• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১৭ নির্দেশনা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২০  

করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে প্রয়োজনে সেপ্টেম্বরে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপরও যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ৩০ মে খুলে দেয়া হয় তবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ১৭ ধরনের নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

‘কোভিড-১৯’ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে করণীয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে মাস্ক, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট থার্মোমিটার সংগ্রহ করে জরুরি কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন।

প্রতি ইউনিটের জবাবদিহিতা বাস্তবায়ন এবং শিক্ষক ও শিক্ষাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ জোরদার করুন।

২. শিক্ষক, শিক্ষাদান কর্মী ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ জোরদার করুন। সকাল ও দুপুরে পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং ‘প্রতিদিনের প্রতিবেদন’ এবং ‘শূন্য প্রতিবেদন’ পদ্ধতি প্রবর্তন করুন।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেটে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত শিক্ষাদানকর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা নিন। বেশি পাওয়া গেলে প্রবেশে নিষেধ করুন।

৪. শ্রেণিকক্ষ, খেলার মাঠ এবং পাঠাগারের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বায়ু চলাচল নির্বিঘ্ন করুন। দিনে ২-৩ বার ২০-৩০ মিনিটের মতো উন্মুক্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক মাত্রা নিশ্চিত করুন।

৫. শ্রেণিকক্ষ ছাড়াও সবাই ব্যবহার করে এমন স্থান যেমন মেঝে, দরজা ও সিঁড়ির হাতল এবং যেসব বস্তু বারবার ব্যবহৃত হয় সেসব বস্তুর তলপৃষ্ঠ ঘন ঘন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন।

৬. খাবার থালা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা, প্রতিবার ব্যবহারের পর সেগুলো ফের জীবাণুমুক্ত করুন।

৭. দূরত্ব বজায় রেখে খাবার গ্রহণ করা এবং সম্পূর্ণ নিজস্ব থালাবাসন বা ওয়ানটাইম থালাবাসন ব্যবহার করুন।

৮. প্রতিষ্ঠান চত্বরের আবর্জনা প্রতিদিন পরিষ্কার এবং আবর্জনা সংরক্ষণকারী পাত্র জীবাণুমুক্ত করুন।

৯. অফিসে কাগজের সীমিত ব্যবহারকে উৎসাহিত করুন। শারীরিক যোগাযোগ কমিয়ে অনলাইন শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিন।

১০. স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত যে কোনো জমায়েত বা ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।

১১. শিক্ষক, শিক্ষাদানকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের বহির্গমন কমিয়ে দিন।

১২. শিক্ষাদান কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা মাস্ক ব্যবহার করুন। হাত ধোয়াসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। দ্রুত হাত শুকানো জীবাণুনাশক বা জীবাণুনাশক টিস্যু ব্যবহার করুন। হাঁচি দেয়ার সময় মুখ এবং নাক ঢাকতে টিস্যু বা কনুই ব্যবহার করুন।

১৩. মহামারী প্রতিরোধ জোরদার করুন। শিক্ষাদানের সময় নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করুন।

১৪. কোভিড-১৯ এর সন্দেহভাজন ব্যক্তি থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে জানান এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করুন।

১৫. কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পিতামাতার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানা এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করার জন্য একজন বিশেষ ব্যক্তিকে নিয়োগ করুন।

১৬. নিশ্চিত কোভিড-১৯ কেস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ এবং বায়ু চলাচল ব্যবস্থা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন। মূল্যায়ন না হওয়া পর্যন্ত এটির পুনরায় ব্যবহার শুরু করা থেকে বিরত থাকুন।

১৭. একত্রে বসে খাওয়ার মতো ডাইনিং পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে।