• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের

বিদ্যুৎ ছাড়াই অক্সিজেনের চাহিদা মিটাবে বুয়েট গবেষকদের ‘অক্সিজেট’

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২১  

করোনা পরিস্থিতিতে ১০ মাস কাজ করে সুখবর দিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (বুয়েট) গবষকরা। তারা অল্প মূল্যের সিপ্যাপ (C-PAP) ভেন্টিলেটর ডিভাইস তৈরি করেছেন, যার নাম ‘অক্সিজেট’। যা করোনাসহ অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেহে অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করবে।  

গবেষকরা হলেন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষণা সহকারী মীমনুর রশিদ, কাওসার আহমেদ ও ফারহান মুহিব। বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কায়সার আহমেদ ও সাঈদুর রহমান। সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসান।

মীমনুর রশিদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সব হাসপাতালেই অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে। বাড়ছে আইসিইউ সংকট ও বিদ্যুৎ সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে রোগীদের পাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ‘অক্সিজেট’। এই ‘অক্সিজেট’ ব্যবহারে লাগবে না বিদ্যুৎ সংযোগ। খরচ পড়বে মাত্র ২ হাজার টাকা। সিলিন্ডার কিংবা হাসপাতালের সাপ্লাই লাইন থেকেই হাইফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে। এটি হতে পারে হাইফ্লো নজেল ক্যানোলার বিকল্প।

কাওসার আহমেদ বলেন, যন্ত্রটি বাতাস থেকে প্রাকৃতিক অক্সিজেন টেনে ভেতরে এনে সংরক্ষণ করবে। সিলিন্ডারের অক্সিজেনের সঙ্গে প্রাকৃতিক অক্সিজেন একত্র করে প্রায় ৬০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করার মতো ক্ষমতা তৈরি করে। এই হাইফ্লো অক্সিজেন সিপ্যাপ মাস্কের মাধ্যমে রোগীকে দেয়া হয়৷ মাস্কটি এমনভাবে তৈরি যাতে লিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। ফলে রোগী সহজে অক্সিজেনের অভাব কাটিয়ে উঠতে পারে, নিঃশ্বাস নিতে পারে বুক ভরে। প্রত্যন্ত অঞ্চল ও যাত্রাপথে অ্যাম্বুলেন্সে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারবে। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তদের অবস্থার অবনতি হলে উচ্চগতির অক্সিজেন প্রবাহ (high-flow) প্রয়োজন হয়। এরকম যন্ত্রের মধ্যে দেশে মূলত ‘হাই-ফ্লো নেজাল কেনোলা’ রয়েছে যা আইসিইউ’র বাইরে ব্যবহার করা সম্ভব। তবে এটি বেশ ব্যয়বহুল। 

বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কায়সার আহমেদ বলেন, একটি সূক্ষ ভেঞ্চুরি ভালভের মাধ্যমে বাতাস ও অক্সিজেনের সংমিশ্রণ তৈরি করে অন্তত ৬০ লিটার/মিনিট গতিতে সরবরাহ করে। মেডিকেল অক্সিজেন সাপ্লাই ও দ্বৈত ফ্লো-মিটারের সাহায্যে প্রয়োজনে ১০০% পর্যন্ত অক্সিজেন কনসেন্ট্রেশন দিতে পারে। ‘অক্সিজেট’ রোগীদের সাধারণ ওয়ার্ডেই উচ্চগতির অক্সিজেন সেবা দিতে পারবে। তাই আইসিইউতে রোগী ভর্তির চাপ কমাবে। 

তিনি আরো বলেন, যন্ত্রটি অক্সিজেন সিলিন্ডারে ব্যবহার করলে রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন বাড়বে প্রায় ১২ ভাগ। যা রোগীর জন্য হতে পারে অনেক স্বস্তিদায়ক। ‘অক্সিজেট’ বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের উপর এটি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফরহাদ উদ্দিন হাছান চৌধুরী বলেন, করোনা যদি আরো ভয়ানক রূপ ধারণ করে তাহলে সারাদেশে এটির প্রয়োজন পড়বে। তখন এই যন্ত্রটিই হতে পারে আশার আলো। তখন আমরা অনেক মারাত্মক রোগীকে সেবা দিতে পারবো। এতে প্রাণ ফিরে পাবে অনেক রোগী। তাছাড়া আইসিইউয়ের সমস্যা কাটিয়ে তুলতে এই মেশিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসান বলেন, জরুরি ভিত্তিতে আরো ৫০টি ‘অক্সিজেট সিপ্যাপ’ তৈরি করা হচ্ছে। ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেলে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) অনুমোদন সাপেক্ষে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহায়তায় ট্রায়ালটি আরো বড় আকারে অন্যান্য হাসপাতালে করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিতরণ করা সম্ভব অন্যান্য হাসপাতালে।