• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ইসলামে সাদাসিধে ইফতারের নির্দেশ

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৩ মে ২০২০  

রোজাদার মুসলমান সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সম্ভোগ থেকে দূরে থাকে। সূর্যাস্তের পর যেসব খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করে রোজা ভঙ্গ করেন, তা-ই ইফতার। ইফতার শব্দের অর্থ রোজা ভঙ্গ করা। আরবি ‘ফুতুর’ শব্দ থেকে এটি উদ্ভূত। এর অর্থ নাশতা করা ও হালকা খাদ্য গ্রহণ করা। ইফতার শব্দের অন্য অর্থ বিরতি ও ভঙ্গ করা। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর রোজা সমাপ্তির জন্য পানাহার করাকে ইফতার বলা হয়।

সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে রাতের আগমন ঘটে। তখন ইফতারের সময় হয়ে যায়। এ ব্যাপারে মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা হলো—ইফতারে বিলম্ব করা যাবে না। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ যত দিন পর্যন্ত সময় হওয়ামাত্র ইফতার করবে, তত দিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ২৮৫২)

মহানবী (সা.) খুবই সাদাসিধে ইফতার পছন্দ করতেন। হজরত আবদুল্লাহ বিন আবি আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রোজায় আমরা রাসুল (সা.)-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। সূর্যাস্তের সময় তিনি একজনকে ডেকে বলেন, ছাতু ও পানি মিশিয়ে ইফতার পরিবেশন করো।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১০৯৯)।

তবে তিনি ইফতার না করে মাগরিবের নামাজ আদায় করতেন না। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ইফতার করা ছাড়া মাগরিবের নামাজ আদায় করতে দেখিনি। এমনকি এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও তিনি ইফতার করে মাগরিবের নামাজ আদায় করতেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৩৫০৪)

অথচ আমরা সেই নবীর উম্মত হয়ে সাহরি ও ইফতারে হয়ে পড়ছি অসংযমী। সমাজে যারা বিত্তশালী, সাহরি ও ইফতারে তাদের জন্য ১০-২০ পদ খাবার চাই-ই চাই। অনেকের কাছে আবার রমজান মানে স্রেফ ইফতার পার্টির বিনোদন। রোজা রাখুক বা না রাখুক, ইফতারে তাদের ভোজনবিলাসিতার কমতি নেই। অথচ রমজান ভোজনবিলাসিতার মাস নয়। তবে এটা ঠিক যে সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাসের জায়গা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইফতারে রয়েছে বৈচিত্র্য। বাংলাদেশের ইফতারে থাকে খেজুর, পেঁয়াজু, বেগুনি, হালিম, আলুর চপ, জিলাপি, মুড়ি ও ছোলা। এটি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি।

কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা.) যেভাবে ইফতার করেছেন, সেভাবে ইফতার করা উত্তম। আমরা যেভাবে ইফতারের সময় খাবারের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, এটি ইসলামের নির্দেশিত ইফতার নয়। বরং রাসুলুল্লাহ (সা.), সাহাবায়ে কেরাম ও পুণ্যবান মনীষীরা ইফতারের সময় দোয়া করার প্রতি সর্বাধিক মনোযোগী হতেন। যাঁর নির্দেশে আমি রোজা রাখলাম, সারা দিন পানাহার বর্জন করলাম, তাঁর কাছে আমার কিছু চাওয়া-পাওয়ার আছে। সেই চাওয়া-পাওয়ার মোক্ষম সময় হলো ইফতারের আগ মুহূর্ত। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। এক. ন্যায়পরায়ণ শাসক। দুই. রোজাদার, যখন সে ইফতার করে। তিন. মজলুমের বদদোয়া।’ (তিরমিজি : ১০/৫৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৫২)

কাজেই ইফতারের আগ মুহূর্তে বেশি বেশি দোয়ায় মনোনিবেশ করা উচিত। মহান আল্লাহ আমাদের ইসলাম নির্দেশিত পন্থায় ইফতার করার তাওফিক দান করুন। আমাদের সাহরি, ইফতার, রোজা ও তারাবি কবুল করুন। আমিন।