• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

উদ্যোক্তায় পরিণত করতে ১২ লাখ ৮৩ হাজার জনকে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২০  

  
দরিদ্রদের ছোট উদ্যোক্তায় পরিণত করতে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় ১২ লাখ ৮৩ হাজার জনকে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আরও ঋণ প্রদানের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২১ মে) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় ১ লাখ ৯৬ হাজার মানুষকে ত্রাণ হিসেবে খাদ্যসহায়তা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৩ কোটি টাকা এবং জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে ২৩.৪৭ কোটিসহ সর্বমোট ২৬ কোটি ৪৭ লাখটাকা দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে। সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত অনুদান এবং ৫৬ হাজার নিবন্ধিত স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুদানে ত্রাণকার্য পরিচালনা করা হচ্ছে।

কভিড-১৯ মোকাবিলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার আওতায় ৮০ লাখ ৯ হাজার উপকারভোগীর মধ্যে ভাতা বিতরণের কাজ চলছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বয়স্কভাতা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ৪৪ লাখ, বিধবা ও স্বামীনিগৃহীতা মহিলাভাতা কর্মসূচিতে ১৭ লাখ, অসচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা কর্মসূচিতে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচিতে একলাখ, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৫,৭৬৭, বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১০ হাজার, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৭১ হাজার, চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপকারভোগী ৫০ হাজার, ক্যান্সার, কিডনি লিভার সিরোসিস, জন্মগত হৃদরোগী, প্যারালাইজড, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তাপ্রদান কর্মসূচিতে ৩০ হাজার এবং বেসরকারি এতিমখানায় ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রদান ৯৭ হাজার ৫০০ জন।

সকল সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় কিস্তির নিয়মিত ভাতাবিতরণ এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৪র্থ কিস্তির অগ্রীমভাতাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। ৩য় ও ৪র্থকিস্তির ভাতা বিতরণ প্রায় ৭৫% প্রদান সম্পন্ন হলেও ঈদুল ফিতরের আগেই সকল ভাতা বিতরণের কাজ সম্পন্ন হবে। চলতি অর্থ বছরে প্রায় ১১ লাখ ভাতাভোগী অনলাইনে G2P Payment এর মাধ্যমে ভাতা পাচ্ছেন এবং আগামী ডিসেম্বর-২০২০ এর মধ্যে সকল ভাতাভোগীকে এ পদ্ধতির আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। পরিস্থিতির কারণে সুদমুক্ত ঋণগ্রহীতাদের নিকট থেকে ঋণ আদায় স্থগিত রয়েছে। পরিস্তিতি স্বাভাবিক হলে অর্থবরাদ্দ প্রাপ্তিসাপেক্ষে অতিরিক্ত ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।

এ খাতে অতিরিক্ত ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য অর্থবিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে চলমান সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ৮৩ হাজার জন এবং সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ আদায়ের হার গড়ে ৯০ শতাংশ। বর্তমানে সারা দেশে জেলা-উপজেলাপর্যায়ে সর্বমোট ৫২৩টি হাসপাতাল সমাজসেবা ইউনিটের মধ্যে ঢাকা মহানগরীসহ জেলাপর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১০৪টি ও উপজেলা পর্যায়ে ৪১৯টি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।