যে গ্রামে আত্মহত্যা করতে যায় শত শত পাখি!
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৯
ভারতে এমন একটি গ্রাম আছে যেখানে অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। সেই গ্রামে কোনও আলোর উৎসের কাছাকাছি শত শত পাখি ঝাপ দিয়ে আহত হয়ে মারা যায়।
আসামে ২৫০০ লোকের এক ছোট্ট গ্রাম, জাতিঙ্গা। এক শতকেরও বেশি সময় ধরে যেখানে চলে আসছে এই অদ্ভুত ভূতুড়ে ঘটনা। বর্ষা শেষের পর আগস্টের শেষদিক এবং মূলত সেপ্টেম্বর মাসের অমাবস্যাগুলিতে বিকেল ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলতে দেখা যায় এই অদ্ভুত ঘটনা। শত শত পাখি এসে ঝাঁপ দেয় আলোর উৎসগুলিতে। ধাক্কা খেয়ে আধমরা অবস্থায় পরে থাকে মাটির উপর।
মূলত আত্মহত্যার প্রবণতা ভাবা হলেও, পাখিগুলি এভাবে মারা যায় না। বছরের পর বছর ধরে গ্রামবাসীরা এই সময় এবং দিনগুলিতে সেই আধমরা পাখিদের বাঁশের হাতিয়ার দিয়ে পিটিয়ে মেরে তাদের ঝলসে খাওয়ার উৎসব চালিয়ে গেছেন।
সাল ১৯০৫। বাঘে মেরে দিয়ে যাওয়া একটি গরুর মৃতদেহ খুঁজতে বেরিয়ে রাতের অন্ধকারে গ্রামবাসীরা দেখতে পান ঝাঁকে ঝাঁকে পড়ে থাকা পাখি। তাদের অধিকাংশই অর্ধমৃত। অদ্ভুতভাবে এগুলিকে দেখাও যায় কোনও না কোনও আলোর উৎসের কাছাকাছি।
সমীক্ষা বলে, এই ঘটনায় আহত হয় প্রায় ৪৪টির মতো প্রজাতি ও উপপ্রজাতির পাখি। কোনও এক বিষয় নিয়ে বিব্রত হওয়া এই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি নিজেরা গিয়ে ঝাঁপ দেয় গ্রামের আগুনে, ও আলোয়।
তবে প্রতিবছরের এই বিপুল পরিমাণ পাখির বসবাস মোটেও ওই গ্রামে নয়। বরং বেশ খানিকটা দূর থেকেও উড়ে আসে তারা এই ১৫০০ বাই ২০০ মিটারের মৃত্যুস্থলে। বিষয়টা অবশ্যই ৩০ বছর আগের মতো নেই। গ্রামবাসীদের নানাভাবে বুঝিয়ে কমানো গেছে পিটিয়ে মারা এবং ঝলসে খাওয়ার পাশবিক উপক্রম। কিন্তু কমানো যায়নি মৃত্যুর হার। বহু চেষ্টাতেও এই পাখিগুলিকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে ওঠে না এখনও।
১৯৭৭ সালে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে অর্নিথোলজিস্ট সুধীন সেনগুপ্তকে পাঠানো হয় এই গ্রামে। একাধিক বছর ধরে, ঘটনার কিছুদিন আগে থেকে বেশ কিছুদিন পর পর্যন্ত ওখানে থাকেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এর পক্ষ থেকে তাঁকে এই বিষয়ে তাঁর রিসার্চটি লিখতেও বলা হয়।
সুধীনবাবুর প্রথম পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায়, কুয়াশা এবং বৃষ্টির ফোঁটার উপর আলোকপাতের দরুণ তৈরি হয় প্রাথমিক বিভ্রম। এবং আরও অদ্ভুত বিষয় তিনি লক্ষ্য করেন প্রতিটি আহত পাখিই তাদের শেষবার খাওয়ার প্রায় তিনঘণ্টা পরে এসে ঝাঁপ দেয় আলোয়। অর্থাৎ আহত হওয়ার সময় তাদের অধিকাংশেরই পেট খালি থাকে এবং পেশিতে সংকোচন শুরু হয় দ্রুত। এরপর জোর করে খাওয়াতে চাইলে তারা প্রত্যাখ্যান করে এবং অধিকাংশই পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রাণ হারায়। তাঁর গবেষণা বলে আহত প্রতিটি পাখি ডে’টাইম ফিডার।
বহু তথ্যই সংগ্রহ করেন সুধীন সেনগুপ্ত ও তাঁর দল। কিন্তু বিশেষ প্রশ্নগুলির কোনও উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। কেন কেবল জাতিঙ্গার মতো ছোট একটি জায়গায় ঘটে এই বিরাট মৃত্যুযজ্ঞ, কেন এই অস্বাভাবিক আচরণ করে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি, কেন আলোক উৎসের দিকে ঝাঁপ দেয় তারা? কেনই বা খালিপেটে থাকাকালীন এমন আচরণ তাদের? কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
বেশ কিছু থিওরির মধ্যে বলা হয় এটি একপ্রকার জিও ম্যাগনেটিক ফল্ট। পৃথিবীর ভৌগলিক মেরু ও চৌম্বক মেরুর অবস্থান পার্থক্যের কারণে উৎপন্ন কোনও শক্তি তাদের বিব্রত করতে পারে বলে মনে করা হয়।
