• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনকে বিএনপি-জামায়াত সহিংস করেছে: জয় নাশকতার ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার দাবি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের ধারণা ছিল একটা আঘাত আসবে: প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে: প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী পবিত্র আশুরা মুসলিম উম্মার জন্য তাৎপর্যময় ও শোকের দিন আশুরার মর্মবাণী ধারণ করে সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান মুসলিম সম্প্রদায়ের উচিত গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী দুঃখ লাগছে, রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও বলে তারা রাজাকার শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ ‘চীন কিছু দেয়নি, ভারতের সঙ্গে গোলামি চুক্তি’ বলা মানসিক অসুস্থতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে না দেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী : প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার

যাকে নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছিলেন রহমত ও আজাবের ফেরেশতারা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। মানুষ শত অপরাধের পরও যদি অনুতপ্ত হয়, ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।

হাদিসে পূর্ববর্তী উম্মতের এক ব্যক্তির কথা বর্ণিত রয়েছে, যিনি ছিলেন ভয়ংকর খুনি; ৯৯টি খুন করেছিলেন তিনি। তারপর তার মনে অনুতাপ জেগে ওঠে এবং তিনি তওবা করার সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময়ের সবচেয়ে বড় পাদ্রী বা দরবেশের কাছে গিয়ে তিনি তওবা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তাকে বলেন, আমি ৯৯ জন মানুষকে হত্যা করেছি, আমার কি ক্ষমা পাওয়ার কোনো উপায় আছে?

ওই পাদ্রী উত্তর দেন, না, এত ভয়াবহ পাপ করার পর তওবা কোনো সুযোগ নেই।

এ উত্তর শুনে ওই ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হন এবং ওই পাদ্রীকেও হত্যা করেন। তারপর তিনি ওই সময়ের আরেকজন বড় আলেমের কাছে যান। তার কাছে গিয়ে তিনি বলেন, আমি একশত জন মানুষকে হত্যা করেছি আমার কি তওবা করার ‍সুযোগ আছে? আলেম উত্তর দেন, অবশ্যই, মৃত্যুর আগে যে কোনো সময় মানুষ তওবা করতে পারে। তুমি অমুক অঞ্চলে চলে যাও, সেখানে একজন বড় দরবেশ আছেন, তুমি তার কাছে গিয়ে তার সাথে আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন হও। নিজের এলাকায় আর ফিরে যেও না, ওই এলাকা তোমার জন্য ভালো নয়।

আলেমের পরামর্শ অনুযায়ী ওই ব্যক্তি দরবেশের কাছে যাওয়ার জন্য যাত্রা করেন। পথে তার মৃত্যুর সময় এসে যায়। ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী কোনো ভালো ও জান্নাতি ব্যক্তি যখন মারা যান, তখন রহমতের ফেরেশতারা আসেন এবং তার আত্মা ইল্লিয়্যিনে নিয়ে যান, মন্দ ও জাহান্নামি মানুষ হলে আজাবের ফেরেশতারা আসেন এবং তার আত্মা সিজ্জিনে নিয়ে যান। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ওই ব্যক্তিটিকে কারা নেবেন, তাকে জান্নাতি নাকি জাহান্নামি গণ্য করা হবে এ নিয়ে রহমত ও আজাবের ফেরেশতারা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। রহমতের ফেরেশতারা বলেন, তিনি তওবা করেছিলেন। তাই তিনি জান্নাতি হওয়ার উপযুক্ত। আমরাই তার আত্মা নিয়ে যাবো।

আজাবের ফেরেশতারা বলেন, এই ব্যক্তি আজীবন পাপাচার ও অপরাধে লিপ্ত থেকেছেন। জীবনে একটি ভালো কাজও তিনি করেননি। তিনি জাহান্নামীই হবেন।

তখন একজন ফেরেশতা বললেন, তোমরা পথ মেপে দেখো তিনি দরবেশের কাছে যাওয়ার জন্য কতটুকু অগ্রসর হয়েছিলেন। তিনি যদি তার নিজের এলাকার কাছাকাছি থাকেন, তাহলে তাকে আজাবের ফেরেশতারা নিয়ে যাবেন, দরবেশের এলাকার কাছাকাছি থাকলে তাকে রহমতের ফেরেশতারা নিয়ে যাবেন।

পথ মেপে দেখা গেলো, তিনি দরবেশের এলাকার কাছাকাছি রয়েছেন। তাকে জান্নাতী গণ্য করা হয় এবং রহমতের ফেরেশতারা তার আত্মা নিয়ে যান।