• মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৮ ১৪৩০

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
‘আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগে আর সহনশীলতা দেখানো হবে না’ যেকোনও মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনে আপত্তি নেই, সহিংসতা করলে রেহাই পাবে না: প্রধানমন্ত্রী ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে’ শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকে সুন্দর করার পূর্বশর্ত শিশুদের সুন্দর করে গড়ে তোলা ‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’ শিশুর সুশিক্ষা-সুস্থ বিনোদন নিশ্চিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি সরকার প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি সংবেদন ও শ্রদ্ধাশীল: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ ‘বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে আদালতে যেতে হবে’ ভিসা নিষেধাজ্ঞার কোনও যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ অন্ধকারে ফিরে যাবে: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকাপে ভালো খেলবে বাংলাদেশ, আশা প্রধানমন্ত্রীর কন্যাশিশুদের সুদক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর অর্ধকোটি মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছেন শেখ হাসিনা বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে কোনো বিভাজন চলবে না: রাষ্ট্রপতি দেশের ভাবমূর্তি আরো জোরদার করতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী

চোখ ওঠার সমস্যায় কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

বর্তমানে চোখ ওঠা বা কনজেক্টিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন ছোট-বড় অনেকেই। পরিবারের কারও চোখে সংক্রমণ দেখা দিলে অন্যদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে পড়ছে। ছোঁয়াচে এই সংক্রমণের পেছনে দায়ী ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অ্যালার্জেন।

কনজেক্টিভাইটিসের ফলে চোখ গোলাপি বা লালচে হয়ে যায়। একই সঙ্গে চোখে কাঁটার মতো অনুভূতি হয়। এছাড়া চোখ দিয়ে পানি পড়া, সাদা স্রাব জমা, চোখ জ্বালাপোড়া, ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে না পারা, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি যন্ত্রণাদায়ক লক্ষণ দেখা দেয়।

সাধারণত কনজেক্টিভাইটিস ৩ ধরনের হয় যেমন- ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যালার্জিক কনজেক্টিভাইটিস। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোনটি কেন হয় ও এদের চিকিৎসা কী?

ভাইরাল কনজেক্টিভাইটিস

ভাইরাল কনজেক্টিভাইটিসের লক্ষণ অনেকটাই হালকা ধরনের হয়। সংক্রমণে ৭-১৪ দিনের মধ্যেই চিকিত্সা ছাড়াই সেরে যায় চোখের সমস্যা। যাই হোক কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাল কনজেক্টিভাইটিস সারতে ২-৩ সপ্তাহ বা তার বেশি সময়ও লাগতে পারে।

কনজেক্টিভাইটিসের আরও গুরুতর রূপের চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ লিখে দিতে পারেন।

ব্যাকটেরিয়াল কনজেক্টিভাইটিস

হালকা ব্যাকটেরিয়াল কনজেক্টিভাইটিস অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা ছাড়াই ও কোনো জটিলতা সৃষ্টি না করেই সেরে যায়। এটি প্রায়শই চিকিৎসা ছাড়াই ২-৫ দিনের মধ্যে চোখ পরিষ্কার করে দেয়। তবে সম্পূর্ণরূপে চলে যেতে ২ সপ্তাহ সময় নিতে পারে।

ব্যাকটেরিয়াল কনজেক্টিভাইটিসের জন্য ডাক্তার আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে সাধারণত চোখের ড্রপ বা মলম ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

অ্যালার্জিক কনজেক্টিভাইটিস

অ্যালার্জেন (যেমন পরাগ বা পশুর খুশকি) দ্বারা সৃষ্ট কনজেক্টিভাইটিসের জন্য দায়ী প্রাকৃতিক দূষণ। এক্ষেত্রে অ্যালার্জির ওষুধ ও চোখের ড্রপ (টপিকাল অ্যান্টিহিস্টামিন ও ভাসোকনস্ট্রিক্টর), ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারে চিকিৎসক। অ্যালার্জির কারণে কনজেক্টিভাইটিস হলে আপনার ডাক্তার সাহায্য করতে পারেন।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

১. চোখে তীব্র ব্যথা
২. চোখে ঝাপসা দেখা
৩. চোখে তীব্র লালভাব
৪. লক্ষণগুলো আরও খারাপ হওয়া (অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের২৪ ঘণ্টা পরেও উন্নতি না হলে)
৫. ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হলে
৬. নবজাতকদের চোখেও একই লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) বলছে, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণেই পিঙ্ক আইজ বা কনজেক্টিভাইটিসের সংক্রমণ ঘটে। এক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে রোগটি।

তবে এর সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য আক্রান্তদের উচিত লক্ষণ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত ঘরেই থাকা। এমনকি আক্রান্তের উচিত পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা।