• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী লাইলাতুল কদর মানবজাতির অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনি শবে কদর রজনিতে দেশ ও মুসলিম জাহানের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর সেবা দিলে ভবিষ্যতে ভোট নিয়ে চিন্তা থাকবে না জনপ্রতিনিধিদের জনসেবায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনার চিঠি রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আহ্বান

বিশ্বে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

গত বছর কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা সত্ত্বেও অল্প যে কয়েকটি দেশের প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রবাসী আয় বেশি আসে এমন শীর্ষ ১০ দেশের ৭টিতে গত বছর আয় কমেছে। আর তিনটি দেশে আয় বেড়েছে। দেশগুলো হলো মেক্সিকো, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। গত বছর ভারত, চীনের মতো দেশগুলোর প্রবাসী আয় কমেছে।

ইআইইউ প্রকাশিত ‘কোভিড-নাইন্টিন অ্যান্ড মাইগ্র্যান্ট রেমিট্যান্স : অ্যা হিডেন ক্রাইসিস লুমিং?’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেও ২০২০ সালে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ডলার, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে প্রবাসী আয় ছিল ১ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর মেক্সিকোর প্রবাসী আয় বেড়েছে ৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৪ শতাংশ। গত বছর মেক্সিকোর প্রবাসী আয়ের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ১৫০ কোটি ডলার বেড়ে ৪ হাজার ৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। একইভাবে পাকিস্তানে ২০১৯ সালে ২ হাজার ২২০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। গত বছর তা বেড়ে ২ হাজার ৪১০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও নিজ দেশে থাকা প্রিয়জনকে ভালো রাখতে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রচেষ্টার ফলাফলই এই তিনটি দেশের প্রবাসী আয় বৃদ্ধি। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণগুলো ভিন্নধর্মী। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ দুই দেশের প্রবাসী শ্রমিকদের অনেকে তাদের চাকরি হারিয়ে নিজেদের জমানো টাকা দেশে পাঠিয়েছেন। উপসাগরীয় দেশগুলোর শ্রমিকদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি ছিল। কারণ করোনার কারণে তেলের দাম কমে যাওয়া এবং পর্যটন ব্যবসায় ধস নামায় ওই অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনীতি সংকটে পড়েছে। আবার বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বেশি আসার আরেকটি কারণ, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে বৈধ উপায়ে দেশে টাকা পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে। আবার বৈধভাবে টাকা পাঠালে প্রণোদনার হারও বাড়ানো হয়েছে, যা প্রবাসী শ্রমিকদের বৈধ উপায়ে দেশে টাকা পাঠানোর উৎসাহ বাড়িয়েছে।

এভাবে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির বিষয়টি সাময়িক। ২০২১ সালেই প্রবাসী আয় আবার পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।

অন্যদিকে গত বছর প্রবাসী আয় কমার তালিকায় আছে ভারত, চীন, ফিলিপাইন, মিসর, নাইজেরিয়া, ভিয়েতনাম ও ইউক্রেন। সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় অর্জনকারী ভারতে আগের বছরের চেয়ে আয় কমেছে ৮০০ কোটি ডলারের মতো। ২০২০ সালে দেশটিতে প্রবাসী আয় এসেছে ৭ হাজার ৫৯০ কোটি ডলার। অন্যদিকে চীনের প্রবাসী আয় কমেছে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। ২০২০ সালে দেশটির প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার। চীন, ভারত ও ভিয়েতনামে ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর প্রবাসী আয় কমেছে যথাক্রমে ১৩, ৯ ও ৮ শতাংশ।