• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের

সালাতুদ দোহা কি ইসলামে প্রমাণিত?

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

প্রশ্ন: এক লোক বলেছে ইসলামে সালাতুত দোহা বলতে কিছু নেই। বোখারির এক হাদিসে নাকি আছে সালাতুদ দুহা নামাজ বেদআত। এ ব্যাপারে সঠিক বিষয় কোনটি জানতে চাই?

উত্তর: হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) চার রাকাত সালাতুদ দোহা পড়তেন এবং কখনো এর চেয়ে বেশিও পড়তেন। (সহিহ মুসলিম ৭১৯)। 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমার বন্ধু (রাসূল সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন। আমি যেন তা মৃত্যু পর্যন্ত না ছাড়ি। (১) প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা রাখতে  (২) সালাতুদ দোহা আদায় করতে (৩) বেতেরের নামাজ পড়ে ঘুমাতে। (সহিহ বুখারী ১১৬৫)।

ফুকাহায়ে কেরাম সালাতু দোহা পড়া মুস্তাহাব বলেছেন। তাই ওই ব্যক্তির কথা সঠিক নয়। রাসূল (সা.) নিজে পড়েছেন এবং পড়ার জন্য ওসিয়ত করেছন। হাদিসে এই নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক ফজিলতও বর্ণিত হয়েছে।

বুখারী শরিফের ১১৭৫ নম্বর হাদিস, মুজাহিদ রহ. বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) আয়েশা (রা.) নিকট বসা ছিলেন, তখন কিছু লোক মসজিদে সালাতুদ দোহা আদায় করছিলেন। ইবনে ওমর (রা.)-কে তাদের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তা বিদআত। 

এই হাদিসের ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা বদরুদ্দীন আইনি (রহ.) বলেন, বেদআত বলা হয় যা রাসূল (সা.) এর যমানায় ছিল না এমন কোনো কাজকে পরবর্তীতে আবিষ্কার করা।
 
আর রাসূল (সা.) নিজে উম্মে হানী (রা.) ঘরে সালাতুদ দোহা আদায় করেছেন। (সহীহ বুখারী ১১৭৬)।

ইবনে ওমর (রা.) সম্মিলিত ভাবে মসজিদে সালাতুদ দোহা আদায় করাকে বিদআত বলেছেন। স্বয়ং সালাতু দোহাকে তিঁনি বিদআত বলেননি। (উমদাতুল কারী ৮/৩১৯)। (এলাউসসুনান:৭/৩৩, মারাকিল ফালাহ: ৩৯৫, রদ্দুল মুহতার: ২/৫৬৩)।