• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোই তার অন্যায়ের সাক্ষ্য দেবে

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২০  

আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেবো। তাদের হাতগুলো আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পাগুলো তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে’ (সূরা ইয়াসিনের ৬৫ নম্বর আয়াত)। আলোচ্য আয়াতে মানুষের পার্থিব জীবনের বিভিন্ন অপকর্মের সাক্ষ্য প্রদানের ক্ষেত্রে হাত ও পায়ের ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। কুরআনের অন্য আয়াতে মানুষের কর্ণ, চক্ষু ও চর্মের সাক্ষ্য দানের কথা উল্লেখ রয়েছে। হাশরের বিভীষিকাময় ময়দানে উপস্থিত হওয়ার পর সব মানুষ তার পরবর্তী অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়বে। প্রকৃত অপরাধীরা সেদিন আল্লাহর ভয়াবহ আজাব থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাবে।

প্রথমে প্রত্যেকেই আত্মরক্ষার্থে যা কিছু বলার ও ওজর পেশ করার তা করতে পারবে এবং নিজেদের অপরাধ আড়াল করার উদ্দেশ্যে অপরাধীরা মিথ্যার আশ্রয় নেবে। মুশরিকরা সেখানে কসম করে কুফর ও শিরক অস্বীকার করবে। কেউ কেউ বলবে, ফেরেশতারা আমাদের আমলনামায় যা কিছু লিখেছে আমরা তা থেকে মুক্ত। তখন আল্লাহতায়ালা তাদের মুখে মোহর এঁটে দেবেন। যাতে তারা কোনো কিছুই বলতে না পারে। অতঃপর তাদেরই হাত, পা, চক্ষু, কর্ণ, চর্ম ও অন্য অঙ্গগুলোকে রাজসাক্ষী করে কথা বলার যোগ্যতা দান করা হবে। এসব অঙ্গ-প্রতঙ্গ একটা একটা করে পার্থিব জীবনে অপরাধী কর্তৃক সম্পাদিত সব অন্যায় কার্যাবলি উন্মোচিত করে দেবে। অপরাধীরা তখন হতবাক হয়ে যাবে এই ভেবে যে, পার্থিব জীবনে যে হাত, পা, চক্ষু, কর্ণ, চর্ম কখনো কথা বলতে পারত না, তারাই আমাদের অপরাধগুলো এভাবে আল্লাহর সামনে প্রকাশ করে দিচ্ছে! আজকের এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার জীবনে আমরা একবারও ভেবে দেখি না যে, আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলোই এক সময় আমাদের শত্রু হিসেবে আল্লাহর দরবারে সাক্ষ্য দেবে।

যদি ভাবতাম তাহলে আমাদের দ্বারা কি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, জেনা, ব্যভিচার, মাদক সেবন, দুর্নীতি, অন্যের হক নষ্ট প্রভৃতি অন্যায় কাজ করা সম্ভব হতো? পৃথিবীর এই সংক্ষিপ্ত জীবনকে একটু আরামদায়ক করার জন্য, স্ত্রীর মন জয় করার জন্য কিংবা সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবনকে শান্তিময় করার উদ্দেশ্যে আমরা আমাদের হাত, পা, চক্ষু, কর্ণ, মুখ, জিহ্বা ব্যবহার করে কতই না অন্যায় কর্ম করে যাচ্ছি। কিন্তু হাশরের ময়দানে আমি নিজে যখন কঠিন মসিবতে পড়ব, আমার এসব অঙ্গ যখন আমাকে জাহান্নামে নেয়ার জন্য আমার অপরাধগুলো প্রকাশ করে দেবে তখন আমাকে কে রক্ষা করবে? অতএব, পরকালীন জীবনের লাঞ্ছনা এবং জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত আল্লাহ প্রদত্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলোকে আল্লাহ ও তার রাসূল সঃ-এর হুকুম অনুযায়ী ব্যবহার করা।