• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

এই পাতার গুণেই পাইলস সমস্যার সমাধান মিলবে

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯  

বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এই পাতা অতুলনীয়। পাথরকুচি পাতার নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। পুরনো সর্দিতে পাতার রস গরম করে খেলে উপকার হয়। ছোট বড় সবাই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এই পাতার রস খেতে পারে।

মূত্রনালির যেকোনো সংক্রমণসহ বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবে এই পাতার গুনাগুণ অতুলনীয়। এছাড়া ব্রণ, ক্ষত ও মাংসপেশী থেঁতলে গেলে এই পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

পাথরকুচি পাতার গুনাগুণ-

সর্দি হলে: সর্দি বসে গেলে বা পুরাতন হয়ে গেলে পাথরকুচি পাতা ছেঁচে রস করে এবং তা গরম করে ২ চা চামচ পরিমাণ সকাল-বিকেল ২ বার পান করতে হবে।

রক্তপিত্তে: পিত্ত জনিত ব্যাথায় রক্ত ক্ষরণ হলে সকাল-বিকেল ২ বার পাথরকুচি পাতার রস পান করলে এ সমস্যা দূর হবে।

মেহ: ঠাণ্ডা-সর্দির কারণে অনেক সময় শরীরে ফোঁড়া হয় এবং ব্যাথা করে। একেই বলে মেহ। এমতাবস্থায় পাথরকুচি পাতার রস এক চা চামচ করে টানা এক সপ্তাহ পান করলে মেহ ভাল হবে।

কাটা-ছিড়া: অনেক সময় কেটে গেলে বা চাপ খেয়ে থেঁতলে গেলে টাটকা পাথরকুচি পাতা হালকা তাপে গরম করে কাটা-ছিড়ার স্থানে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায় ও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

পেট ফাঁপা হলে: পেট ফেঁপে গেলে পেট ফুলে যায়, হালকা বায়ু, প্রস্রাব আটকে যায় এক্ষেত্রে আধা চামচ পাথরকুচি পাতার রস অল্প পরিমাণ চিনির সঙ্গে মিশিয়ে গরম করে অল্প পানির সঙ্গে মিশিয়ে রোগীকে পান করাতে হবে। তাহলে এধরনের সমস্যা দূর হবে।

মৃগী রোগ হলে: মৃগী ব্যারাম উঠার সঙ্গে সঙ্গে ৮-১০ ফোটা পাথরকুচি পাতার রস রোগীর মুখে দিলে সাথে সাথে উপকার লক্ষ্য করা যায়।

শিশুদের পেট ব্যাথা হলে: অনেক সময় শিশুদের পেটে ব্যাথা করে। এক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতার রস ৩০-৪০ ফোটা হালকা গরম করে শিশুর পেটে মালিশ করলে পেট ব্যাথা ভাল হয়ে যাবে। তবে পেট ব্যাথা কি না তা নিশ্চিত হতে হবে।

কিডনিতে পাথর হলে: তবে পাথরকুচির সবচেয়ে কার্যকরী ঔষধী গুণাগুণ হল কিডনী এবং গলব্লাডারে পাথর হলে ২-৩ টি পাথরকুচি পাতা রস করে অথবা চিবিয়ে খেলে পাথর আস্তে আস্তে অপসারণ হয়ে যাবে।

জন্ডিস হলে: জন্ডিস বা লিভারের যে কোনো সমস্যায় পাথরকুচি পাতার রস খুব উপকারী।

উচ্চ রক্তচাপ: মূত্রথলির সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পাথরকুচি খুব উপকার করে।

পাইলস: শুধু পাইলস নয় অর্শ্ব-গেজ হলেও পাথরকুচি পাতা খুব উপকারী। এক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে অল্প পরিমাণ গোল মরিচ মিশিয়ে পান করতে হবে।

ডায়রিয়া, কলেরা বা আমাশয় হলে: এ ধরনের সমস্যায় ৩ মিলি. পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে সমপরিমাণ জিরা এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে একটানা কয়েকদিন খেলে উপকার হবে।

বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে: মৌমাছি, ভ্রমরা, বিচ্ছু ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত কোনো পোকায় কামড়ালে পাথরকুচি পাতার রস গরম করে কামড়ানো স্থানে সেঁক দিলে ব্যাথা সেরে যাবে।

ত্বকের যত্নে: পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। ব্রণ ও ছোট ফোঁড়া হলে পাথরকুচি পাতা বেটে মুখে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে শুধু ব্রণ নয় ত্বক জ্বালা-পোড়া করলেও পাথরকুচি পাতা বাটা খুব ভাল কাজ করে।

শরীর জ্বালা-পোড়া করলে: অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই শরীর জ্বালা-পোড়া করে, অস্বস্থি লাগে। এক্ষেত্রে ২ চামচ পাথরকুচি পাতার রস আধা কাপ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সকাল-বিকেল ২ বার পান করলে এ ধরনের সমস্যা দূর হয়।