• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

তালমিছরি কেন এত উপকারী, জানলে অবাক হবেন!

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

তালমিছরি খেয়েছেন নিশ্চয়! মিষ্টি জাতীয় একটি খাবার হচ্ছে তালমিছরি। যা তালের রস থেকে তৈরি করা হয়। বিশেষ করে ছোট শিশুদের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে তালমিছরি খাওয়ানো হয়।

তাছাড়া এটি বড়রাও খেয়ে থাকে। তবে তালমিছরির রয়েছে অবাক করা কিছু উপকারিতা। নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে, তালমিছরিতে কী কী আছে যার জন্য এটি এত উপকারী? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর গুণাগুণ-

তালমিছরির গুণাগুণ
তালমিছরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ভিটামিনস, মিনারেলস, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আইরন, জিঙ্ক, ফসফরাস আর আমাইনো এসিডস। একটি অল্প লভ্য ভিটামিন, বি ১২, যা মূলত আমিষাশী খাবারেই পাওয়া যায়, তা পাওয়া যায় এই তালমিছরিতে। এছাড়াও এতে আছে ২৪ টি প্রাকৃতিক উপাদান। যার জন্য এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধি তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

এবার চলুন জেনে নেয়া যাক এর উপকারিতাগুলো সম্পর্কে-

> গুড় কিংবা চিনিতে কৃমির প্রকোপ বাড়ে। তাই তালমিছরিই ভরসা। বড় ছোট সবাই তালমিছরি নির্ভয়ে খেতে পারেন।

> তালমিছরিতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকায় এটা আনিমিয়াতে ভীষণ ভাবে কাজে দেয়। বিশেষত মেয়েদের জন্য তালমিছরি খুব উপকারী। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

> প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম আর পটাসিয়াম থাকার কারণে তালমিছরি হাড় ও দাঁত শক্ত করে। তাছাড়া হাড়ের সব সমস্যা দূর করে। নারীদের মেনোপজের পরে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। আর হাড় ভাঙ্গার সমস্যা একটি দৈনন্দিন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই ক্ষয় রোধ করতে নিয়মিত তালমিছরি সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। এই দুটি কারণের জন্য বাচ্চাদের জন্যও তালমিছরি খুব উপকারী।

> তালমিছরির রস কাশি উপশম করতে সাহায্য করে এবং গলায় শ্লেষ্মা নরম করে দেয়, ফলে গলায় খুসখুসানি কমে যায়।এক টুকরো তালমিছরি মুখে নিয়ে চুষলে সর্দিতে এবং কাশিতে আরাম পাওয়া যায়।

> খুব ছোট বাচ্চাদের জন্য ওষুধ না ব্যবহার করে তালমিছরির প্রয়োগ করুন। এটি ঠাণ্ডা লাগাও প্রতিরোধ করে।

> কাশতে কাশতে গলায় ব্যথা হলে এক টুকরো তালমিছরি গোলমরিচ আর ঘি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে এক চামচ খেলে গলা ব্যাথায় উপকার মেলে। এক চামচ তালমিছরি, গোলমরিচ এবং আমন্ড-এর পেস্ট রোজ রাতে গরম দুধের সঙ্গে খেলে নাকের শ্লেষ্মা বের করে দেয় এবং ঠাণ্ডা লাগা প্রতিহত করে।

> তালমিছরি চোখের দৃষ্টি বাড়ায়। বাদাম, মৌরী, তালমিছরি এবং গোলমরিচ একসঙ্গে গুঁড়া করে নিন। রোজ রাতে ১ চামচ করে এই মিশ্রণ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান। এটি চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে।

> কিডনি স্টোন এর জন্য এটি বেশ উপকারী। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে তালমিছরি মিশিয়ে খান। কিছুদিনের মধ্যেই প্রস্রাবের সঙ্গে কিডনি স্টোন বেরিয়ে আসবে। তাছাড়া তালমিছরি কিডনির জন্য উপকারী।

 

তালমিছরি

তালমিছরি

> তালমিছরি পেটের ব্যথার উপশম করে। পাতলা পায়খানাতেও ভীষণ কার্যকরী এটি। নিমপাতার সঙ্গে তালমিছরি খেলে পেটের ব্যথা কমে। ধনে গুঁড়ার সঙ্গে তালমিছরি গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এবার এটি পানির সঙ্গে দিনে ২ থেকে ৩ বার মিশিয়ে খান। এর ফলে পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি মেলে। তাছাড়া গরমে হিট স্ট্রোক হলে এটি খুব কাজে লাগে।

> অনেকেরই গরমকালে নাক দিয়ে রক্তপাত হয়। নাকের কাছে মিছরি গুঁড়া করে শুঁকলে রক্তপাতের উপশম হয়।

> মুখের আলসারের জ্বালাতে উপশম পেতে তালমিছরি আর এলাচ গুঁড়া করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এটি মুখের ভেতরে লাগালে আরাম পাওয়া যায়। আলসার কমে। বাচ্চাদের জন্যও ব্যবহার করা যায়।

> মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য তালমিছরি খুব উপকারী। কালো তিল ও তালমিছরি গুঁড়া গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুইবার খান। উপকার মিলবে।   

> সাইনাসের জন্য বা চোখের জন্য মাথা ধরা খুব সাধারণ একটি ব্যাপার। অনেক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যার সমাধানে আদার রসের সঙ্গে তালমিছরি খেলে সাইনাস জনিত মাথাধরা থেকে উপশম মেলে। তুলসী পাতা, তালমিছরি আর গোটা মরিচ একসঙ্গে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।

> তালমিছরিতে ডায়েটারি ফাইবারের প্রাচুর্যের জন্য এটি হজমে সাহায্য করে এবং কন্সটিপেশান সারিয়ে তোলে। এছাড়াও চিনি বা মধুর তুলনায় তালমিছরি আমাদের শরীরে অনেক কম পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট তৈরি করে। ফলে তালমিছরি সেবনে ক্লান্তি অনেক কম হয়, শরীরকে সতেজ রাখে।

> গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স তালমিছরিতে চিনি বা মধুর তুলনায় অনেক কম থাকায় তালমিছরি ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়েবিটিস প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

> বার বার পাতলা পায়খানা বা বমি হলে আমাদের শরীর থেকে ইলেক্ট্রোলের মাত্রা কমে যায়। ও আর এস এর পরিবর্তে তালমিছরি জলের সঙ্গে মিশিয়ে বার বার খাওয়ালে এই ঘাটতি পূরণ হয় এবং শরীরে এনার্জি ফেরত আসে।

> নানা ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান এবং ভিটামিন মিনারেল এবং আমাইনো এসিড যুক্ত তালমিছরি বাচ্চাদের নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ঠাণ্ডা জনিত বা পেটের রোগ প্রতিহত করতে তালমিছরির জুড়ি নেই। ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এর জন্যও তালমিছরি খুব উপকারী।

> আর্থারাইটিস, শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্যও তালমিছরি খুব উপকারী। তাই নানা ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধে এসব সমস্যার সমাধানের জন্য তালমিছরির ব্যবহার বহুদিনের।