রিদম কনসেপ্ট নামক সাম্প্রতিকতম ব্যাখ্যা থেকে ধারনা করা হয়, খাওয়ার পরে বিশ্রামরত পাখিরা বিক্ষিপ্ত আলোর প্রভাবে অসময়ে সূর্যোদয় ভেবে বসে। আলোর এই অস্বাভাবিক বিচ্ছুরণের জন্য দায়ী কুয়াশার স্তর। ফলে, দিকনির্ণয়ের সমস্ত উপায় ঘেঁটে যায় পাখিদের এবং তারা ছুটে যায় আলোর উৎসের দিকে। নিজেদের সমস্ত ইন্সটিংকট ঘেঁটে যাওয়ায় কাটা ঘুড়ির মতো দিকবিদিকশূন্য হয়ে পড়ে তারা।
ব্যাখ্যা কিছু পাওয়া গেলেও কোনওটিকেই একমাত্র কারণ বলে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি আজও। সমতল থেকে ৭৩০ মিটার উঁচু এই গ্রামে ৫টি অমাবস্যা জুড়ে চলা এই রহস্যময় ঘটনা বিশ্বের কাছে অন্যতম এক আশ্চর্য বিষয় হয়েই রয়ে গিয়েছে এখনও। কোনও একদিন এই রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলেই আশা করা যায়।
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- গরমে মাথার তালু অতিরিক্ত ঘামছে? চুলের ক্ষতি এড়াবেন যেভাবে
- ম্যাঙ্গো রাইস
- পুরোনো স্মার্টফোন ৬ কাজে লাগাতে পারেন
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- কুমিল্লায় সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফের গুলি
- দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে : কাদের
- বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী কাতার: সালমান এফ রহমান
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডাকে এলো কোটি টাকার মাদকের পার্সেল, আটক ৩
- বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই
- বরিশালে চারজনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
- বরিশালে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল সহ ৬ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আটক
- বরিশালে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি
- কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
- নিষেধাজ্ঞায় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার ১৪ জেলের কারাদন্ড
- পটুয়াখালীতে ডায়রিয়া আক্রান্ত ১জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১১৬
- ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ এর একজন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার
- ঢিলেঢালা পোশাক ও যথাসম্ভব ছায়ায় থাকুন: চিফ হিট অফিসার
- হবিগঞ্জের হাওরে দেড় হাজার কোটি টাকার বোরো ধান
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- হিটশকের ঝুঁকিতে বোরো ধান
- মাটি খুঁড়তেই মিললো রাইফেল, মাইন ও মর্টারশেল
- বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ভোলায় জেলা প্রশাসনের ঈদ সামগ্রী পেল ৩০ পরিবার
- ভোলায় উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল
- চরফ্যাশনে বকনা বাছুরে ১৮৫ জেলের ভাগ্য বদল
- বোরহানউদ্দিনে মাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক
- চরফ্যাশনে তরমুজের বাম্পার ফলনে চাষীদের মুখে হাসি
- দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সচেতনতা ও সামর্থ্য বাড়াতে হবে
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- ভোলায় সাড়ে ৩ হাজার কেজি অবৈধ মাছ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- পটুয়াখালী ইপিজেডের জমি হস্তান্তর, ১৩৫০ মিলিয়ন বিনিয়োগের প্রত্যাশা
- জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষকরাও বদলির সুযোগ পাচ্ছেন
- ভোলায় শপথ নিলেন তিন ইউপি চেয়ারম্যান
- পরিবর্তন হলো ২৪৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড