• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

করোনা হলেও অনেকের উপসর্গ দেখা যায় না কেন?

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২০  

উপসর্গহীন করোনা আরও বেশি ভয়ঙ্কর। কারণ এর কারণে মানুষ আক্রান্ত হলেও বুঝতে পারে না। তাই তার মাধ্যমে আরও অনেকের মধ্যেই করোনা ছড়ায়। এভাবে সংক্রমণ বেড়েই চলে। তবে এমনটা কেন হচ্ছে? অনেকের ক্ষেত্রে যেখানে করোনা প্রাণঘাতি হয়ে ওঠে, সেখানে অনেকের ক্ষেত্রে কেন কোনো উপসর্গই দেখা যায় না?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের শরীরের ভেতরেই। শরীরে থাকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এখানে আসল ভূমিকা রাখে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এই বিষয়ে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানে দেখা গেছে, শরীরে মেমোরি টি-সেল নামক একটি বিশেষ কোষের উপস্থিতি করোনার হাত থেকে কিছু মানুষকে রক্ষা করছে। এমনটাই প্রকাশ করেছে এই সময়।

jagonews24

সমীক্ষায় তিনটি পৃথক দলের ওপরে পরীক্ষা চালানো হয়। প্রথম দলে ছিলেন ৩৬ জন। এরা সবাই করোনার সংস্পর্শে এসেছেন এবং এদের শরীরে মেমোরি টি সেল রয়েছে। দ্বিতীয় দলে রয়েছে ২৩ জন। এরা সবাই ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং এদের শরীরেরও টি সেল মজুত আছে। তৃতীয় দলে ছিলেন ৩৭ জন, যারা কখনো প্যাথোজেনের সংস্পর্শে আসেননি।

jagonews24

দেখা গেছে, আগে সার্সে আক্রান্ত হলেও নোভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। গবেষকদের একাংশ মনে করছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে একটা সময় বহু মানুষের শরীরে এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে। যার ফলে করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে যাবে এবং এই সংক্রমণ নিজে থেকেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এই পর্যায়কেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘হার্ড ইমিউনিটি’।

jagonews24

সোশ্যাল মিডিয়ার এক অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষক বলেন, ‘হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে এখনও অনেক সময় লাগবে। কারণ, সেজন্য অন্তত ৫০-৬০ শতাংশ মানুষের শরীরে এই ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হতে হবে। তবেই আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে এর ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পারব এবং এর শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে পারবো। কিন্তু এর থেকে অনেক সহজ হবে টিকা আবিষ্কার করা। যাতে মানুষ অসুস্থ না হয়, কারও মৃত্যু না হয়। কারণ, প্রাকৃতিক উপায়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হলে করোনা সংক্রমণের আরও একাধিক পর্যায় আসতে হবে। আরও অনেক মানুষকে সংক্রমিত হতে হবে। এর ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আরও অনেক মানুষের প্রাণও যাবে।’