• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের

মোখায় মিয়ানমারে মৃত্যুর নতুন সংখ্যা জানাল জান্তা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩  

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে ৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা। মোখা তাণ্ডবের ৬ দিন পর সেই বিবৃতিতে পরিবর্তন এনেছে তারা।

সামরিক বাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে জান্তা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৫ জন মানুষ। নিহতদের মধ্যে ৯১ জনই রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু। তারা রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থান করছিলেন। এদের মধ্যে ২৪ জন স্থানীয় এবং ১১৭ জন রোহিঙ্গা। নিহতদের তালিকায় চারজন সেনা সদস্য রয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ মে) জান্তা নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল এমআরটিভিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে জান্তার এ দাবি যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যম। প্রকৃত নিহতের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে। মোখায় রাখাইন প্রদেশে মৃতের সংখ্যা চার শতাধিক বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে সেখানের কয়েকজন বাসিন্দা।  

তারা জানিয়েছেন, মোখা সরে যাওয়ার পর রাখাইনের বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে ৪ শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ আছেন বহু মানুষ।  

রোহিঙ্গা গ্রামের একজন নেতা এএফপিকে বলেছিলেন, ঝড়ের পর শুধুমাত্র তার গ্রাম থেকেই ১০০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

ঝড়ের পর রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ের কাছাকাছি এলাকার আরেক রোহিঙ্গা নেতা এএফপিকে বলেছিলেন, শহরের আশপাশে কমপক্ষে ১০৫ জন রোহিঙ্গা মারা গেছেন, এ সংখ্যা আরও বাড়বে। গণনা এখনও চলছে।

শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টিতে মিয়ানমারে অন্তত ৮ লাখ মানুষকে জরুরি খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার প্রয়োজনে ফেলেছে।

ডব্লিউএফপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপ-পরিচালক অ্যান্থিয়া ওয়েব সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি এতোই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে, লাখ লাখ লোকের জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করতে লড়াই করছে তারা।

বঙ্গোপসাগরে উদ্ভূত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা গত ১৩ মে  মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এসময় রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের গতিবেগঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল। এতে ঝড়-বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিতওয়েসহ বিভিন্ন অঞ্চল। ভূমিধস ঘটে, গাছ উপড়ে পড়ে, ভবন ধসে পড়ে এবং রাস্তাগুলো ভেঙে যায়।