• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিদেশি সাংবাদিকের চোখে ভাসান চর

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

 

কক্সবাজারের জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরগুলোতে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। বাংলাদেশ সরকার সেখান থেকে একলাখ শরণার্থীকে ভাসান চর দ্বীপে স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা করছে। ভাসান চরে যাওয়ার জন্য এতদিন কোনো পশ্চিমা সাংবাদিক সরকারি অনুমতি পাননি। জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের তিন সাংবাদিককে গত ২৪ আগস্ট চরটি ঘুরে দেখার সুযোগ দেয়া হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা সাংবাদিকদের সেখানে নিয়ে যান।
 ভাসান চর ঘুরে এসে সেখানকার বর্তমান অবস্থার ছবি তুলে ধরা হয়েছে ডয়চে ভেলের বিশেষ প্রতিবেদনে।  পাঠকদের জন্য সেই প্রতিবেদনের সারাংশ এখানে প্রকাশ করা হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নৌ-বন্দর থেকে জাহাজে প্রায় ঘণ্টা তিনেক যাত্রার পর বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে একটি চর ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে। দূর থেকেই সেখানে সদ্য মাথা উঁচু করা চারতলা ভবনগুলো দেখা যাচ্ছিল। সমুদ্র তখন ততটা উত্তাল ছিল না।
নোয়াখালি জেলার অন্তর্ভূক্ত এই চর মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। ২০ বছর আগেও এখানে অতল বঙ্গোপসাগর ছাড়া কিছু ছিল না। আর এখন নিচু চরটিতে কার্যত ছোটখাট এক শহর গড়ে তোলা হয়েছে। পলিমাটির এই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্থানান্তর করতে চায় বাংলাদেশ সরকার। 
তবে, রোহিঙ্গারা সেই দ্বীপে যেতে রাজি নয়। রোহিঙ্গাদের কাছে যেটি ঠেঙ্গার চর নামে পরিচিত। শরণার্থীরা স্বেচ্ছায় রাজি না হলে জোর করে তাদের কক্সবাজার থেকে এই চরে নিয়ে আসা হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত এই চরে ২০১৫ সালে প্রথম শরণার্থীদের বসবাসের জন্য আবাসন গড়ার পরিকল্পনা করা হয়। সেসময় চরটিতে কোন জনবসতি ছিল না। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে বাংলাদেশের টেকনাফ ও উখিয়ায় পালিয়ে আসলে চরটিতে অবকাঠামো গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়।
টেকনাফ এবং উখিয়ায় অবস্থিত শরণার্থী শিবিরগুলোর জনাকীর্ণ অবস্থা এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তাই বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ভাসান চর পরিকল্পনা, যেটি আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্প নামে পরিচিত, দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
পলি জমে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ভাসান চরে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাত্র দেড় বছরে চরটিতে একলাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়। দ্বীপটিকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ নৌবাহিনী এ তথ্য জানায়।
ভাসান চরে নৌবাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কমোডর এ এ মামুন চৌধুরী ডয়চে ভেলে-কে বলেন, এখানে নৌবাহিনীর একটি ফরোয়ার্ড বেস হবে। সমুদ্রে ও দ্বীপের চারপাশের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা কাজ করবে। এছাড়াও প্রশাসনকে যা যা সহযোগিতা করা দরকার হবে তারা করবে।
দ্বীপে নতুন করে গড়ে তোলা অবকাঠামো প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলে জানায়, এখানকার ভবনগুলো দেখতে প্রায় একইরকম। এখানে বিভিন্ন ব্লকে তৈরি করা ১ হাজার ৪৪০টি একতলা ভবনে রোহিঙ্গারা থাকতে পারবেন। স্টিল এবং কংক্রিটের ব্লক দিয়ে তৈরি একেকটি ভবনে ১৬টি বারো বাই চৌদ্দ ফুট ঘর রয়েছে, যেগুলোর প্রতিটিতে এক পরিবারের চারজন করে থাকতে পারবেন। নারী ও পুরুষের জন্য রয়েছে আলাদা বাথরুম। প্রতিটি ভবনে ৬৪ জনের জন্য থাকছে দু'টি রান্নাঘর, যেখানে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি চুলা ব্যবহার করা যাবে।
