• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের

প্রচণ্ড গরমে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন, কী করবেন না

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২২  

গরমে পুড়ছে বাংলা। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই। এই সময় সুস্থ থাকতে দুপুরের চড়া রোদ এড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সাবধান হয়েও যদি গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তা হলে কী করা উচিত?  

গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, গরমে শারীরিক সমস্যাগুলোর মূল কারণ শরীরে পানির অভাব। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, তেষ্টা না পেলেও পানি খেতে হবে।

শরীর ঠান্ডা করতে প্রয়োজনে আইস ওয়াটার বা ঠান্ডা জলে বার বার গা ধোওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই গরমে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রবল গরমে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। ঠান্ডা পানিতে গোসল সেই সমস্যা কাটাবে।

গত দু’এক দিন ধরেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসছে। রাস্তায় বেরিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। চিকিৎসকদের কথায়, এই ধরনের অসুস্থতার কারণ হিট স্ট্রোক হতে পারে। যার মূল কারণ, শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি।

পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা বা বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস। বাইরের তাপমাত্রা খুব বেড়ে গেলে বা কমে গেলে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বাড়লেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা দেখা যায়। এই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ আগে থেকে বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এছাড়া আর কী কী সমস্যা হতে পারে? হলে কী করবেন, সেই পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথমেই সানবার্ন বা প্রবল রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে সাধারণত ত্বক লাল হয়ে যায়। সঙ্গে ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা যেতে পার।

‘সানবার্ন’ হলে ত্বকের আক্রান্ত জায়গাটিতে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কিছু না লাগানোই ভালো। ফুসকুড়ি হলে তা ফাটানোর কোনো চেষ্টা যেন করা না হয়। বদলে চড়া রোদে না থাকা, ঠান্ডা জলে ভেজানো কাপড় ত্বকের উপর রাখা, তারপরও না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

গরমে ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে। অনেকটা অংশ জুড়ে র‍্যাশ বেরতে পারে। একে ‘হিট র‍্যাশ’ বলা হয়। ‘হিট র‍্যাশ’ এড়াতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। রোদ এড়িয়ে ছায়া বা ঠান্ডা জায়গায় থাকলে এই সমস্যা এড়ানো যেতে পারে।

শরীরে জলের ঘাটতি হলে এবং খনিজ পদার্থ বেরিয়ে গেলে পেশিতে টান ধরতে পারে। শরীর জলশূন্য হয়ে গেলে পেটে ব্যথা করতে পারে। একে ‘হিট ক্র্যাম্পস’ হলা হয়। এই সমস্যা এড়াতে জল বেশি করে খেতে হবে, প্রয়োজনে লবণ-চিনি জল বা ওআরএস হাতের কাছে রাখতে হবে, প্রয়োজন বুঝলে খেকে হবে, ছায়া বা ঠান্ডা জায়গায় থাকতে হবে।

অতিরিক্ত ঘাম হলে, নাড়ির গতি দুর্বল হলে এবং এই সব কিছুর সঙ্গে গা গোলানো ভাব বা বমি হওয়া, মাথা ব্যথা এবং দুর্বলতা থাকলে ধরে নিতে হবে ‘হিট এগজরশন’-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এ ধরনের অসুস্থতা বোধ করলে পোশাক ঢিলে করে দিতে হবে। ঘাড়ে, গলায় ভেজা কাপড় দিয়ে মোছার পাশাপাশি বেশি করে জল খাওয়া, রোদে থাকলে দ্রুত ছায়া আছে এমন জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে উপসর্গ বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

‘হিট স্ট্রোক’-এ শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য থাকে না। তাই ঘাম হয় না। কিন্তু হিট স্ট্রোক হলে তা থেকে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃদযন্ত্রে প্রভাব পড়তে পারে। রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। ভুল বকতে পারেন। ঘাম না হওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। এর পাশাপাশি মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গও দেখা যেতে পারে। এমন সমস্যা হলে দ্রুত রোগীকে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে রোগীকে ঠান্ডা জলে গোসল বা ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছিয়ে দেওয়া।

এছাড়া গরম থেকে বাঁচতে যখন তখন যেকোনো ঠান্ডা পানীয় বা রাস্তায় বিক্রি হওয়া কাটা ফল খাওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, এই ধরনের পানীয় বা কাটা ফলে জীবাণু থাকে। তা থেকে ডায়রিয়া, হেপাটাইটিস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।