চার দশকেরও বেশি সময় শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে আ.লীগ
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২

বিদেশে নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফিরে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৭ মে) আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বদেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা।
দেশে ফেরার পর থেকে শেখ হাসিনা টানা ৪১ বছর ধরে সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী, প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে। সেসঙ্গে তার যোগ্য নেতৃত্বে চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে দলটি। এর মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বর্তমানে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় থাকার ইতিহাস গড়েছে আওয়ামী লীগ।
শেখ হাসিনাকে এই দীর্ঘ সময় দলের প্রধানের দায়িত্বে থেকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। কারাবরণ, জীবনের ঝুঁকিসহ অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছেন। শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এই সময়ের শাসন আমলেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন মাত্র সূচিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার হাত দিয়েই বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে এবং উন্নত তথ্য-প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। তখন তারা বেলজিয়ামে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে জার্মানি হয়ে তারা ভারতে আশ্রয় পান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তখন দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারত থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।
এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তার দল আওয়ামী লীগ। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, নিপীড়নের শিকার হন দলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকট আকার ধারণ করে। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাসিত জীবনে ভারতে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী
লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ওই বছর ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সর্বসন্মতিক্রমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শুরু হয় শেখ হাসিনার আরেক সংগ্রামী জীবন।
১৯৮১ সালে দেশের মাটিতে ফিরে এলে ঢাকায় লাখ লাখ জনতা তাকে স্বাগত জানায়। এ সময় শেরে বাংলা নগরে আয়োজিত সমাবেশে লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন, ‘ পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মধ্যেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। ’
এরপর থেকেই শুরু হয় শেখ হাসিনার নতুন করে আরেক সংগ্রামের পথচলা। তার নেতৃত্বে দ্বিধা বিভক্ত আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে। চারবার প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তিনি তিনবার বিরোধীদলের নেতাও ছিলেন।
দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে অনেক বার তার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতাকর্মী শহীদ হন।
এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দল ও সরকারের নেতৃত্বে থেকে বাংলাদেশের জন্য বড় বড় অর্জনও বয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ তার নেতৃত্বেই এগিয়ে যাচ্ছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা তিনিই দিয়েছেন। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচি জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশই নয় বৈশ্বিক নানা সংকট নিয়ে কথা বলা এবং মতামত দেওয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরেও শেখ হাসিনার পরিচিতি বাড়ছে।
শেখ হাসিনা নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন।
‘রূপকল্প ২০৪১ সালের’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, আধুনিক, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটের এই ক্রান্তিলগ্নেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিঃস্বার্থভাবে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। করোনা প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট সংকটের শুরু থেকেই তিনি করোনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেন। জনগণের জীবন-জীবিকা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন অনুদানের প্যাকেজ দিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহ ও টিকাদান এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বে শেখ হাসিনার পদক্ষেপ প্রশংসিত হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে।
- বুধবার ‘চুয়েট শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- মসলিন শাড়ি সাধারণের ক্রয়ক্ষমতায় আনতে চায় সরকার
- চার বিভাগে বাড়বে ঝড়-বৃষ্টি
- ফটোকপি করে ট্রেনের টিকিট বিক্রি, আটক ৫
- নারী সাংবাদিককে প্রকাশ্যে চড় মারলেন জামায়াত নেতা
- চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৫ অত্যাধুনিক ক্রেন
- এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর ডিএনসিসি-রিহ্যাবের অভিযান
- ভোজ্যতেলে ভ্যাট সুবিধা বাড়ল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
- বন্ধ হতে পারে ফোন-টিভি-ইন্টারনেট, সৌরঝড়ের প্রভাব স্যাটেলাইটে
- করোনায় ১২ জনের মৃত্যু
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগ ডে বন্ধের নির্দেশ
- ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা পাড়ির আশা
- ২৭ বছর পর এক সিনেমায় শাহরুখ-সালমান!
- মক্কায় হজ মেডিকেল সেন্টার পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ
- শুরুতে সূচকের বড় উত্থান, লেনদেনে ভালো গতি
- ঈদযাত্রায় মানতে হবে ১২ নির্দেশনা
- ডাক্তার না হয়েও রোগী দেখতেন তিনি
- যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে গুলি, নিহত ৬
- শেষ দিনেও টিকিটের জন্য উপচেপড়া ভিড়
- আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে সরকার
- পশ্চিমা বিশ্বে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ‘গৌণ বিষয়’
- সুনামগঞ্জে বন্যায় ৩০ বছরের উন্নয়ন ধ্বংস হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
- কাউকে যেন কষ্ট না পেতে হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে পিটিএ স্বাক্ষরে গুরুত্বারোপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- বিশ্বব্যাংকের টাকায় দুই যুগেও পদ্মা সেতু হতো না: তাজুল ইসলাম
- ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ৯ রোহিঙ্গা আটক
- বন্যা প্রতিরোধে দেশে খাল-বিল, নদী-নালা খনন করা হবে: মন্ত্রী
- গ্যাস সংকটে বেড়ে গেছে লোডশেডিং
- করোনাকালেও সবার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সরকার: স্পিকার
- ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: পিজিআরকে রাষ্ট্রপতি
- বন্যাকালীন সময়ে যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি
- ব্রিফকেস নয়, কানাডার বাজেটে নজর থাকে অর্থমন্ত্রীর জুতায়
- যশোরে জেলি পুশ করা ১ টন চিংড়ি জব্দ
- রেটিনার ক্ষয়ে অবহেলা নয়
- স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- বর্ষাকালে ডাকাতির আশঙ্কা রয়েছে: ডিবিপ্রধান
- কনটেইনার ডিপোতে ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে এখনও
- শিশুর দুধে অ্যালার্জি? অন্য যে খাবারে ঘাটতি মিটবে ক্যালশিয়ামের
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩২টি সন্ত্রাসী গ্রুপ, সবগুলোই সশস্ত্র
- প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে ভোলায় প্রশিক্ষণ
- ডেসটিনির রফিকুলের স্ত্রী ফারাহ কারাগারে
- বিএম ডিপোর আগুন নিভেছে, ধ্বংস হয়েছে ৪০০ কনটেইনার
- যেসব কারণে কান বন্ধ হয়
- পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলা যুবকের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে
- ২৮ জুন থেকে ১৬ জুলাই প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
- কায়দা করে সোনা এনে শাহজালালে ধরা
- ভোলা সদর হাসপাতাল চালু হলো সরকারি ভাবে ডোপ টেস্ট
- সিলেটে বানভাসীদের উদ্ধারে নৌবাহিনী
- হজে গিয়ে ভিক্ষা করা মতিয়ারকে দেশ ফেরামাত্রই গ্রেপ্তার
- কোরবানির আগে যেসব কাজ করতে হবে