• শনিবার   ২৫ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১১ ১৪২৯

  • || ০২ রমজান ১৪৪৪

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা স্বাধীনতা দিবসে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে সরকার আমরা যুদ্ধ-সংঘাত চাই না: প্রধানমন্ত্রী গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে ২৫ মার্চ ১৯৭১: রক্ত আর আর্তচিৎকারের ভয়াল রাত যে কোনো অর্জনেই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়: প্রধানমন্ত্রী গুণীজনদের হাতে স্বাধীনতা পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে প্লেন চলাচলের কেন্দ্রে পরিণত করতে রোডম্যাপ জরুরি জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে দেশের আবহাওয়া-জলবায়ু দিন দিন চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠছে বঙ্গবন্ধুই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন ৯১-এর ঘূর্ণিঝড়ে বিএনপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী দুঃখী মানুষের মুখের হাসিই বড় প্রাপ্তি: প্রধানমন্ত্রী ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী আমরা যুদ্ধ ও আগ্রাসন সমর্থন করি না: শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির যাত্রা শুরু

মায়াবী রূপে দেখা দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২২  

অবশেষে সূর্যের আলোক ছটায় মায়াবী রূপ নিয়ে দেখা দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ঋতুরাজ হেমন্তকে পাশ কাটিয়ে অক্টোবরের শেষে নেমে আসবে শীত। ঘনকুয়াশা আর হিমেল হাওয়া নিয়ে মার্চ মাস পর্যন্ত চলে শীতের দাপট। ঠিক এ সময়ে প্রতিবেশী দেশ নেপালের মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত চায়ের চুমুকেই দেখা মিলে জেলার যেকোনো প্রান্ত থেকেই। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালের ঝলমলে সূর্যের আলোয় শ্বেত শুভ্রতার সঙ্গে বর্ণিল আলো ছড়িয়ে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের মুগ্ধ করা সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা দিল।

মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা উদ্ভাসিত হয়েছে হিমালয়ের বিশালতায়। কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ রূপ মাধুর্য দৃষ্টি কাড়ছে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের।

পঞ্চগড় জেলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব ১৬৫ কিলোমিটার হলেও, দেখে মনে হবে যেন প্রবাহমান মহানন্দা নদের উল্টোপাড়েই প্রতিবিম্ব ফেলে দাঁড়িয়ে আছে মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা। জেলার যেকোনো প্রান্ত থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিললেও সবচেয়ে স্পষ্ট দেখায় তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো এলাকা থেকে। কেননা এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব মাত্র একশ কিলোমিটার, সাথে ভারতীয় সীমান্তে দীর্ঘ ফাঁকা জায়গা। তাই তো সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য এক নজর উপভোগ করতে এরই মধ‍্যে তেঁতুলিয়া ডাক বাংলোতে জড়ো হতে শুরু করেছেন শত শত সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ।

ঢাকা, খুলনা, বগুড়া ও দিনাজপুর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে আসা পর্যটকরা জানান, পঞ্চগড়ের নৈসর্গিক সবুজ প্রকৃতি আর কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছে। নিজের দেশের মাটি থেকে প্রতিবেশী দেশে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য তাদের বিমোহিত করছে। মেঘমুক্ত আবহাওয়া থাকায় খালি চোখে স্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমী লোকজনের মন ভরিয়ে দিচ্ছে।

এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, প্রতিবারে মতো এবারও দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে আসা পর্যটকদের  চলাফেরায় নিরাপত্তা ও রাত যাপনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য কাঞ্চনজঙ্ঘা সূর্যের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে তার নিজের রূপকে প্রকাশ করছে বর্ণিল সাজে। কখনও টুকটুকে লাল, কখনও কমলা আবার কখনও হয়ে ওঠে কালো। যখন যে রঙেই ধারণ করুক না কেন কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম দৃশ্যের সঙ্গে উত্তরের নীল আকাশও যেন আরও উজ্জল হয়ে পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ছে।