• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

ভোলায় ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

ভোলা জেলায় ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। সদর উপজেলা, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন ও তজুমোদ্দিন উপজেলায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৫৭ জন গ্রাহক শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফল ভোগ করছে। এর মধ্যে দৌলতখান ও তজুমোদ্দিন উপজেলার শতভাগ বিদ্যূতায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ উদ্বোধন করেছেন। অন্য দুটি উপজেলাও উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এছাড়া আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে চরফ্যাসন ও লালমোহন উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হবে। আর ২০২০ সালের মধ্যে পুরো জেলায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। আর এতে করে আনন্দ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
পল্লী বিদুৎ সমিতি’র সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (সদস্য সেবা) মিজানুর রহমান বাসস’কে জানান, শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করা ৪টি উপজেলার মধ্যে দৌলতখান উপজেলায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭২৪ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। যার সুফল ভোগ করছে উপজেলার ৩৮ হাজার ৪৪৯ জন গ্রাহক। উপজেলা সদরে ২০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৩৯৩ কিলোমিটার লাইন স্থাপনের মাধ্যমে ৬৪ হাজার ৩৭ টি মিটার স্থাপন হয়েছে। সদরে চলতি বছরের জুলাই মাসে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
মিজানুর রহমান আরো জানান, একইভাবে তজুমোদ্দিন উপজেলায় ২৩ হাজার ৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৯৬ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বোরহানউদ্দিনে ১৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১’শ ২২ কিলোমিটার লাইন স্থাপন করা হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে উপজেলার ৩৯ হাজার ৭৩২টি পরিবার।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবুল বাশার আযাদ বাসস’কে বলেন, জেলায় গ্রীড লাইনের আওতায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কার্যক্রম এতিমধ্যে ৯২ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষ করে শতভাগ বিদু্যূতায়ন সম্পন্ন ৪টি উপজেলায় মানুষের জীবন মানে পরিবর্তন এসেছে। প্রত্যন্ত এলাকার অধিকাংশ ঘরে আজ বিদ্যুতর আলোয় আলোকিত হচ্ছে। ফলে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য কমে আসছে। গ্রামে বসেই মানুষ বিদ্যুূতের সাহায্যে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রীড লাইনের বাইরে জেলায় জনবসতিপূর্ণ ৮টি বিচ্ছিন্ন চর সনাক্ত করা হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে সাবমেরিন ক্যবলের মাধ্যমে এসব চরে বিদু্যূতায়ন সম্মন্ন করা হবে। ইতোমধ্যে চর কুকরী-মুকরীতে বিদু্যূতায়ন কাজের টেন্ডার পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলোতে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা জানান, জেলার শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করা ৪টি উপজেলা ছাড়াও লালমোহন ও চরফ্যসন উপজেলায় শতভাগ বিদু্যূতায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে লালমোহনে ১৬’শ ২৪ কিলোমিটার লাইন প্রয়োজন। স্থাপন হয়েছে ১৩’শ ৫৬ কিলোমিটার। আর ব্যয় হয়েছে ১৭৫ কোটি টাকা। একইসাথে চরফ্যাসনে ২৬’শ ৬৭ কিলোমিটার লাইনের বিপরীতে ১৯’শ ৫৮ কিলোমিটার লাইন স্থাপন হয়েছে। এ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা।
সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ১৬ নং দক্ষিণ চর ভেদুরিয়া এম হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই মনে করেন, সরকারের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাপক বিদ্যুূতায়নের ফলে লেখা-পড়ার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। একসময় কেরোসিন কিনে কুপি বা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখা করতে হতো। যা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হতোনা।
চর-চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের শরিফ খা বাজারের ক্ষুদ্র বিক্রেতা ফয়েজ হোসেন ও বারেক আলী বলেন, বিগত দিনে তাদের এখানে বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যার পর পরই বাজারের বেচা-কেনা শেষ হয়ে যেত। গত কয়েক বছরে এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন আসাতে অনেক রাত পর্যন্ত হাটের কার্যক্রম চলে। ফলে তাদের আয় রোজগারও বৃদ্ধি পেয়েছে।