাকার পরে ফিরে আসেন জন্মভূমি ফ্রান্সে। তত দিনে তিনি অথর্ব হয়ে পড়েছেন, প্রায় হারাতে বসেছেন দৃষ্টিশক্তি।
১৯৮২ সালে ৭৭ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাবিত্রী দেবী মারা যান। হিন্দু রীতি মেনে তার মরদেহ দাহ করা হয়। পরে তার চিতাভস্ম ভার্জিনিয়ায় আমেরিকান নাৎসি পার্টির দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নব্য নাৎসি নেতা রকওয়েলের সমাধির পাশেই সেই ভস্মকে সমাহিত করা হয়।
ভারতে তার সাবিত্রী দেবীর কথা প্রায় কেউই মনে রাখে নি। তবে তার লেখায় যে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভাবনা ফুটে উঠেছে - আজকের ভারতে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির মূল দর্শন এটাই!
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে, বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক বন্ধ
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ভোলায় বাজার পরিস্থিতি ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক মতবিনিময় সভা
- দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে কেন মাথাব্যথা করে?
- অলসতা দূর করার দোয়া
- ভোলার দুটি ইলিশের অভয়াশ্রমে আগামীকাল থেকে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা
- পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- হঠাৎ কোমরে ব্যথা কঠিন কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
- চরফ্যাশনে বকনা বাছুরে ১৮৫ জেলের ভাগ্য বদল
- নতুন নতুন অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
- চরফ্যাশনে আশ্রয়ন প্রকল্পের নব নির্মিত ঘর পরিদর্শন করলেন উপ-সচিব
- ভোলায় নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
- রোজা রাখার আগে যে কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করা জরুরি
- ভোলায় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার পুরস্কার বিতরন
- ভোলায় ১০ লাখ মিটার অবৈধ জাল ও ৪ হাজার কেজি মাছ জব্দ
- ভোলায় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত
- মনপুরা অভিযান চালিয়ে অবৈধ মাছ জব্দ
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালিত
- চরফ্যাশনে আশ্রিত জীবনে ফুটছে আশার আলো