• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

মামুনুলের চুক্তিভিত্তিক বিয়ে ইসলামে ভিত্তিহীন

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১  

মানবিক বিয়ের গল্প বানালেও পরের দুই নারীকে বিয়েই করেননি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। শুধু স্ত্রীর মতো আচরণ করার জন্য চুক্তি করেছিলেন তিনি। এরজন্য দেওয়া হত ভরণপোষণ। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাবাদে এমন কথা বলেছেন মামুনুল হক। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, এ ধরনের বিয়ের কোনো ভিত্তি নেই ইসলামে।

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ ধরা পড়েন মামুনুল হক। তখন তিনি দাবি করেন, ওই নারী তার বিবাহিতা দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হয় মামুনুল হকের। যেখানে বলা হয়, ওই নারী হাফেজ শহীদুলের বউ। জনরোষ থেকে বাঁচতেই দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে সেদিন পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।

মামুনুল হকের এমন মানবিক বিয়ে নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন দৃশ্যপটে হাজির আরেক নারীর ভাই। তার দাবি, তিনি তার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস লিপিকে খুঁজে পাচ্ছেন না। এজন্য মামুনুলের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডিও করেছেন। যার তদন্ত করছে পুলিশ।

নাশকতার মামলায় মামুনুল এখন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। সেখানে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তিনি স্বীকার করেছেন-পরের দুই নারীকে বিয়ে না করার কথা। মামুনুল হক গোয়েন্দাদের আরও জানান, স্ত্রীর মর্যাদা না দিলেও ভরণপোষণ দেয়া হত তাদের। এর বিনিময়ে চুক্তি ছিল তাদের সঙ্গে স্ত্রীর মতো আচরণ করবেন তিনি। লিখিত এমন চুক্তির কপি গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে। এ বিষয়ে খবর বেরিয়েছে জাতীয় দৈনিকেও।

ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, ইসলামী শরিয়ত এবং দেশীয় আইনেও এমন চুক্তি অবৈধ।

ইসলামী চিন্তাবিদ ড. আহমদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটা ইসলামের দৃষ্টিতে সাধারণ কোনো বিয়েও না বা নিকাহ মুতা যেটি আহলে সুন্নাতের জামাতের মধ্যে হারাম, শীরাহসহ কিছু সংখ্যক মুসলিমদের মতে, নিকাহ মুতা বৈধ, এই যে তথ্য আমরা পেয়েছি তা কিন্তু নিকাহের মধ্যেও পড়ে না।     

ইসলামী চিন্তাবিদরা আরও বলছেন, ইসলামী শরিয়তেও মুতা বিয়ে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কারো কারো মতে নির্দিষ্ট সময় এবং দেনমোহর পরিশোধ করে মুতা বিয়ে করা যায়। কিন্তু মামুনুলের এমন চুক্তি এ বিয়ের শর্তপূরণ করে না।