• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

লন্ডন নেতৃত্ব চায় না বিএনপির তৃণমূল!

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২০  

বিএনপিকে রাজনৈতিকভবে ঘুরে দাঁড়াতে হলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার অনুসারীদের প্রভাব মুক্ত করতে হবে বলে মনে করেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। লন্ডন থেকে তারেকের নেতৃত্বে বিএনপির রাজনীতি পরিচালিত হোক সেটাও চান না তারা। দলে একক নেতৃত্বের পরিবর্তে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার দাবি তাদের। 

তারা বলেন, বিএনপিতে তারেক রহমানের একক প্রভাবের কারণে বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা আজ নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন। তারা নিজেদের কোন নেতৃত্ব প্রকাশ করতে পারছেন না। পদ-পদবি হারানোর ভয়ে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেন না। ফলে বিএনপি দিন দিন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। বিএনপিতে সিনিয়র নেতারা এখন জি হুজুর, জি হুজুর নেতৃত্বে ব্যস্ত। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তৃণমূল নেতা বলেন, বেগম জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই বিএনপির নেতৃত্ব চলে যায় একজনের হাতে। আগে বেগম খালেদা জিয়া দল চালানোর সময় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ গ্রহণ করতেন। কিন্তু দলের ক্ষমতা যখন তারেক রহমানের হাতে চলে গেছে তখন থেকেই এ দলে বুদ্ধিজীবীরাও নিষ্ক্রিয়। তারা কোনো পরামর্শ দেন না, কেননা তারা তো খালেদা জিয়ার বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তারা তার পুত্র তারেক রহমান সম্পর্কে অনেক বিষয়ে সতর্ক করতেন। সেই তারেক রহমানের হাতে যখন দলের ক্ষমতা তখন তারা কীভাবে বুদ্ধি- পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন? আর তারেক রহমান মনে করেন, বিএনপিতে এসব বুদ্ধিজীবীর প্রয়োজন নেই।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে ভারসাম্য দরকার। 

তিনি বলেন, বিএনপিতে এখন অঘোষিত স্বৈরতন্ত্র চলছে। এখানে একজনের ইচ্ছায় সবকিছু হচ্ছে। তিনি যেটা করছেন সেটা ভুল হলেও বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হচ্ছেন সিনিয়র নেতারা। তারা জিম্মি হয়ে আছেন। একদিকে, তৃণমূল নেতাদের চাপ অন্যদিকে দলে অবমূল্যায়ন। ফলে নেতারা উভয় সংকটের মধ্যে আছেন। তাই রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হলে এ দলের ক্ষমতায়নে ভারসাম্য দরকার। 

এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপির মধ্যে গণতন্ত্র নেই। নেই ক্ষমতার ভারসাম্য।

তিনি বলেন, মওদুদ, খন্দকার মোশাররফের মতো নেতারা তো দলের ক্রান্তিকালে দায়িত্ব নিতে পারেন। তারা কেন সেটা করছেন না। দলের মহাসচিব এখন একজন পুতুল মহাসচিবে পরিণত হয়েছেন। তিনি যদি দলের মধ্যে নির্বাচিত মহাসচিব হতেন, তাহলে তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারতেন। তিনি নির্বাচিত নয়, কারো দয়ায় মহাসচিব হয়েছেন। বিএনপির রাজনীতিতে এটার পরিবর্তন করতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, লন্ডনে বসে দেশের চিত্র বুঝা যাবে না। সেখানে বসে দল চালানো সম্ভব নয়। ছোট ছোট করে চুল কাটলেই জিয়াউর রহমান হওয়া যায় না। দলের সিনিয়র ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে।