• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

করোনা চিকিৎসাকর্মীদের ভাতা প্রদান শুরু

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২০  

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ‘কোয়ারেন্টিন’ ভাতা পাওয়া শুরু করেছেন। যেসব ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারেন্টিন সময়ে হোটেলে না থেকে নিজ আবাসস্থলে থেকেছেন কেবল তাদেরকেই এই ভাতা দেয়া হচ্ছে। চলতি বছরের ২৯ জুলাই থেকে তারা এই ভাতা পাবেন। ভাতা পাওয়ার বিষয়টিতে সম্মতি প্রদান করেছে অর্থ বিভাগ। তবে দায়িত্ব পালনকালে এক মাসে ১৫ দিনের বেশি ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন না। ভাতার পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী ভেদে ৬৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা প্রতিদিন।

নির্ধারিত আবাসন সুবিধা গ্রহণ না করলে ঢাকা মহানগরে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৫ দিনের জন্য প্রতিদিন একজন চিকিৎসক পাবেন দুই হাজার টাকা। নার্স ১ হাজার ২০০ টাকা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী পাবেন ৮০০ টাকা। ঢাকা মহানগর ব্যতীত অন্যান্য এলাকার জন্য তা হবে যথাক্রমে ১৮০০, ১০০০ এবং ৬৫০ টাকা। এই হিসাবে ঢাকা মহানগরের একজন চিকিৎসক ১৫ দিনের জন্য ভাতা পাবেন ৩০ হাজার টাকা।

গত বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় সম্পৃক্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসাসেবা প্রদানকালীন কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত আবাসিক সুবিধা গ্রহণ না করলে তাদেরকে দায়িত্ব পালনকালের জন্য নির্ধারিত হারে ভাতা প্রদানের জন্য গত ২৯ জুলাই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ হতে জারিকৃত পরিপত্র বর্ণিত হারে ভাতা নির্ধারণে নির্দেশক্রমে ভূতাপেক্ষ সম্মতি প্রদান করা হলো।’

কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসাসেবার সাথে সম্পৃক্ত সরকারি চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর দায়িত্বপালনকাল নির্ধারণ ও দায়িত্বকালীন পৃথক অবস্থানের ব্যবস্থা সংক্রান্ত-একটি পরিপত্র গত জুলাই মাসে জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘দায়িত্বপ্রাপ্তরা সাধারণভাবে একাধারে ১৫ দিনের বেশি দায়িত্ব পালন করবেন না এবং প্রতি মাসে ১৫ দিন দায়িত্ব পালন শেষে পরবর্তী ১৫ দিন তারা সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টিন) ছুটিতে থাকবেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ১৫ দিন কর্মকালীন পৃথক অবস্থানের জন্য বিশেষ ভাতা অথবা খাবারসহ আবাসনের সুবিধা পাবেন।’ তাদের থাকার জন্য ৬টি সরকারি স্থাপনা নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

পরিপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, একজন চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী এক মাসে ১৫ দিনেরবেশি এ ভাতা প্রাপ্য হবেন না এবং প্রাপ্যতা অনুসারে তারা ওই বিশেষ ভাতা ভ্রমণ ও দৈনিক ভাতা আহরণের পদ্ধতিতে উত্তোলন করবেন বা প্রাপ্য হবেন।

জানা গেছে, কোভিড রোগীদের সেবায় এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৩০০ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসক ৫ হাজার ৭৩০, নার্স ১০ হাজার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। হোটেলে থাকা বাবদ তাদের পেছনে এপ্রিল-জুন মাসে ব্যয় হয়েছে ১০০ কোটি টাকারো বেশি।

সরকার নির্ধারিত আবস্থলের পরিবর্তে নিজ দায়িত্বে থাকা চিকিৎসাকর্মীদের ভাতা বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, যদি এ হারে ভাতা প্রদান করা হয় তবে ভাতা প্রদানের জন্য অর্থ বিভাগ থেকে প্রতি মাসে ৪০ কোটি টাকার মতো দেয়ার প্রয়োজন পড়বে। আমরা এই অর্থ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ছাড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।