• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আজ সেই ভয়াল ১৫ নভেম্বর

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

২০০৭ সালের এই দিনে ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে চরফ্যাশন উপজেলায় উপকূলীয় এলাকার ভয়াবহ ধ্বংসয্যেগের শিকার হয়। শতাব্দীর ভয়াবহ ওই ঘূণিঝড়ে প্রাণ হারিয়েছিলো অনেক মানুষ। নিঁেখাজ হয়ে ছিলো সহস্রাধিকের অধিক। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর, এখনও এক দুঃসব ঘরবাড়ী আর সহায় সম্বল হারিয়ে মানুষ হয়ে পড়েছিলো অসহায়। সিডরের ক্ষয় ক্ষতি এখন ও বহন করে চলেছেন অধিকাংশ পরিবার। 
২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর সারা দেশের আকাশ ছিল মেঘলা। আবওহায়াবিদরা প্রথমে ৫ নম্বর সংকেত দিতে থাকেন। রাতে তা বৃদ্ধি হয়ে ৮ নম্বর বিপদ সংকেতে গিয়ে পৌছায়। ১৫ নভেম্বর সকালে ঘোষনা করা হয় সিডর নামের ঘূণিঝড় এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলে। দুপুর নাগাদ তা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সিডর আঘাত হানলো উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ের তীব্রতা কমে যাওয়ার পর শুরু হয় স্বজনদের খোজাখুঁজি। কারও বাবা নেই, কারও মা নেই, আবার কারও নেই স্ত্রী, পুত্র-কন্যা. ভাই-বোন, দাদা দাদী, নানা নানী , চাচা চাচি, মামা মামী, খালা খালু, এবং গাছের ডালে কিংবা বাড়ী ঘরের খুঁটির সঙ্গে ঝুলে আছে স্বজনদের লাশ। যে দিকে ছুটে যায় শুধু লাশ আর লাশ। উপকূলের বাতাসে কান পাতলেই মৃত্যু পথযাত্রী শত মানুষের চিৎকার আর স্বজনদের আহাজারী। 
১২ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতি আজো জেগে আছে স্বজন হারাদের মনে। দুঃস্বপ্নের মত আজো তারা করে তাদের ভয়াবহ সিডরের ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি চরফ্যাশন উপজেলার উপকূল বাসী। স্বাভাবিক হয়নি সিডর বিধ্বস্ত উপকূলবাসীর জীবনযাত্র। সিডরের ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ৩০ জেলার ২০০ উপজেলা সরকারী হিসেবে মূতের সংখ্যা বলা হয়। এবং ৩৪০৬ জন, নিখোজ হন ১৫৬০ জন, ৩০ হাজার ৪৯৯ টি গবাদী পশু ও ৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৯ টি হাস মুরগী মারা যায়। ২৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৬১ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সম্পূর্ণ গূহীন হয়ে ৭৭ হাজার ৭৫৪ টি পরিবার। তবে বে-সরকারী ভাবে হতাহতের সংখ্যা আরো বেশি।
 সিডরের পর চরফ্যাশন উপজেলায়সহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গুলোর প্রতি সরকারের আরো দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে ভূক্তভোগীরা মনে করেন। এখানো উপকূলীয় চরাঞ্চল গুলোতে বাধঁ অনেক পুনঃনির্মাণ করা হয় নি। নির্মিত হয় নি পর্যান্ত সাইক্লোন সেন্টার, তাই যেই দুঃসহ ১২ নভেম্বর আজ। জাতীয় জীবনের এক চরম বিভীষিকাময় দিন । বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল ঘর্নিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র এবং দুর্যোগ হ্রাস কল্পে তথ্য কেন্দ্র স্থাপন, এলাকায় ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও বেঁড়ীবাঁধ নির্মাণের দাবী চরফ্যাশন উপকূল বাসীর।
ওই ভয়াল ১২ নভেম্বর উপকূল বাসীর মূতুর সরনরর্থে দিবাসটি সরকারী ভাবে পালন করা প্রায়জন বলে মনে করছেন।