চরটিতে বিদ্যুতের জোগান দিতে জেনারেটরের পাশাপাশি রয়েছে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় আয়োজন। টিউবওয়েল ছাড়াও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এই দ্বীপে। পাশাপাশি রয়েছে অনেক পুকুর, যেখানে মাছচাষ সম্ভব।
ভাসান চরে গড়ে তোলা এই শহরের অভ্যন্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে চরটিতে শীঘ্রই ১২০টি সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হবে।
পলিমাটির এই চরে ভূমিক্ষয় রোধে তিন স্তরের প্রতিরোধক ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। আর চরের ভেতরের দিকে যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য রয়েছে তিন মিটার উঁচু বাঁধ। সাগরের ঢেউ আটকানোর বিশেষ ব্যবস্থাসহ বালুর বস্তা এবং নুড়ি পাথর দিয়ে সেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়া হয়েছে। চরটিকে বসবাসের উপযোগী করে তোলার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন এসব ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় চরটিকে রক্ষা করতে যথেষ্ট।
চরটিতে রোহিঙ্গাদের জন্য রয়েছে ১২০টি চারতলা শেল্টার হাউস, যেগুলোর প্রতিটিতে স্বাভাবিক সময়ে ৯২ জন অবস্থান করলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সহস্রাধিক মানুষ থাকতে পারবেন। আর অন্যান্য সময় এসব ভবন হাসপাতাল, প্রাথমিক স্কুল, মসজিদ কিংবা দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করা যাবে।
শেল্টার হাউসগুলো ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাসেও অক্ষত থাকবে। এগুলোর কয়েকটিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কার্যালয় এবং কর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা যাবে। ডয়চে ভেলেকে এরকম একটি ভবন দেখানো হয়েছে যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ আধুনিক বাথরুমও রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এই ১২০টি শেল্টার হাউস, যেগুলোর নিজস্ব পানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রয়েছে, রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অবশ্য কাউকে চরটি থেকে উদ্ধার করা হবে না বলেও নিশ্চিত করেছে নৌবাহিনী। অর্থাৎ সেরকম পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের চরেই থাকতে হবে।
এতো আয়োজনের পরেও রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এখনো এটিকে নিরাপদ মনে করছে না। তবে এই বসতি রোহিঙ্গাদের জন্য এক ‘স্বর্গ’ বলে মনে করেন আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্পের প্রধান স্থপতি আহমেদ মুক্তা। 
তিনি বলেন, এটা সত্যি যে এই দ্বীপে আগে পানি উঠতো। কিন্তু এই দ্বীপকে বাসোপযোগী করার জন্য আমরা ১৩ কিলোমিটার বাঁধ দিয়েছি। এখন আর বাঁধের ভেতর পানি ঢোকে না। আমি মনে করি, এটা বাংলাদেশের একটি অন্যতম নিরাপদ বাঁধ।
ভাসান চরে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য চরটির বাঁধের বাইরের অংশে গড়ে উঠেছে একটি বাজার। এই বাজারের কয়েকজন দোকানদার জানান, এখনো মাসে দু'বার জোয়ারের সময় তাদের বাজারে তিন থেকে চার ফুট পানি ওঠে। এই পানি অবশ্য বাঁধের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না।
স্থপতি আহমেদ মুক্তা আরো জানান, শেল্টার হাউসে ৪০ শয্যার হাসপাতালের আয়োজন থাকবে। তবে, জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজনে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা পাশের হাতিয়া দ্বীপে অবস্থিত হাসপাতালে যেতে পারবেন। নৌকায় সেই চরে যেতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে বলে জানিয়েছেন নৌ কর্মকর্তারা।
মুক্তার প্রতিষ্ঠান ‘এমডিএম আর্কিটেক্টস’ অতীতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে শেল্টার হাউস তৈরি করেছে।
চরটির এক নির্মাণ শ্রমিক ডয়চে ভেলেকে জানান, তাকে যদি এই দ্বীপে একটি ঘর দেয়া হয় তাহলে তিনি সানন্দে এখানে থাকবেন৷ এটা বসবাসের জন্য চমৎকার স্থান বলে মনে করেন তিনি।
