• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী

মুখে ভর দিয়ে লিখে বৃত্তি পেলো সেই লিতুন জিরা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 


দুই হাত-পা ছাড়াই জন্ম নিয়ে মুখে ভর দিয়ে লিখেই প্রাথমিক সাময়িক (পিইসি) পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়েছে সেই লিতুন জিরা। 
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফলে এ কৃতিত্ব অর্জন করে লিতুন।

লিতুন জিরা যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শেখ পাড়া খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। সে এবার উপজেলার খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। 

এর আগে লিতুন জিপিএ-৫ অর্জন করে। বৃত্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিতুনের বাবা হাবিবুর রহমান।

লিতুন পর নির্ভর হয়ে সমাজের বোঝা হতে চায় না। সে পড়ালেখা শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়ে আর দশজন মানুষের মতো আত্মনির্ভশীল হতে চায় জন্ম থেকে দুই হাত-পা ছাড়া জন্ম নেয়া লিতুন। মুখ দিয়ে লিখেই মেধার স্বাক্ষর রেখেছে এই শিক্ষার্থী। 

স্থানীয়রা বলেন, লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহী লিতুন প্রখর মেধাবী। হুইল চেয়ারেই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে এ-প্লাস পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখে লিতুন। মঙ্গলবার প্রকাশিত বৃত্তির ফলাফলে লিতুন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি অর্জন করেছে। 

তার বাবা উপজেলার এ আর মহিলা কলেজের প্রভাষক। তিনি গত ১৭ বছর ধরে ওই কলেজে চাকরি করলেও আজও কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়নি। তার বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কিন্তু বেতন না পাওয়ায় খুব কষ্টে তাদের সংসার চলে।
 
লিতুনের বাবা হাবিবুর ও মা জাহানারা বেগম বলেন, জন্মের পর মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে নানা চিন্তা পেয়ে বসছিল। এখন মেয়ের মেধা আশার সঞ্চার করেছে আমাদের। লিতুন আর ১০ জন শিশুর মতো স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া, গোসল সব কিছুই করতে পারে। মুখ দিয়েই লিখে সে। তার চমৎকার হাতের লেখা যে কারো দৃষ্টি কাড়বে। 

কথা হয় লিতুনের সঙ্গে। সে বলে, আমার একটাই ইচ্ছা, কারও ওপর নির্ভর না হয়ে লেখাপড়া শিখে নিজেই কিছু করতে চাই। 

তবে, সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা দাদুর জন্য তার খুব মন খারাপ। দাদু বেঁচে থাকলে বৃত্তি পাওয়ার খবরে তিনি খুব খুশি হতেন বলে জানায় লিতুন জিরা।

এর আগে, চলতি বছর প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষায় (পিএসসি) জিপিএ-৫ পেয়েছিল লিতুন। সেসময় ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমে অদম্য এ মেধাবীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে লিতুনের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা উঠে আসায় সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হয় দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের। তাৎক্ষণিকভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান সানভীর লিতুন জিরার পথচলায় সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৮ জানুয়ারি বসুন্ধরা গ্রুপের ডিজিএম (হেড অব বাল্ক সেলস) মো. রেদোয়ানুর রহমান লিতুন জিরার বাবার হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। এছাড়াও লিতুন জিরার পরিবারের সদস্যদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে নানা রকম উপহার সামগ্রি দেওয়া হয়।