• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মঙ্গলগ্রহে প্রথম অক্সিজেন তৈরি করলো নাসার রোভার

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২১  

নাসা মঙ্গলগ্রহে পারসিভেয়ারেন্স রোভার বলে যে মহাকাশযান পাঠিয়েছে, সেটির একটি ছোট্ট যন্ত্র মঙ্গলের কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে তা থেকে অক্সিজেন তৈরি করেছে। নাসার এই মঙ্গল অভিযানে এটি এ ধরণের দ্বিতীয় প্রযুক্তিগত সাফল্য। এর আগে পারসিভেয়ারেন্স থেকে একটি মিনি হেলিকপ্টার উড়েছিল মঙ্গল গ্রহের ওপর।

যে যন্ত্রটি দিয়ে মঙ্গলগ্রহে অক্সিজেন তৈরি করা হয়েছে, সেটি আকারে একটা পাউরুটি সেঁকার টোস্টারের সমান। এটির নাম 'মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপেরিমেন্ট' বা সংক্ষেপে মোক্সি।

এই যন্ত্রটি পাঁচ গ্রাম গ্যাস তৈরি করেছে- যা দিয়ে মঙ্গলগ্রহে একজন নভোচারী বড়জোর দশ মিনিট শ্বাস নিতে পারবেন।

নাসা মনে করছে, ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে মানুষের অভিযানের সময় তাদের পুরোটা সময়ের জন্য যে অক্সিজেনের দরকার হবে তা পৃথিবী থেকে বহন করে নেয়ার পরিবর্তে মোক্সি নামের এই যন্ত্রটিরই আরও বড় কোন সংস্করণ সাথে নেয়া যেতে পারে।

মহাকাশে যেতে যে রকেট ব্যবহৃত হয়, সেই রকেট চালানোর জন্যও অক্সিজেন লাগে। অক্সিডাইজারের উপস্থিতিতে জ্বালানি পুড়িয়ে রকেট সামনে অগ্রসর হওয়ার গতি অর্জন করে। ‌এই অক্সিডাইজার হিসেবে সাধারণ অক্সিজেনও ব্যবহার করা যায়।

মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডই বেশি, প্রায় ৯৬ শতাংশ। অক্সিজেন আছে মাত্র শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। অথচ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আছে ২১ শতাংশ অক্সিজেন।

মোক্সি নামের যন্ত্রটি মঙ্গলের কার্বন ডাইঅক্সাইডের অণু থেকে অক্সিজেন বের করতে পারে। কার্বন ডাইঅক্সাইডের প্রতিটি অণুতে থাকে কার্বনের একটি এবং অক্সিজেনের দুটি পরমাণু। আর এই অক্সিজেন বের করে নেয়ার পর যে কার্বন মনোক্সাইড অবশেষ হিসেবে থেকে যায়, তা ছেড়ে দেয়া হয় মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে।

নাসার যে টিম মোক্সি যন্ত্রটি চালাচ্ছে, তারা বিভিন্নভাবে এটি পরীক্ষা করে দেখছে কিভাবে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়। তাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, এটি দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় দশ গ্রাম পর্যন্ত অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে।

নাসার স্পেস টেকনোলজি মিশন ডাইরেক্টরেটের টেকনোলজি বিষয়ক পরিচালক ট্রাডি কোর্টেস বলেন, "মোক্সি যে ভিনগ্রহে অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রথম যন্ত্র কেবল তাই নয়, এটি হচ্ছে এ ধরণের প্রথম প্রযুক্তি যা ভবিষ্যতের অভিযানগুলোকে ভিন্ন কোন গ্রহে সেখানকার পরিবেশের উপাদান ব্যবহার করেই বেঁচে থাকতে সহায়তা করবে।"

নাসা তার ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারটি আজ আবার ওড়ানোর চেষ্টা করবে।

গত সপ্তাহে এই মিনি হেলিকপ্টার মঙ্গলগ্রহে ওড়ার মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করে। ভিন্ন কোন গ্রহে কোন বিদ্যুৎচালিত উড়ন্তযানের এটাই ছিল প্রথম কোন নিয়ন্ত্রিত ফ্লাইট।

দ্বিতীয় ফ্লাইটের সময় এটি মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশ থেকে পাঁচ মিটার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। এটি এসময় কিছু ছবি তুলবে, এরপর যেখান থেকে উড়েছিল, সেই জায়গায় ফিরে মাটিতে নামবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা