• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ক্ষমা পাওয়ার ৪ শর্ত

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২  

মহান আল্লাহর ক্ষমাযোগ্য হওয়ার জন্য চারটি জিনিস আবশ্যক। কুফর, শিরক ও পাপ থেকে তাওবা করা, ঈমান থাকা, নেককাজ করা এবং হকের উপর অটল থাকা। এসব অবস্থায় অবিচল থাকা, যাতে ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু হয়। যদি এর বিপরীত হয় তবে তওবা ও ঈমানের পর কেউ কুফরি ও শিরকের পথ অবলম্বন করে আর ওই অবস্থায় মৃত্যু এসে যায় তবে তার ক্ষমা নেই থাকবে শাস্তি। মহান আল্লাহ ক্ষমার ব্যাপারে শর্ত আরোপ করে ঘোষণা করেন-

وَ اِنِّیۡ لَغَفَّارٌ لِّمَنۡ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهۡتَدٰی

‘নিশ্চয়ই আমি তার জন্য বড় ক্ষমাশীল যে (শিরক ও পাপ থেকে) তওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকাজ করে এবং সৎপথে অবিচল থাকে।' (সুরা ত্বহা : আয়াত ৮২)

এ আয়াতে মাগফেরাত তথা ক্ষমার জন্য রয়েছে চারটি শর্ত। তাহলো-

এক. তাওবা। অর্থাৎ বিদ্রোহ, নাফরমানি অথবা শিরক ও কুফরির পাপ থেকে বিরত থাকা।

দুই. ঈমান। অর্থাৎ আল্লাহ, রাসুল, কিতাব ও আখেরাতকে সাচ্চা দিলে মেনে নেওয়া।

তিন. সৎকাজ। অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসুলের বিধান অনুযায়ী অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়ে ভালো কাজ করা।

চার. সত্য পথের উপর অবিচল থাকা। অর্থাৎ সত্য সঠিক পথে অবিচল থাকা এবং তারপর ভুল পথে না যাওয়া। এ পথ সম্পর্কে মুফাসসিরিনের কেরাম বলেন-

১. হজরত ইবন আব্বাস বলেন, সন্দেহ না করা।

২. হজরত সাঈদ ইবন জুবাইর বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা।

৩. হজরত কাতাদাহ বলেন, মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের উপর থাকা।

৪. হজরত সুফিয়ান আস-সাওরি বলেন, এর অর্থ সে জানলো যে, এগুলোর সওয়াব আছে।' (ইবনে কাছির)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, খাঁটি দিলে তাওবা করা; আল্লাহ ও রাসুল নির্দেশিত বিষয়ের উপর ঈমান রাখা, নেককাজ করা, নেক কাজের উপর অটল ও অবিচল থাকা। তবেই আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে ক্ষমা করে দেবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর ক্ষমা পেতে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে ধন্য হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।