• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

২০৩০ সালের মধ্যেই ক্যান্সারের টিকা, জানালেন বিজ্ঞানীরা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২  

অদৃশ্য আতঙ্ক নিয়ে আসা করোনাভাইরাসের গতি আটকে দেয়া সম্ভব হয়েছিল বছরখানেকের মধ্যেই। টিকা আবিষ্কারের মাধ্যমে কডিভ-১৯ এর সঙ্গে লড়াইয়ে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইটা এখনো বলতে গেলে একপেশে। এবার এ ক্ষেত্রেও আশার বাণী শুনিয়েছেন করোনার টিকা আবিষ্কারক দম্পতি।

সম্প্রতি ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী দম্পতি উগুর সাহিন ও ওজলেম তুরেসি ২০৩০ সালের মধ্যেই ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কারের সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন। এ দম্পতির হাত ধরেই করোনাভাইরাসের টিকা আসে। এমআরএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার করে ফাইজারের সহযোগিতায় বায়োএনটেকের যুগান্তকারী করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে নেতৃত্ব দেন এই দম্পতি।

এবার এই বিজ্ঞানী দম্পতি বলেছেন, এই দশকের মধ্যেই ক্যান্সারের টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, তাদের গবেষণার কাজ এ আশা সৃষ্টি করেছে যে, আর কয়েক বছরের মধ্যে ক্যান্সারের টিকা সহজলভ্য হবে।

তারা আরও বলেছেন, মহামারিতে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা আবিষ্কার এবং সাফল্যই আমাদের ক্যান্সারের কাজে ফিরিয়ে নিয়েছে।

বিবিসির সানডে অনুষ্ঠানে লরা কুয়েন্সবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই জার্মান দম্পতি কথা বলেছেন, কীভাবে করোনার টিকা আবিষ্কারে ব্যবহৃত এমআরএনএ প্রযুক্তি ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কারে সহযোগিতা করেছে। এমআরএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার করে তৈরি ক্যান্সারের টিকা কবে নাগাদ রোগীর ব্যবহারের উপযোগী হবে- উত্তরে অধ্যাপক সাহিন বলেন, ‘এটা ২০৩০ সালের আগেই হয়ে যাবে।’

এমআরএনএ টিকা কভিড-১৯ আক্রান্তকারী ভাইরাসের নির্দোষ স্পাইক প্রোটিনগুলো মানুষের শরীরে জিনগত নির্দেশনা ঢুকিয়ে দেয়। নির্দেশনাগুলো টিকা নেয়া মানুষের শরীরে তখন স্পাইক প্রোটিন তৈরি শুরু করে। এই প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনগুলো অপরাধী ধরতে পুলিশের দেয়া ‘ধরিয়ে দিন’ বিজ্ঞপ্তির মতো এক ধরনের বার্তা দেয়। এরা শরীরে রোগ প্রতিরোধী শক্তিগুলোকে বলে দেয় যে, কী করতে হবে এবং কাকে খুঁজতে হবে।

বিবিসিকে তুরেসি বলেছেন, ক্যান্সারের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। যেখানে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ক্যান্সারের সেলকে নষ্ট করে ফেলে। ক্যান্সারের টিকা তৈরির জন্য বায়োএনটেক কয়েক দশক ধরে কাজ করছে। তবে কভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হলে তারা এর টিকা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রতিষ্ঠানটির এখন একাধিক ক্যান্সারের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে।

তুরেসি বলেন, কভিড-১৯-এর টিকা এবং এটি তৈরি করতে গিয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কারের কাজকে গতিশীল করছে। আমরা শিখেছি কীভাবে আরও ভালো, আরও দ্রুত টিকা তৈরি করা যায়। আমরা বিপুলসংখ্যক মানুষের মধ্যে ইমিউন সিস্টেম কীভাবে এমআরএনএর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটি শিখেছি।

তিনি বলেন, করোনার টিকা আবিষ্কার নিয়ন্ত্রকদের এমআরএনএ ভ্যাকসিন এবং কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে হয়, সে সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেছে।

অধ্যাপক তুরেসি বলেছেন, বিজ্ঞানী হিসেবে এটা বলতে আমরা সব সময় দ্বিধান্বিত যে আমাদের কাছে ক্যানসার সারানোর দাওয়াই আছে। তবে আমাদের অনেকগুলো ভালো অর্জন আছে। আর আমরা সেগুলোর ওপর কাজ চালিয়ে যাব।