• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

যে আমলে দীর্ঘ হয় মানুষের হায়াত

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২৩  

দীর্ঘ হায়াত পাওয়া একটি বড় নেয়ামত। কেননা মুমিন ব্যক্তির হায়াত বেশি হলে অনেক নেক আমল যোগ হয়। ইসলামে এমন কিছু সহজ আমল আছে, যার মাধ্যমে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। তন্মধ্যে দীর্ঘ হায়াত পাওয়াও একটি। এমন কি আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে দীর্ঘ হায়াত পাওয়া যাবে?

আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতের আমল। কোরআন-সুন্নাহর একাধিক জায়গায় এ সম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আত্মীয়তার সুসম্পর্ক বজায় রাখলেও মানুষ দীর্ঘ হায়াত পায়। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কামনা করে তার রিজিক প্রশস্ত হোক এবং দীর্ঘ হায়াত পাক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।‘ (বুখারি ৫৯৮৫, মুসলিম ৪৬৩৯)

এ কারণেই দৈনন্দিন জীবনে ওঠা-বসা, চলাফেরা, দেখা-সাক্ষাতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কিংবা তাদের পারস্পরিক খোঁজ খবর রাখা জরুরি। তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করা, তাদের সঙ্গে আন্তরিক হওয়া ও আত্মীয়-স্বজনকে দয়া-মায়া দেখানোই হলো সুসম্পর্ক। এই সুসম্পর্ক রক্ষাকারী প্রকৃতপক্ষে কারা, তাদেরকেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে হাদিসে। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ...নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রতিদানকারী আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী নয়। বরং আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী সে ব্যক্তি, যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হবার পরও তা বজায় রাখে।’ (বুখারি: ৫৯৯১)

অর্থাৎ সে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী নয়, যে সম্পর্ক রক্ষার বিনিময়ে সম্পর্ক রক্ষা করে। বরং প্রকৃত সম্পর্ক রক্ষাকারী সেই ব্যক্তি, যার সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরলে সে তা জোড়া দেয়।

এ জন্য নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে উত্তম আচরণ ও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ হলো-

وَاتَّقُواْ اللّهَ الَّذِي تَسَاءلُونَ بِهِ وَالأَرْحَامَ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا

‘...আর আল্লাহকে ভয় করো, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে থাকো এবং আত্মীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।’ (সুরা নিসা: আয়াত ০১)

সুতরাং সবার উচিত, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। আত্মীয়তার সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা। হাদিসের ওপর আমল করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিজেদের হায়াত ও রিজিক বৃদ্ধিতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।