• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

না ফেরার দেশে কণ্ঠশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২১  

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

গত বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বুকে ব্যথা অনুভব করলে মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। সেই সঙ্গে ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে। পরে গত ৩ এপ্রিল তাকে রাজধানীর মালিবাগের প্রশান্তি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তী সময়ে ৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ মারা যান তিনি।

শিল্পীর ভাই অনঙ্গম রাজবংশী ও শ্যালিকা শিপ্রা ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী দীপ্তি রাজবংশী, পুত্র রবীন রাজবংশী ও মেয়ে প্রবাসীকে। তারা নিজেরাও লোকগানের সঙ্গে জড়িত।

ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মূলত লোকগানের শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি শুরুর জীবনে ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, জারি, সারি, মুর্শিদি ইত্যাদি গান গেয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন গ্রাম-বাংলায়। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান গেয়ে নিজেকে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ২০১৮ সালে সংগীত বিভাগে একুশে পদক লাভ করেন ইন্দ্রমোহন।

শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর পরিবার পাঁচ পুরুষ ধরে গান লেখার সঙ্গে যুক্ত। তিনি নিজে মূলত লোকগানের শিল্পী। সংগীত কলেজে লোকসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।

১৯৫৭ সালে ছোটদের আসরে গান করতে শুরু করেন তিনি। ১৯৭১ সালে সরাসরি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়ে ভিন্ন নামে দোভাষীর কাজ করতে হয় কিছুদিন। পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিতে তিনি যুক্ত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।

গান লেখা, সুর করা ও গাওয়া ছাড়াও লোকগান সংগ্রহ করতেন তিনি। গত ৫০ বছরে এক হাজার কবির লেখা কয়েক লাখ গান সংগ্রহ করেছেন গানের রাজবংশী।