• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ওজুতে কাপড়ের মোজার ওপর মাসেহ করা যাবে কি?

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০  

ওজুর সময় মোজা না খুলে উভয় পা মাসেহ করা যাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করলেই ওজু হয়ে যাবে। যেহেতু মোজার উপর মাসেহ করার বিষয়টি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

কিন্তু সমস্যা হলো মোজা নিয়ে। সব ধরণের মোজার ওপর মাসেহ করা যাবে কি? মোজার উপর মাসেহ করতে হলে সে মোজা কিসের হতে হবে? এ প্রসঙ্গে হাদিসের বর্ণনাই বা কী?

মোজা যদি চামড়ার তৈরি হয় তবে তাতে মাসেহ করা যাবে, আর যদি সুতা বা কপড়ের তৈরির হয় তবে তাতে ওজু করা যাবে না বলে সমাজে প্রচলিত রয়েছে। মোজা তৈরির উপর ভিত্তি করেই কেউ বলেছেন বৈধ আর কেউ বলেছেন ওজু করা যাবে না।

আরবিতে চামড়ার তৈরি মোজাকে ‘খুফ’ আর সুতার তৈরি মোজাকে ‘জাওরাব’ বলা হয়। হাদিসে উভয় ধরনের মোজার উপর মাসেহ করার কথাই এসেছে।

তবে চামড়ার মোজার উপর মাসেহ করা সর্ব সম্মতিক্রমে বৈধ। এটা নিয়ে কারো কোনো মতপার্থক্য নেই। আর সুতার তৈরি মোজার উপর মাসেহ করা বৈধ কিনা- এ বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও অনেকেই কাপড়েরর মোজার উপর মাসেহ করাকে সঠিক বলেছেন।

মোজা পাতলা হোক আর মোটা হোক, চামড়ার হোক কিংবা সুতার হোক সব ধরনের মোজার উপর মাসেহ করা বৈধ বলেছেন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ইবনে হাযম ও ইবনে তাইমিয়া। তাদের সমর্থন করেছেন মুহাম্মাদ ইবনে উসাইমিন এবং আল্লামা শানক্বিতি।

জাওরাব-এর উপর মাসেহ
জাওরাব বা সুতার তৈরি মোজার উপর মাসেহ করা যাবে মর্মে তারা দুইটি হাদিস তুলে ধরেছেন। আর তাহলো-
>> হজরত মুগিরা ইবনে শোবা রাদয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওজুর করলেন এবং জাওরাব ও দু জুতার উপর মাসেহ করলেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, আহমদ)
>> হজরত আযরাক্ব ইবনে কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহুকে লক্ষ্য করেছি, তিনি বায়ু নিঃসরণ হলে তাঁর চেহারা ও দুহাত ধৌত করতেন এবং পশমের তৈরি জাওরাবের উপর মাসেহ করতেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি জাওরাবের উপর মাসাহ করলেন? তিনি বললেন, এ দু’টি মোজা; যা পশমের তৈরি।’ (আলকুনি)

দ্বীন পালনকে সহজ করার জন্যই মোজার উপর মাসেহ করার বিধান এসেছে হাদিসে পাকে। দ্বীনকে সহজ করার ব্যাপারে কুরআনে নির্দেশনা এসেছে। । আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তিনি তোমাদের পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৬)

মোজার উপর মাসেহ করার বিধান দেয়ার পর বার বার মোজা খুলে তা পরার সমস্যা ও অন্যান্য কষ্ট থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে।

জাওরাব-এর উপর মাসেহ করার হাদিসগুলো ১১ জন প্রসিদ্ধ সাহাবি বর্ণনা করেছেন। যাদের অন্যতম হলেন- হজরত ওমর, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর, হজরত আলি, হজরত ইবনে মাসউদ ও হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম প্রমুখ সাহাবিগণ।

তবে জমহুর ওলামায়ে কেরাম পাতলা জাওরাবের উপর মাসেহ করতে নিষেধ করেছেন। তারা বলেছেন, ‘পাতলা জাওরাব দ্বারা ফরজের স্থান ঢাকা হয় না। আর এ শর্ত মোজার উপর মাসেহ বৈধ হওয়ার শর্ত নয় বলে উল্লেখ করেছেন অন্যান্য আলেমরা।

উল্লেখ্য যে, মোজার ওপর মাসেহ করার বিষয়টি শীত প্রধান অঞ্চল এবং সফরের জন্যই বেশি প্রযোজ্য। শীত প্রধান অঞ্চলে ১ দিন এবং সফরের সময় ৩ দিন পর্যন্ত মোজার উপর মাসেহ করা যায়।

মোজার উপর মাসেহ নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়, বরং এটা একটা প্রয়োজন। যা আল্লাহ বান্দার জন্য সহজ করার কথা উল্লেখ করার কারণেই করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের সঠিক দিক-নির্দেশনায় জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।