ভাসান চরে এরই মধ্যে একটি লাইটহাউসও স্থাপন করা হয়েছে, যেটির নাম দেয়া হয়েছে ‘আশার বাতিঘর’। সেটির সাদা দেয়ালে ফলক স্থাপনের জন্য জায়গা রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর শুরুর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বীপটি উদ্বোধন করলে সেখানে একটি ফলক স্থাপন করা হবে।
ইতোমধ্যে ভাসান চরে প্রায় সব ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেছে বলেও ডয়চে ভেলেকে জানানো হয়েছে। যদি সরকার রোহিঙ্গাদের এই দ্বীপে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া তাহলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা কার্যকর সম্ভব। এজন্য নৌবাহিনীর চারটি জাহাজও প্রস্তুত রয়েছে। এসব জাহাজে করে একেকবারে চারশো থেকে পাঁচশো শরণার্থীকে এই চরে নিয়ে আসা যাবে।
কিন্তু, কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ডয়চে ভেলে কথা বলেছে, তাদের কেউই ভাসান চরে যেতে রাজি হননি। 
তবে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ঢাকায় তাঁর কার্যালয়ে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন যে সরকার প্রয়োজন মনে করলে জোর করে হলেও রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে সরিয়ে নিতে পারে। 
রোহিঙ্গাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার এখনই উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘(কক্সবাজারের) জনাকীর্ণ ক্যাম্পে থাকলে রোহিঙ্গারা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হতে পারে।’
টেকনাফ এবং উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সম্পর্ক ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ডয়চে ভেলে যেদিন ভাসান চর গিয়েছে, সেদিনও স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই রোহিঙ্গা পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন মনে করেন, রোহিঙ্গারা নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ‘সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা খুন হচ্ছেন। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য আমরা হয়ত জোর করে রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে সরিয়ে নেবো।’
লাখখানেক রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনায় সমর্থন পেতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ এবং অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থার, যেগুলো রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করছে, উপর চাপ প্রয়োগ করছে। 
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক এক বৈঠকের ‘মিটিং মিনিটস’ পেয়েছে ডয়চে ভেলে, যেখানে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ২০২০ সালের পরিকল্পনায় ভাসান চর অন্তর্ভূক্ত করতে জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়নসংস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর সেটা না করা হলে ২০২০ সালের পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দেবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
তবে, ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করে ডয়চে ভেলে। 
নামপ্রকাশের অনিচ্ছুক জাতিসংঘের কয়েক কর্মকর্তা অবশ্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ভাসান চরকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করতে তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ডয়চে ভেলে যে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে চরটির বিষয়ে জানতে চেয়েছে, তাদের সবাই অবশ্য মনে করছেন না যে চরটিতে ইতোমধ্যে যেসব ব্যবস্থা করা হয়েছে তা যথেষ্ট। কেউ কেউ মনে করছেন, যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে সেটির উচ্চতা দ্বিগুণ করতে হবে। বাকিরা বলছেন, বাঁধের মধ্যে রোহিঙ্গারা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ থাকবেন।
স্থপতি আহমেদ মুক্তা কোনভাবেই মনে করেন না যে চরটি অনিরাপদ। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘যেসব মানুষ ভাসান চরকে ভাসমান চর, কিংবা অনিরাপদ চর বলেন, তারা আসলে চরটিকে চেনেন না। তারা চরটি এখনো দেখেননি।’
সূত্র: ডয়চে ভেলে