• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যে কাজে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক হয়

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩  

তাকওয়া দ্বারা আল্লাহর ভয়কে বুঝানো হয়েছে। ভয় করার নির্দেশ প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তাআলাকে ভয় করাও ইবাদাত। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক গড়ার অন্যতম মাধ্যমও হচ্ছে তাকওয়া। তাকওয়া বা আল্লাহর ভীতি যেহেতু ইবাদাত। তাই তাকওয়া অবলম্বনে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার সুযোগ। তাহলো-

১. যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে এরূপ গুণের অধিকারীর জন্য রয়েছে পুরস্কার। আল্লাহ বলেন-

এ পুরস্কার তাদের জন্যই যারা আমার সম্মুখে দণ্ডায়মান হওয়াকে এবং আমার শাস্তিকে ভয় করে। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ১৪)

২. মানুষের মনের ভয়ই আল্লাহ আশা করেন। বাহ্যিক কোনো ইবাদাতই আল্লাহর কাছে পৌছায় না। যা মানুষ মুখে আল্লাহর জন্য করে বলে ঘোষণা দেয়। আল্লাহ বলেন, পশুর গোশত, রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের মনের তাকওয়া। (সুরা হজ : আয়াত ৩৭)

৩. তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়ের ফজিলতে হজরত আদম আলাইহিস সালামের সন্তানদের কুরবানি সম্পর্কে কুরআনে এসেছে- হে নবি! আপনি তাদেরকে আদম আলাইহিস সালামের দুই পুত্রের কাহিনীটিও পুরোপুরি শুনিয়ে দিন। তারা দু’জনেই কুরবানি করল, তখন তাদের একজনের কুরবানি কবুল করা হলো আর আরেক জনেরটা কবুল করা হলো না। সে বলল আমি তোমাকে হত্যা করব। উত্তরে (যার কুরবানি কবুল করা হয় সে) বলল, আল্লাহ শুধুমাত্র মুত্তাকিদের তথা তাঁকে ভয়কারীদের মানৎ কবুল করে থাকেন। (সুরা মায়িদা : আয়াত ২৭)

৪. তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য রয়েছে কল্যাণের ঘোষণা। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তারা ঈমান আনতো এবং আল্লাহকে ভয় করে চলতো (পরহেজগার হতো), তবে তারা আল্লাহর কাছ থেকে অধিক কল্যাণকর প্রতিদান পেত। যদি তারা জানতো। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১০৩)

মনে রাখতে হবে

৫. আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে হলে দুইটি বিষয়ের উপর আমল করতে হবে। আল্লাহকে বেশি বেশি ভয় করার পাশাপাশি সত্যবাদী-পরহেজগার ব্যক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন-

‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ১১৯)

এ আয়াতে কারিমায় দুইটি বিষয় সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে-

একটি হলো : তাকওয়া বা মহান আল্লাহর ভয়।

দ্বিতীয় টি হলো : সত্যবাদীদের সঙ্গী হওয়া।

দুনিয়ার প্রতিটি কাজে যেমন আল্লাহ তাআলাকে বেশি বেশি ভয় করতে হবে। তেমিন আল্লাহকে যারা বেশি বেশি ভয় করে সাদেকিন বা সত্যবাদী তাদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তবেই সম্ভব মহান আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘এক বেদুঈন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেয়ামত কবে (সংঘটিত হবে)? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে (পাল্টা প্রশ্ন করে) বললেন, ‘তুমি তার (কেয়ামতের) জন্য পাথেয় সঞ্চয় করেছ কি? সে বলল, ‘ আল্লাহ ও তার রাসুলের ভালোবাসা।’ তিনি বললেন, ‘তুমি তারই সঙ্গী  হবে যাকে তুমি ভালোবাস।’

দুনিয়ার প্রতিটি কাজে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করা উচিত। কারণ একদিন তাঁর কাছে প্রত্যেকটি কাজের জন্যই জবাবদিহি করতে হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরিপূর্ণ তাকওয়াবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।