হাসন রাজা প্রয়াণের শত বছর
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২২

“লোকে বলে বলেরে, ঘর বাড়ি ভালা নায় আমার
কি ঘর বানাইমু আমি, শূন্যের-ই মাঝার
ভালা করি ঘর বানাইয়া, কয় দিন থাকমু আর
আয়না দিয়া চাইয়া দেখি, পাকনা চুল আমার”
এই গান শোনেনি, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম। গানের রচয়িতা মরমী কবি এবং বাউল হাসন রাজা। দেশ, জাতি, ধর্ম এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল মানুষের একটি ধর্ম রয়েছে, যাকে মানবতা বলে। এই মানবতা সাধনার একটি রুপ হলো মরমী সাধনা। যে সাধনা হাসন রাজার গান এবং দর্শনে পাওয়া যায়। তিনি সর্বমানবিক ধর্মীয় চেতনার এক লোকায়ত ঐক্যসূত্র রচনা করেছেন। তাঁর রচিত গানগুলো শুনলে মনের মাঝে আধ্যাত্মবোধের জন্ম হয়। এক সময়কার প্রতাপশালী অত্যাচারী জমিদার হাসন রাজা একটা সময় এসে একজন দরদী জমিদার এবং মরমিয়া কবি ও বাউল সাধক হয়ে ওঠেন।
আজ তার শততম প্রয়াণবার্ষিকী। এই ডিসেম্বর মাসেই জন্ম হয়েছিল তাঁর। আবার শূন্যের মাঝে ঘরও বানিয়েছিলেন এই ডিসেম্বরে।
সুনামগঞ্জের লক্ষণশ্রী পরগণার তেঘরিয়া গ্রামে এই মরমিয়া কবির জন্ম। ৭ পৌষ ১২৬১ ও ২১ ডিসেম্বর ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে (ইংরেজী সাল অনুযায়ী) দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী এবং মোসাম্মৎ হুরমত জান বিবির ঘর আলোকিত করে জন্ম হয় হাসনের। হুরমত বিবি ছিলেন আলী রাজার খালাতো ভাই আমির বখ্শ চৌধুরীর নিঃসন্তান বিধবা। পরবর্তীতে হাসন রাজার পিতা আলী রাজা তাকে পরিণত বয়সে বিয়ে করেন। হাসন রাজা ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় পুত্র।
হাসনের পূর্বপুরুষের অধিবাস ছিল ভারতের উত্তর প্রদেশের অয্যোধ্যায়। বংশ পরম্পরায় তাঁরা হিন্দু ছিলেন। অতঃপর তাঁরা দক্ষিণবঙ্গের যশোর জেলা হয়ে সিলেটে এসে থিতু হন। তাঁর দাদা বীরেন্দ্রচন্দ্র সিংহদেব মতান্তরে বাবু রায় চৌধুরী সিলেটে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
হাসন বেশ সুপুরুষ দর্শন ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত। তিনি সহজ-সরল সুরে আঞ্চলিক ভাষায় প্রায় সহস্রাধিক গান এবং পংক্তি রচনা করেছেন। এছাড়াও আরবী ও ফার্সি ভাষায় ছিল বিশেষ দক্ষতা। তখন সিলেটে ঘরে ঘরে আরবী ও ফার্সির প্রবল চর্চা চলত।
হাসন যৌবনে ছিলেন ভোগবিলাসী এবং সৌখিন। বিভিন্ন সময় তিনি অনেক নারীর সাথে মেলামেশা করেছেন। প্রতি বছর, বিশেষ করে বর্ষাকালে, নৃত্য-গীতের ব্যবস্থাসহ নৌকাবিহারে চলে যেতেন এবং বেশ কিছুকাল ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত করে দিতেন। এই ভোগবিলাসের মাঝেও হাসন প্রচুর গান রচনা করেছেন। বাইজী দিয়ে নৃত্য এবং বাদ্যযন্ত্রসহ এসব গান গাওয়া হত। সেই গানের মাঝেও অন্তর্নিহিত রয়েছে নশ্বর জীবন, স্রষ্টা এবং নিজের কৃত কর্মের প্রতি অপরাধবোধের কথা। কে জানতো সেই অত্যাচারী, ভোগবিলাসী জমিদারই হবেন পরবর্তীকালের সবচেয়ে প্রজাদরদি এবং দরবেশ জমিদার!
সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া এলাকায় সুরমা নদীর কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে হাসন রাজার স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি। এটি এখন সুনামগঞ্জের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। বাড়িটিকে জাদুঘর বানিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে সাধক হাসনের ব্যবহৃত কুর্তা, খড়ম, তরবারি, পাগড়ি, ঢাল, থালা, বই এবং নিজ হাতে লেখা কবিতা ও গানের পাণ্ডুলিপি। এসব দেখে হাসনকে খানিক বোঝার চেষ্টা করা যায়। খানিক খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা যায়, মরমি হাসন কতটা রক্ত-মাংসের মানুষ ছিলেন।
হাসন রাজার ভক্তদের দাবি জাদুঘরটির সংস্কার করা। নইলে চলছে না। কারণ, গত বন্যায় এর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মূল্যবান জিনিসপত্র রক্ষা করতে হলে এর সংস্কারের বিকল্প নেই।
হাসন রাজার ব্যবহৃত অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র আছে, যা অনেকেই জানেন না। সংরক্ষণের জায়গা ঠিকঠাক না থাকায় সেগুলো মানুষকে দেখানো যাচ্ছে না। হাসন রাজার নামে আলাদা একটি কমপ্লেক্স করা তাই সময়ের দাবি।
হাসন রাজা ট্রাস্টের সভাপতি ও হাসন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান এমদাদ রাজা চৌধুরী বলেন, “বন্যার কারণে হাসন রাজা মিউজিয়ামটির অবস্থা বেশ করুণ হয়ে গেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে হাসন রাজাকে নিয়ে চর্চা করার সুযোগ পায়, সে জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন দরকার।”
- বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে রনির প্রথম ফিফটি, রানপাহাড়ের পথে বাংলাদেশ
- ৩০ মার্চ থেকে হাসপাতালেই প্র্যাকটিসের সুবিধা পাবেন চিকিৎসকরা
- বাইরে নালিশ করা, কান্নাকাটি করা বিএনপির চরিত্র: শেখ হাসিনা
- স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছায় বাইডেন বললেন ‘জয় বাংলা’
- ‘জিয়াউর রহমান নির্বিচারে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছেন’
- অস্বাভাবিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে কিছু লোকের কদর বাড়ে: প্রধানমন্ত্রী
- চ্যাটজিপিটিকে ছাড়িয়ে যাবে গুগল বার্ড, ব্যবহার করবেন যেভাবে
- রাতে প্রস্রাবের চাপে ঘুম ভাঙে, প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- মেকআপের ক্ষেত্রে এইসব ভুল করাই যাবেনা
- নানা পদের ইফতারি
ইরানি হালুয়া - প্রযোজকের নামে শাকিব খানের মামলা, তদন্তে পিবিআই
- শেষ পর্যন্ত দেশীয় কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত
- শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: বীর বাহাদুর উশৈসিং
- বাবা-ছেলেকে আটকে ‘১২ মিনিট’ চলে নির্মম নির্যাতন
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোবাইল কোর্ট দেখে জাল নোট খেয়ে ফেলার চেষ্টা
- থাকতেন একই বাড়িতে, বিয়ের আশ্বাসে ৪ বছর ধর্ষণ
- ঈদ-নববর্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
- আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ধরা প্রেমিক-প্রেমিকা, অতঃপর...
- ‘স্ত্রীর গলা কেটে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান রফিক’
- নৌবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন করতে পারবেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও
- পদ্মা সেতুতে রেলপথের বাকি মাত্র ৭ মিটার, চলাচলের অপেক্ষা
- সারাদেশে একদরে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হবে
- এপ্রিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ঘোষণা মিয়ানমারের
- ১০ স্থানে অনুসন্ধানে বিশেষ চুক্তিতে যাচ্ছে বাপেক্স
- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
- পার্টি না করে গরিবদের ইফতার সামগ্রী দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- মঠবাড়িয়ায় অপহৃতা কিশোরীকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব
- বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করণে ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- মুরগির কেজিতে ৪০ টাকা লাভ করায় আড়ত বন্ধ
- যে কারণে ইসলামি বক্তার জিহ্বা কেটে দিয়েছিল তারা
- মোরগ পোলাও খেতে যেয়ে মুখে ডিমের বিস্ফোরণ!
- পার্বত্য চট্রগ্রামে এখন পূর্ন শান্তি বিরাজ করছে- সন্তু লারমা
- চরফ্যাশনে বীমা দিবস পালিত
- শুক্রাণু পেতে নারীদের প্রতিযোগিতায় নামতে বললেন ৬৩ শিশুর পিতা!
- ডোপ টেস্ট
চাকরি হারিয়েছেন মাদকাসক্ত ১১৬ পুলিশ - ভোলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত
- ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভোট না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিল মন্ত্রণালয়
- প্রস্রাবের রং ধূসর হলে করণীয়
- বিচারক-মন্ত্রী-সচিবকে ঘুষ দিতে দালাল চক্রের সঙ্গে ড. ইউনূসের ঘৃণ্যতম চুক্তি
- স্ত্রীর পরিকল্পনায় স্বামীকে হত্যার পর ছয় খণ্ড করেন ইমাম
- গোলাঘরে সোয়া ১ কোটি টাকার হেরোইন!
- কবরে ঢুকে লাশ কোলে নিয়ে বসে আছে যুবক!
- বাংলাদেশের সব বন্দর ব্যবহার করতে পারবে ভুটান
- ভোলায় জাতীয় ভোটার দিবস পালন
- স্বামীর ডিভোর্সের খবরে মাহি লিখলেন, আলহামদুলিল্লাহ
- চরফ্যাশনে তরমুজ চাষে সফল কৃষকরা
- দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ, দিন হবে ২৫ ঘণ্টায়!
- ঘামও হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ, বুঝবেন যেভাবে
- তরমুজের বীজ গিলে ফেললে শরীরে যা ঘটে