• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী

শুভ জন্মদিন ববিতা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২০  

বাংলা চলচ্চিত্রের এক নন্দিত অভিনেত্রীর নাম ববিতা। ৭০ ও ৮০ দশকে লাবণ্যময়ী নায়িকা হয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের সাদাকালো পর্দায় আলো ছড়ানো এই অভিনেত্রী এখনো সমান জনপ্রিয়। অভিনয়েও রয়েছেন নিয়মিতই। কালের বিবর্তনে তিনি নায়িকা থেকে সিনিয়র চরিত্রে এসেছেন, কিন্তু অভিনয়ের গুণে এখনো তিনি অনন্যা। খ্যাতিমান এই অভিনেত্রীর আজ জন্মদিন। 

ববিতা ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই তৎকালীন যশোরে (বর্তমান বাগেরহাট) জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ফরিদা আক্তার পপি। কিন্তু চলচ্চিত্রে আসার পর পরিচিতি পেয়েছেন ববিতা নামে। পৈতৃক বাড়ি যশোরে হলেও বাবার চাকরির সুবাদে বাগেরহাটে থাকতেন তারা। পারিবারিকভাবেই বলা চলে তারা অভিনয়শিল্পী গোষ্ঠী। 

তার বড় বোন সুচন্দা এবং ছোট বোন চম্পা বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এছাড়া জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানি তার ভাগ্নে এবং সেই সুত্রে মৌসুমী তার ভাগ্নে বউ। আবার চিত্রনায়ক রিয়াজ তার চাচাত ভাই এবং নির্মাতা জহির রায়হান তার ভগ্নিপতি।

ববিতার শিক্ষাজীবন শুরু হয় যশোর দাউদ পাবলিক বিদ্যালয়ে। সেখানে পড়াকালীন বড় বোন সুচন্দা চলচ্চিত্রে অভিষেকের সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় চলে আসেন ববিতা। গেন্ডারিয়ায় গড়েন আবাস। উল্লেখযোগ্য কোনো শিক্ষাগত সার্টিফিকেট না থাকলেও ববিতা একজন অভিনেত্রী হিসেবে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখেও নিজেকে করেছেন স্বশিক্ষিত।

চলচ্চিত্রে আসার পেছনে ববিতার জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তার বড় বোন সুচন্দা। কিংবদন্তি নির্মাতা জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে ১৯৬৮ সালে অভিষেক হয় ববিতার। এই চলচ্চিত্রে তিনি রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। ববিতার নাম ফরিদা আক্তার পপি থেকে ‘ববিতা’ হয় জহির রায়হানের ‘জ্বলতে সুরুজ কি নিচে’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। 

নায়িকা হিসেবে ববিতার প্রথম ছবি ‘শেষ পর্যন্ত’। এটি মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট, যেদিন ববিতার মা মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এরপর থেকে অভিনয় নায়িকা হিসেবে শাসন করেন ৭০ দশক। তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন দর্শকের কাছে। বাণিজ্যিক ছবির অন্যতম সফল নায়িকা হিসেবে গণ্য করা হয় ববিতাকে। কেননা গ্রামীণ মেয়ের চরিত্রে কিংবা শহরের মডার্ণ তরুণী, সব চরিত্রেই তিনি সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন।

জহির রায়হান পরিচালিত ‘টাকা আনা পাই’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ববিতার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরলেও তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র বলা হয় ‘অশনি সংকেত’কে। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় এই ছবিতে অভিনয় করে ববিতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দারুণ প্রশংসা অর্জন করেন। 

ক্যারিয়ারে প্রায় ২৫০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ববিতা। এর মধ্যে ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘আলোর মিছিল’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘বসুন্ধরা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘নয়নমনি’, ‘লাঠিয়াল’, ‘মা’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দহন’, ‘দিপু নাম্বার টু’, ‘অশনি সংকেত’, ‘রামের সুমতি’, ‘নাগ-নাগিনী’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘মিস লংকা’, জীবন সংসার’, ‘লাইলি মজনু’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘পোকা মাকড়ের ঘর বসতি’ ছবিগুলো উল্লেখযোগ্য।

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ববিতা ক্যারিয়ারে অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। একটানা তিন বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি থেকে সর্বভারতীয় শ্রেষ্ঠ নায়িকার পুরস্কার পান তিনি। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ববিতা। তিনিই বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সবচেয়ে বেশিবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন।

অভিনয়ের নৌকায় পাল তুলে এখনো সগৌরবে টিকে আছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা। আদর্শ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি যুগের পর যুগ বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন পরম ভালোবাসায়।