• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অধ্যাপক বি. চৌধুরীকে অসম্মান ও বিএনপির মুখ থুবড়ে পড়ার ইতিহাস

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২০  

কারচুপি ও অঘটন ঘটিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ক্ষমতায় আসার পর সেই বছরের নভেম্বর মাসে দলটির প্রবীণ রাজনীতিবিদ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। কিন্তু এর কিছু দিন না যেতেই ২০০২ সালের ২০ জুন তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে দলটির হাইকমান্ড। বলা হয়, বিএনপির অপশাসন ও দুর্নীতিপরায়ণ নীতির বলি হন বি. চৌধুরী।

তথ্যসূত্র বলছে, দলীয় শৃঙ্খলার নামে নিজেদের অশুভ ও অনৈতিক দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পদচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে বি. চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। যা বিএনপির রাজনৈতিক অপশাসনের সাক্ষী হয়ে থাকবে। উপযুক্ত ও পরীক্ষিত নেতাদের সম্মানহানী করার কারণে পর দলটিতে পরবর্তীতে বিপর্যয় নেমে আসে। ফলে বি. চৌধুরী ও কর্নেল অলিদের মতো পোড় খাওয়া নেতারা সম্মান রক্ষার্থে বিএনপি ছাড়তে বাধ্য হন। এতে করে বিএনপির প্রতি জনমনে অনাস্থা সৃষ্টি হয় যার ফলে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে দলটি।

২০০২ সালে যখন বি. চৌধুরী রাষ্ট্রপতির পদ ছেড়েছিলেন তার আগে দলের বিশ্বাস হারানোর বিষয়টি সামলে এসেছিল। খবরের কাগজে বড় বড় করে লেখা হয়েছিল যে, রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ওপর আস্থা নেই খোদ তার দল বিএনপির সংসদ সদস্যদের। পদত্যাগ না করলে ইমপিচমেন্ট করার হুমকি দেয়ায় সেদিন সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। জানা গেছে, ২০০২ সালের ১৯ জুন বিএনপি সংসদীয় দলের সভা শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সভায় বিএনপির নবীন সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির ওপর প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বৈরশাসক জিয়ার মাজার জিয়ারত করতে অস্বীকৃতি জানানো, জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক মানতে রাজি না হওয়ায় এবং রাষ্ট্রপতির বিভিন্ন বক্তব্যে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ ব্যবহার না করা, কারণ ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বিষয়টি বিএনপি রাজনৈতিকভাবে ধারণ করে। এসব কারণে মূলত কপাল পোড়ে বি. চৌধুরীর। ফলশ্রুতিতে সম্মান বাঁচাতে ছাড়তে হয় রাষ্ট্রপতির পদ।

এদিকে বি. চৌধুরীকে অসম্মান ও পদচ্যুত করে নিজেদের পতনের পথ নিজেরাই সম্প্রসারিত করেছিল বিএনপি, এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বি. চৌধুরীকে সরিয়ে দেয়ার ফলে দলটিতে বিভক্তি ও অনাস্থা প্রকাশ্য রূপ লাভ করে। যার দরুন পরবর্তী অলির মতো বহু পরীক্ষিত নেতা বিএনপি ছাড়েন। এতে করে জনগণের মাঝে ভুল তথ্য যায়। মানুষ বুঝতে পারে যে, বিএনপির মূর্খ ও ক্ষমতালোভীদের সংগঠন। যার কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে দলটি। জনগণের সমর্থন কমে আসে। সেই ভুলের মাসুল আজও দিতে হচ্ছে দলটিকে।